somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মোবাইল ফোনে +টেলিফোনে বিয়ে =পর্ব এক

২৬ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:১২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মোশারফ ছেলে হিসেবে অনেক ভাল কিনতু ও ওর জীবনে ঘটে যাওয়া সকল ঘটনা সবসময় কলেজের সকল বন্ধু ভাই সিস্টার দের সাথে শেয়ার করতেন । হঠাৎ করে মোশারফে পরিারিক সমস্যার কারনে তাকে লেখা পড়া ছেরে দিতে হয় এবং কলেজ ত্যগ করতে হয়।


কলেজ ত্যগ করার পরে মোশারফ চিন্তা করলেন দেশের বাহিরে
চলে যাবেন । মোশারফ বিদেশ যাওয়ার জন্য কয়েক স্থানে পাসপোট ও দরকারী কাগজ পত্র জমা দিয়েছেন । কোন স্থানে ভিসা না পাওয়ায় মোশারফের বিদেশ যাওয়ার পরিকল্পনা চেন্জ করলেন ।

এখন মোশারফ নতুন পরিকল্পনা করলেন এবং মোশারফ ব্যবসা করবেন বলে ঠিক করলেন । মোশারফ ব্যবসা শুরু করবেন কিন্ত কি ব্যবসা করবেন তাতে অনেক টাকা দরকার সে টাকা পাবে কোথায় পরে মোশারফ তার মার কাছে ব্যবসা করার জন্য যে টাকা লাগবে তা জানালেন বিষয়টি জানার পরে মোশারফের মা মোশারফকে ২০০০০ টাকা দিল ব্যবসা করার জন্য ।


মোশারফ তখন সিডি ক্যস্টের ব্যবসা শুরু করল ।
প্রথমে মোশারফের এক বন্ধুদের একটি বন্ধ দোকান ছিল সেই দোকানটি মোশারফ তার বন্ধুর কাছ থেকে ভাড়া নেন এবং সেই দোকানে মোশারফ সিডি ক্যস্টের ব্যবসা শুরু করেন ।

মোশারফের ব্যবসার বয়স যখন পাঁচ বৎসর পার হোল তখন আবার মোশারফের মাথায় সেই বিদেশ যাওয়ার পুরন ভূত চাপ দিল । এবার মোশারফ চিন্তা করল তার এক খালাত ভাই বিদেশ বলতে কাতারে থাকে তার সাথে যোগাযোগ করে তার সাথে বিদেশে যাবে।

একদিন দুপরে মোশারফ দোকান বন্ধ করে বাসায় আসলেন এবং দুপরের খাবার খেলেন তার পর মোশারফের ঘরে তার খাটে শুয়ে
থেকে একটু গড়াগড়ি বা বিশ্রাম করতেছিলেন এরই মধ্যে মোশারফের মোবাইলে একটি ফোন এলো মোশারফ ফোনতি রিসিভ করলেন মোশারফ দেখলেন তার খালাত ভাই রিফাত তাকে ফোন দিয়েছেন । মোশারফের সাথে কথা শেষে মোশারফকে
রিফাত বলল আমি আগামী মাসে দেশে আসবো আর এসেই তোর ভিসার ব্যবস্তা করে দিব । পরে মোশারফ কথা শেষ করে দোকানে চলে আসলেন ।


মোশারফ ব্যবসা করতেছেন আর দিন গুনতেছেন কবে মাস শেষ হবে । একদিন দুইদিন করে গুনতে গুনতে মাস শেষ হয়ে গেল কিনতু এখন রিফাত ভাইয়ের কোন খবর নাই এই চিন্তা করতে করতে রিফাত ভাই ফ্রেবরোয়ারী মাসের পাঁচ তারিখ সকালে ফোন দিল মোশারফের কাছে মোশারফ আমি তোর রিফাত ভাইয়া
আমি সাত তারিখে দেশে আসছি তুই সাত তারিখ সকালে আমাকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য এয়ারপোটে থাকিছ ঠিক আছে রিফাত ভাই আমি সাত তারিখ সকালে এয়ারপোটে থাকব ।


সাত তারিখ সকালে মোশারফ ও তার দুই বন্ধুকে সাথে করে নিয়ে চলে গেলেন এয়ারপোটে এরই মধ্যে রিফাত ভাই এয়ারপোটে এসে গেছেন ।
রিফাত ভাই মোশারফকে দেখে ডাক দিলেন মোশারফ রিফাত ভাইয়ের কাছে গেলেন এবং দুই ভাই কুলাকুলী করলেন মোশারফ তার বন্ধুদের সাথে রিফাত ভাইয়ের পরি চয় করে দিলেন ।
মোশারফ যাওয়ার সময় তার মহল্লা থেকে বুদ্ধি করে একটি মাইক্রো বাস ভাড়া করে নিয়ে যান তাই তাদের আর গাড়ি ভাড়া করার প্রয়োজন হয় নাই ঐ গাড়ীতে রিফাত ভাইকে সাথে করে নিয়ে আবার ফিরে আসলেন ।

বাসায় আসতে তাদের সময় লাগলো এক ঘন্টার মত এর মধ্যে মোশারফের মা তাদের জন্য খাবারের আয়োজন শেষ করলেন ।
বাসায় এসে মোশারফ আলমারী থেকে তার দুইটি লুঙ্গি বের করে দিলেন রিফাত ভাইকে পরার জন্য ।
রিফাত ভাই একটি লুঙ্গি পরলেন এবং হাতে করে আরেকটি লুঙ্গি নিয়ে মোশারফের ওয়াস রুমে ডুকলেন ।
ওয়াস রুম থেকে ফ্রেস হয়ে এলেন ততখনে মোশারফ ও মা দুই জনে মিলে খাবার টেবিলে খাবার রেডি করলেন ।
সকলে মীলে সকালে নাষ্টা পর্ব শেষ করলেন । মোশারফ বললেন ভাইয়া অনেক পথ জার্নি করে এসেছ এখন একটু বিশ্রাম নেও আমি দোকানে যাই দুপরে এসে দুপরের খাবার শেষ করে আলাপ করবো রিফাত ভাই বল্ল ঠিক আছে যাও তবে দুপরে আলাপ হবে ।
বলে মোশারফ দোকানে চলে গেল ।

মোশারফ দোকান খুলল বেচাকেনা করলেন দুপর হয়ে গেল মোশারফ দোকান বন্ধ করে আজ দুপরে একটু তারাতারী বাসায়
চোলে আসলো ।
মোশারফ বাসায় এসে দেখে রিফাত এখন ঘুম থেকে উঠেন নাই। মোশারফ রিফাত ভাইকে ডাক দিয়ে ঘুমথেকে জাগালেন এবং বলল ভাইয়া ওঠো দুপর আরাইতা বাজে খাওয়া দাওয়া করতে হবেত নাকী পরে রিফাত ভাই ঘুম থেকে উঠলেন এবং ওয়াস রুম থেকে হাত মুখ ধুয়ে আসলেন ।
রিফাত ভাই ,,মোশারফ,,এবং মোশারফের মা ও বাবা এই চার জন মিলে দুপরের খাওয়া দাওয়া শেষ করলেন ।
খাওয়া শেষ করে মোশারফ এবং রিফাত ভাইয়া আসলেন মোশারফের ঘরে দুইজনে আলাপের মধ্যে মোশারফ রিফাদ ভাইয়াকে বলেন ভাইয়া আমি যে তোমাকে একটি ভিসার কথা বলছিলাম তার কি করলে রিফাত ভাই বল্ল সব ঠিক আছে শুধু তোর কয়েক দিন সময় লাগবে তা বেশিদিন নয় মনে হয় আগামী সপ্তাহ নাগাত ভিসা তোর হাতে এসে পরবে তুই এই সপ্তাহের মধ্যে তোর কেনা কাটা শেষ করে ফেলবি কেননা ভিসা হাতে আসলে আর বেশি দিন সময় পাবি না তখন শুধু মেডিকেলে চেকআপ আর তোর জন্য কিনতু আমি সিঙ্গাপুরের ভিসা করছি ।
ঠিক আছে রিফাত ভাইয়া আমি আগামী কালকে থেকে কেনা কাটা শুরু করে দিবো আর তুমি ভাইয়া আজকেই গ্রামের বাড়ী চলে যাবে হ্যরে রিফাত আমি আজ রাতের ট্রেনে বাড়ীতে যাব তবে বেশি দিন থাকব না এক সপ্তাহ থাকব আগামী সপ্তাহে তোর ভিসা আসার আগেই চলে আসবো এসে তোকে সব বুজিয়ে দিব। বলে বিদায় দিল মোশারফকে । মোশারফ দোকানে চলে গেল ।
অল্প কিছুক্ষন পরে মোশারফের মা এলেন রিফাত ভাইয়াকে জিজ্ঞাসা করার জন্য সে চলে যাবে কি না । হ্য খালা মনি আমি আজ রাতের ট্রেনে চলে যাব । বাড়ীতে বাবা,মা,ও আমার ছেলে আমার পথ চেয়ে বসে আছে তা বাবা আবার আসবি কবে এইত খালামনি এক সপ্তাহের মধ্যে ঢাকায় আসবো এসে মোশারফের কাগজ পত্র তারপরে ভিসা রেডি করে দিতে হবে । তা এবার আসার সময় বৌমাকে সাথে করে নিয়ে আসিছ বলে মা বল্ল ঠিক আছে রিফাত বিকেল হয়ে গেছে তুই হাত মুখ ধুয়ে টেবিলে বস
আমি তোর বিকেলের চা নাষ্টা ও রাতে গাড়ীতে বসে খাবি তার ব্যবস্তা করে দিচ্ছি বলে মা চলে গেলেন ।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৩:০৭
৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শ্রমিক সংঘ অটুট থাকুক

লিখেছেন হীসান হক, ০১ লা মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৮

আপনারা যখন কাব্য চর্চায় ব্যস্ত
অধিক নিরস একটি বিষয় শান্তি ও যুদ্ধ নিয়ে
আমি তখন নিরেট অলস ব্যক্তি মেধাহীনতা নিয়ে
মে দিবসের কবিতা লিখি।

“শ্রমিকের জয় হোক, শ্রমিক ঐক্য অটুট থাকুক
দুনিয়ার মজদুর, এক হও,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কিভাবে বুঝবেন ভুল নারীর পিছনে জীবন নষ্ট করছেন? - ফ্রি এটেনশন ও বেটা অরবিটাল এর আসল রহস্য

লিখেছেন সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪

ফ্রি এটেনশন না দেয়া এবং বেটা অরবিটার


(ভার্সিটির দ্বিতীয়-চতুর্থ বর্ষের ছেলেরা যেসব প্রবলেম নিয়ে টেক্সট দেয়, তার মধ্যে এই সমস্যা খুব বেশী থাকে। গত বছর থেকে এখন পর্যন্ত কমসে কম... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতিদিন একটি করে গল্প তৈরি হয়-৩৭

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৫১




ছবি-মেয়ে ও পাশের জন আমার ভাই এর ছোট ছেলে। আমার মেয়ে যেখাবে যাবে যা করবে ভাইপোরও তাই করতে হবে।


এখন সবখানে শুধু গাছ নিয়ে আলোচনা। ট্রেনিং আসছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

একাত্তরের এই দিনে

লিখেছেন প্রামানিক, ০১ লা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৬


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

আজ মে মাসের এক তারিখ অর্থাৎ মে দিবস। ১৯৭১ সালের মে মাসের এই দিনটির কথা মনে পড়লে এখনো গা শিউরে উঠে। এই দিনে আমার গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×