somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ধনেশ পাখি পরিচিত পর্ব = ১

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:২২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

হেলমেটওয়ালা ধনেশ
ধনেশ পাখি শক্ত এবং লম্বা বাঁকানো ঠোঁটওয়ালা পাখি হিসেবেই বেশি পরিচিত। এটি বিউসেরোটিডি গোত্র বা পরিবারভূক্ত পাখি। গ্রীষ্মমণ্ডলীয় এবং উপ-গ্রীষ্মমণ্ডলীয় আফ্রিকা ও এশিয়া মহাদেশ এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জে অধিকাংশ ধনেশ পাখির প্রধান আবাস। নিচের দিকে বাঁকানো উজ্জ্বল বর্ণের বিশাল ঠোঁট ধনেশের প্রধান বৈশিষ্ট্য। ঠোঁটের উপরে অধিকাংশ সময়ে প্রবৃদ্ধি দেখা যায়। স্ত্রী ধনেশ গাছের কোটরে ডিম পাড়ে। পরবর্তীতে পুরুষ ধনেশের সহযোগিতা নিয়ে স্ত্রীজাতীয় ধনেশ ডিমে তাপ দেয় এবং বাচ্চাকে বড় করে তোলে। পুরুষ ধনেশ খাবার সংগ্রহ করে নিয়ে আসে এবং স্ত্রী ধনেশ নিজের মুখে বাচ্চাদের খাইয়ে দেয়। তারফলে সাপের ন্যায় বিভিন্ন খাদক প্রজাতির প্রাণী থেকে বাচ্চাকে নিরাপদে রাখে। বাচ্চা উড়তে না শেখা পর্যন্ত এটি সর্বদাই কাছাকাছি অবস্থান করে।


ধনেশ পক্ষীজগতে একমাত্র পাখি যার মেরুদণ্ডের অ্যাটলাস এবং প্রথম দুইটি কশেরুকা একত্রে সংযুক্ত থাকে। সম্ভবত বিশাল ঠোঁটের ভারসাম্য রক্ষার জন্যই এ ব্যবস্থা।বেশ কিছু সংখ্যক ধনেশ প্রজাতি বিলুপ্তির ঝুঁকিতে রয়েছে তাদের বিপদগ্রস্ত প্রজাতি হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। তাদের বেশিরভাগই দ্বীপবাসী প্রজাতি।


ধনেশের স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য হিসেবে রয়েছে এর লম্বা, নিম্নমূখী বাঁকানো ঠোঁট। এদের ঠোঁট স্বাভাবিকভাবে উজ্জ্বল বর্ণের হয়ে থাকে। ইংরেজি এবং বৈজ্ঞানিক নাম উভয় পর্যায়েই বিউসেরাস ব্যবহার করা হয় যা গ্রীক ভাষা থেকে উদ্ভূত। এর অর্থ হচ্ছে গরুর শিং। এদের দুই স্তরবিশিষ্ট কিডনী বা বৃক্ক রয়েছে।

একমাত্র পাখি হিসেবে ধনেশের প্রথম দুইটি ঘাড়ের হাড় এক্সিস এবং এটলাস একে অপরের সাথে মিশে রয়েছে। আর তারফলে অনেক লম্বা ঠোঁটকে আরো স্থিতিশীল অবস্থায় রাখতে এবং ধারণ করতে পেরেছে।পক্ষীগোত্রীয় এ পরিবারের পাখিগুলো সর্বভূক হিসেবে পরিচিত। ফলমূল খাওয়া থেকে শুরু করে ছোট ছোট প্রাণীও এদের প্রধান খাবার। এরা জোড়ায় জোড়ায় থাকতে ভালবাসে। প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট গাছের গর্ত এবং কখনোবা সমুদ্রমূখী পর্বতের গর্তে এরা বাসা বাঁধে। অনেক প্রজাতির ধনেশ বিলুপ্ত এবং বিপদগ্রস্ত অবস্থায় এসে পৌঁছেছে। ফলে স্বল্পসংখ্যক ধনেশ পাখিগুলোর অধিকাংশই ক্ষুদ্র গণ্ডীতে অবস্থান করতে বাধ্য হচ্ছে।


ধনেশের প্রধান আকর্ষণ হচ্ছে তার শক্তিশালী এবং ভারী ঠোঁট যা ঘাড়ের মাংসপেশীর সহায়তাসহ মেরুদণ্ডের সাথে সম্পর্কিত। ধনেশ পাখি সে তার ঠোঁট দিয়ে বিপদ মোকাবেলা করে এবং আহারের সংস্থান ও বাসা তৈরীসহ শিকার কার্যক্রম সম্পন্ন করে থাকে।

তথ্যসূত্রঃ
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:২৩
১১টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×