কলেজ ত্যগ করার পরে মোশারফ চিন্তা করলেন দেশের বাহিরে
চলে যাবেন । মোশারফ বিদেশ যাওয়ার জন্য কয়েক স্থানে পাসপোট ও দরকারী কাগজ পত্র জমা দিয়েছেন । কোন স্থানে ভিসা না পাওয়ায় মোশারফের বিদেশ যাওয়ার পরিকল্পনা চেন্জ করলেন ।
এখন মোশারফ নতুন পরিকল্পনা করলেন এবং মোশারফ ব্যবসা করবেন বলে ঠিক করলেন । মোশারফ ব্যবসা শুরু করবেন কিন্ত কি ব্যবসা করবেন তাতে অনেক টাকা দরকার সে টাকা পাবে কোথায় পরে মোশারফ তার মার কাছে ব্যবসা করার জন্য যে টাকা লাগবে তা জানালেন বিষয়টি জানার পরে মোশারফের মা মোশারফকে ২০০০০ টাকা দিল ব্যবসা করার জন্য ।
মোশারফ তখন সিডি ক্যস্টের ব্যবসা শুরু করল ।
প্রথমে মোশারফের এক বন্ধুদের একটি বন্ধ দোকান ছিল সেই দোকানটি মোশারফ তার বন্ধুর কাছ থেকে ভাড়া নেন এবং সেই দোকানে মোশারফ সিডি ক্যস্টের ব্যবসা শুরু করেন ।
মোশারফের ব্যবসার বয়স যখন পাঁচ বৎসর পার হোল তখন আবার মোশারফের মাথায় সেই বিদেশ যাওয়ার পুরন ভূত চাপ দিল । এবার মোশারফ চিন্তা করল তার এক খালাত ভাই বিদেশ বলতে কাতারে থাকে তার সাথে যোগাযোগ করে তার সাথে বিদেশে যাবে।
একদিন দুপরে মোশারফ দোকান বন্ধ করে বাসায় আসলেন এবং দুপরের খাবার খেলেন তার পর মোশারফের ঘরে তার খাটে শুয়ে
থেকে একটু গড়াগড়ি বা বিশ্রাম করতেছিলেন এরই মধ্যে মোশারফের মোবাইলে একটি ফোন এলো মোশারফ ফোনতি রিসিভ করলেন মোশারফ দেখলেন তার খালাত ভাই রিফাত তাকে ফোন দিয়েছেন । মোশারফের সাথে কথা শেষে মোশারফকে
রিফাত বলল আমি আগামী মাসে দেশে আসবো আর এসেই তোর ভিসার ব্যবস্তা করে দিব । পরে মোশারফ কথা শেষ করে দোকানে চলে আসলেন ।
মোশারফ ব্যবসা করতেছেন আর দিন গুনতেছেন কবে মাস শেষ হবে । একদিন দুইদিন করে গুনতে গুনতে মাস শেষ হয়ে গেল কিনতু এখন রিফাত ভাইয়ের কোন খবর নাই এই চিন্তা করতে করতে রিফাত ভাই ফ্রেবরোয়ারী মাসের পাঁচ তারিখ সকালে ফোন দিল মোশারফের কাছে মোশারফ আমি তোর রিফাত ভাইয়া
আমি সাত তারিখে দেশে আসছি তুই সাত তারিখ সকালে আমাকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য এয়ারপোটে থাকিছ ঠিক আছে রিফাত ভাই আমি সাত তারিখ সকালে এয়ারপোটে থাকব ।
সাত তারিখ সকালে মোশারফ ও তার দুই বন্ধুকে সাথে করে নিয়ে চলে গেলেন এয়ারপোটে এরই মধ্যে রিফাত ভাই এয়ারপোটে এসে গেছেন ।
রিফাত ভাই মোশারফকে দেখে ডাক দিলেন মোশারফ রিফাত ভাইয়ের কাছে গেলেন এবং দুই ভাই কুলাকুলী করলেন মোশারফ তার বন্ধুদের সাথে রিফাত ভাইয়ের পরি চয় করে দিলেন ।
মোশারফ যাওয়ার সময় তার মহল্লা থেকে বুদ্ধি করে একটি মাইক্রো বাস ভাড়া করে নিয়ে যান তাই তাদের আর গাড়ি ভাড়া করার প্রয়োজন হয় নাই ঐ গাড়ীতে রিফাত ভাইকে সাথে করে নিয়ে আবার ফিরে আসলেন ।
বাসায় আসতে তাদের সময় লাগলো এক ঘন্টার মত এর মধ্যে মোশারফের মা তাদের জন্য খাবারের আয়োজন শেষ করলেন ।
বাসায় এসে মোশারফ আলমারী থেকে তার দুইটি লুঙ্গি বের করে দিলেন রিফাত ভাইকে পরার জন্য ।
রিফাত ভাই একটি লুঙ্গি পরলেন এবং হাতে করে আরেকটি লুঙ্গি নিয়ে মোশারফের ওয়াস রুমে ডুকলেন ।
ওয়াস রুম থেকে ফ্রেস হয়ে এলেন ততখনে মোশারফ ও মা দুই জনে মিলে খাবার টেবিলে খাবার রেডি করলেন ।
সকলে মীলে সকালে নাষ্টা পর্ব শেষ করলেন । মোশারফ বললেন ভাইয়া অনেক পথ জার্নি করে এসেছ এখন একটু বিশ্রাম নেও আমি দোকানে যাই দুপরে এসে দুপরের খাবার শেষ করে আলাপ করবো রিফাত ভাই বল্ল ঠিক আছে যাও তবে দুপরে আলাপ হবে ।
বলে মোশারফ দোকানে চলে গেল ।
মোশারফ দোকান খুলল বেচাকেনা করলেন দুপর হয়ে গেল মোশারফ দোকান বন্ধ করে আজ দুপরে একটু তারাতারী বাসায়
চোলে আসলো ।
মোশারফ বাসায় এসে দেখে রিফাত এখন ঘুম থেকে উঠেন নাই। মোশারফ রিফাত ভাইকে ডাক দিয়ে ঘুমথেকে জাগালেন এবং বলল ভাইয়া ওঠো দুপর আরাইতা বাজে খাওয়া দাওয়া করতে হবেত নাকী পরে রিফাত ভাই ঘুম থেকে উঠলেন এবং ওয়াস রুম থেকে হাত মুখ ধুয়ে আসলেন ।
রিফাত ভাই ,,মোশারফ,,এবং মোশারফের মা ও বাবা এই চার জন মিলে দুপরের খাওয়া দাওয়া শেষ করলেন ।
খাওয়া শেষ করে মোশারফ এবং রিফাত ভাইয়া আসলেন মোশারফের ঘরে দুইজনে আলাপের মধ্যে মোশারফ রিফাদ ভাইয়াকে বলেন ভাইয়া আমি যে তোমাকে একটি ভিসার কথা বলছিলাম তার কি করলে রিফাত ভাই বল্ল সব ঠিক আছে শুধু তোর কয়েক দিন সময় লাগবে তা বেশিদিন নয় মনে হয় আগামী সপ্তাহ নাগাত ভিসা তোর হাতে এসে পরবে তুই এই সপ্তাহের মধ্যে তোর কেনা কাটা শেষ করে ফেলবি কেননা ভিসা হাতে আসলে আর বেশি দিন সময় পাবি না তখন শুধু মেডিকেলে চেকআপ আর তোর জন্য কিনতু আমি সিঙ্গাপুরের ভিসা করছি ।
ঠিক আছে রিফাত ভাইয়া আমি আগামী কালকে থেকে কেনা কাটা শুরু করে দিবো আর তুমি ভাইয়া আজকেই গ্রামের বাড়ী চলে যাবে হ্যরে রিফাত আমি আজ রাতের ট্রেনে বাড়ীতে যাব তবে বেশি দিন থাকব না এক সপ্তাহ থাকব আগামী সপ্তাহে তোর ভিসা আসার আগেই চলে আসবো এসে তোকে সব বুজিয়ে দিব। বলে বিদায় দিল মোশারফকে । মোশারফ দোকানে চলে গেল ।
অল্প কিছুক্ষন পরে মোশারফের মা এলেন রিফাত ভাইয়াকে জিজ্ঞাসা করার জন্য সে চলে যাবে কি না । হ্য খালা মনি আমি আজ রাতের ট্রেনে চলে যাব । বাড়ীতে বাবা,মা,ও আমার ছেলে আমার পথ চেয়ে বসে আছে তা বাবা আবার আসবি কবে এইত খালামনি এক সপ্তাহের মধ্যে ঢাকায় আসবো এসে মোশারফের কাগজ পত্র তারপরে ভিসা রেডি করে দিতে হবে । তা এবার আসার সময় বৌমাকে সাথে করে নিয়ে আসিছ বলে মা বল্ল ঠিক আছে রিফাত বিকেল হয়ে গেছে তুই হাত মুখ ধুয়ে টেবিলে বস
আমি তোর বিকেলের চা নাষ্টা ও রাতে গাড়ীতে বসে খাবি তার ব্যবস্তা করে দিচ্ছি বলে মা চলে গেলেন ।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৩:০৭