চিনতে পারো কবি আমি নদী আমি নারী
এই দেখ না কেমন আষ্টে পৃষ্ঠে বেঁধে
মানুষ আমায় মরা লাশ বানিয়েছে
যার হাসি নেই গান নেই কাম নেই
নূপুর পায়ে রিনিঝিনি ছন্দ পায়ে চলা
সেই কবে থেমে গেছে মাতাল হাওয়া
জাগাতে পারেনা আর উত্তাল কামের ঢেউ
পাঁজরের হাড় হয়ে ভেসে থাকে শুষ্ক চরাচর।
বর্ষায় যখন আমার ভরা যৌবন
তখনো ওরা আমায় বধতে চায়
নিষেধের ডোরে এখানে যাবেনা
ওখানে যাবেনা এদিকে না
ওদিকে না এত বাধা এত নিষধ
এভাবে কি বাঁচে কোন নদী কোন নারী ।
মজিদের বউ জমিলার মতো দূর্বার
আমি হেসে উঠি প্রেতের হাসি
ভালবাসা ভুলে ধ্বংস ডেকে আনি
জানো আমার অনেক কষ্ট য় তবুও
আমি জেলেদের কুড়ে ঘর ভেঙ্গে দিই
আমি ভাঙ্গি মসজিদ ভাঙ্গি মন্দির
আমি ভাঙ্গি বালকের খেলাঘর
আমি ভাঙ্গি যত বাধা নিষেধের ডোর
আমার অনেক কষ্ট হয় তবুও ।
অথচ তোমার বুকে যে দুঃখের নদী
আঁকাবাকা ঢেউ তুলে চলে নিরবধি
উতাল পাথাল যেন কাম কাতর নারী
পরক্ষনেই শান্ত সরোবর বাজে রিনিঝিনি
সে নদী এই হাসে তো এই কাঁদে
এই ফুসে উঠে অবরূদ্ধ কামে
এই ছন্দমধুর ছলাত ছলাত গান
তো এই গম্ভীর গর্জন মাতালের খেউড় ।
কোন কিছুতেই কোন বাধা নেই
নির্বিকার কবি
তোমার বুকের মাটি ক্ষয়ে ক্ষয়ে যায়
কামাতুরা নারী নদীর জ্বিভের ঘায়ে
দেখে আমার হিংসা হয় স্বাধ হয়
কবির বুকে এমনি একটা নারী নদী হতে
যার থাকে যখন যা ইচ্ছা অপার স্বাধীনতা ।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ১০:৩৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



