somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মুন্নী সাহা, আপনার অনুভূতি জানতে চাই

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ২:৫৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কয়েকদিন আগে কওমী মাদ্রাসা নিয়ে মুন্নী সাহার একটি রিপোর্ট দেখলাম। মুন্নী সাহা মাদ্রাসা অথবা ইসলামপন্থি কোন প্রতিষ্ঠান নিয়ে বরাবরই যেমন বিব্রতকর প্রশ্ন করে থাকেন এবারও তার ব্যতিক্রম করেন নি। মুন্নী সাহাকে বলা হয়, অনুভূতিময় সাংবাদিক। সবসময় সর্ব বস্থায় আক্রান্ত ব্যক্তির যিনি অনুভূতি জানতে চান তিনিই মুন্নী সাহা। লোকে বলে, যদি সম্ভবহত তাহলে হয়তো মুন্নী সাহা মৃত ব্যক্তিদেরকেও একই প্রশ্ন করতেন, মৃত্যুর পর আপনার অনুভূতি কি?



এই মুন্নী সাহারা যতোটা বীর বিক্রমে,অনুভূতিসহকারে মাদ্রাসা নিয়ে রিপোর্ট করতে পারেন ঠিক ততোটা প্রতিরোধের সাথেই তারা ইংলিশ মিডিয়ায় স্কুলগুলো নিয়ে রিপোর্ট করতে পারেন না। মোর্দা কথা, কোন সাংবাদিকই ইংলিম মিডিয়াম স্কুল গুলোতে প্রবেশ করতে পারেন না। মুন্নী সাহা সম্পর্কে যতোটুকু জানা যায়, তিনি একজন মার্কসবাদী সমাজতান্ত্রিক ছিলেন। তিনি সাম্যের জন্য রাজনীতি করেছেন। কিন্তু তিনি যে সাম্যের বুলি আউড়িয়ে সমাজতন্ত্র করেছিলেন, সেই সাম্যটুকু নিজ কর্মক্ষেত্রে এসে বাস্তবায়ন করছেন না কেন? মাদ্রাসায় গরীবের ছেলে পড়ে আর ইংলিশ মিডিয়ামে বড়লোকের ছেলেরা পড়ে, সে জন্যই কি? তা না হলে তিনি কেন, ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের হর্তাকর্তাদের নিয়ে রিপোর্ট করেন না? তিনি কেন জোর দিয়ে বলেন না, আমরা যতোটা নির্বিগ্নে মাদ্রাসায় গিয়ে রিপোর্ট করতে পারি ততোটা নির্বিগ্নে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল গুলোতে যেতে পারি না কেন? মুন্নী সাহা আপনার অনুভূতি জানতে চাই!

মাদ্রাসা নিয়ে সুশীল সমাজের চুলকানী সেই দেশ স্বাধীনের পর থেকেই শুরু হয়। তখন থেকেই এক শ্রেণীর অতি বুদ্ধিমান যারা বুদ্ধি বিক্রি করে নিজের পেট চালান তারা মাদ্রাসার বিরুদ্ধে ‍বুলি আউড়িয়ে আসছেন। সেই বুদ্ধি বিক্রেতাদের বুলি আওড়ানো যে একে বারেই বৃথা গেছে তা কিন্তু বলতে পারছি না। তাদের চিৎকার আর চেঁচামেচির কারণেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করেও মাদ্রাসার ছাত্ররা পছন্দনুযায়ী সাবজেক্টে পড়তে পারেন না! এক দেশে দুই নীতি। গতবছর মাদ্রাসা ছা্ত্র আব্দুর রহমান ঢাবির ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করেছিলেন। এই বছরও সেই আব্দুর রহমানেরই ছোট ভাই ঢাবির মেধা তালিকায় প্রথম স্থান অধিকার করেছে। সেও কিন্তু মাদ্রাসারই ছাত্র। যে মাদ্রাসা প্রতি বছর দেশকে এরকম মেধাবী উপহার দিচ্ছে সেই মাদ্রাসার বিরুদ্ধে এতো চিৎকার কেন? এটা কি বিশেষ উদ্দেশ্যে প্রণোদিত নয়? মুন্নী সাহা আপনার অনুভূতি জানতে চাই!



মুন্নী সাহা মাদ্রাসা নিয়ে রিপোর্ট করতে গিয়ে খোঁজ করলেন, মাদ্রাসা ছাত্রদের বাংলা পড়ানো হয় কি না। তাদের মাদ্রাসায় নিয়মিত পতাকা উঠানো হয় কিনা। জাতীয় সংগীত গাওয়ানো হয় কি না! এ যেন বিশাল অনুসন্ধানের কাজ। কওমী মাদ্রাসা সম্পর্কে যাদের ধারণা নাই তাদের এই বিষয়টি বোঝার কথা না। কওমী মাদ্রাসা সম্পূর্ণ আলাদা ও স্বতন্ত্র শিক্ষা পদ্ধতির দ্বারা শিক্ষা দেওয়া হয়। যেমনটা ইংলিশ মিডিয়ামের নিজস্ব শিক্ষা পদ্ধতি রয়েছে। ইংলিশ মিডিয়াম যেমন শিক্ষা বোর্ড গুলোকে ফলো করে না তেমনি কওমী মাদ্রাসারাও কোন শিক্ষা বোর্ডকে ফলো করে না। তাদের দু’জনের স্বতন্ত্র শিক্ষা বোর্ড অথবা শিক্ষা কমিশন রয়েছে। তাদের অধিনেই এই দুই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা কার্যক্রম চালানো হয়। জঙ্গি ইস্যু সামনে চলে আসার সঙ্গে মাদ্রাসা শব্দটি মিডিয়া ব্যক্তিত্ব এবং সাংবাদিকদের মুখে গরুর মুখের জাবর কাটার মত আওড়ানো হয়েছিল! কয়েকজন অতি উৎসাহি সাংবাদিকতো আগ বাড়িয়ে বলেই ফেলেছিলেন, সরকার কি এইবার মাদ্রাসা শিক্ষাকে স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেবার কথা ভাবতে পারে না! কিন্তু জঙ্গি হামলার ‍মূল হোতাদের পরিচয় যখন প্রকাশ পেল এবং জানা গেল তারা ইংলিশ মিডিয়ামের স্বনামধন্য শিক্ষার্থী। সেই সাথে তারা কয়েকজন আওয়ামিলীগ নেতার সন্তান। তখন সেই সাংবাদিকরা আগবাড়িয়ে কেন বলে না, ইংলিশ মিডিয়াম শিক্ষা কার্যক্রম দেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাড়িয়েছে। আওয়ামিলীগ নেতাদের সন্তানরা যে হারে জঙ্গি কার্যক্রমে জড়িয়ে পড়ছে তারা কি তাদের সন্তানদের শিক্ষা নিয়ে আর এক ভাবতে পারছেন না?

জনাবা মুন্নী সাহা! বেসরকারী টেলিভিশনে টিভি রিপোর্টিং যাদের হাত ধরে শুরু হয়েছে তাদের মধ্যে আপনি অন্যতম। আপনাকে দেখে অন্য সাংবাদিকরা শিখবে। তাই দয়া করে উপরোক্ত বিষয়গুলোতে, আপনার অনুভূতি জানতে চাই। আপনি কি আপনার অনুভূতিগুলো আমাদের বলবেন?
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ২:৫৯
৬টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লবণ্যময়ী হাসি দিয়ে ভাইরাল হওয়া পিয়া জান্নাতুল কে নিয়ে কিছু কথা

লিখেছেন সম্রাট সাদ্দাম, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১:৫৪

ব্যারিস্টার সুমনের পেছনে দাঁড়িয়ে কয়েকদিন আগে মুচকি হাসি দিয়ে রাতারাতি ভাইরাল হয়েছিল শোবিজ অঙ্গনে আলোচিত মুখ পিয়া জান্নাতুল। যিনি একাধারে একজন আইনজীবি, অভিনেত্রী, মডেল ও একজন মা।



মুচকি হাসি ভাইরাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিল্টন সমাদ্দার

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ৩:০৬

অবশেষে মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেফতার করেছে ডিবি। এবং প্রেস ব্রিফিংয়ে ডিবি জানিয়েছে সে ছোটবেলা থেকেই বদমাইশ ছিল। নিজের বাপকে পিটিয়েছে, এবং যে ওষুধের দোকানে কাজ করতো, সেখানেই ওষুধ চুরি করে ধরা... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবন চলবেই ... কারো জন্য থেমে থাকবে না

লিখেছেন অপু তানভীর, ০২ রা মে, ২০২৪ সকাল ১০:০৪



নাইমদের বাসার ঠিক সামনেই ছিল দোকানটা । দোকানের মাথার উপরে একটা সাইনবোর্ডে লেখা থাকতও ওয়ান টু নাইন্টি নাইন সপ ! তবে মূলত সেটা ছিল একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। প্রায়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ ঠেকাতে পুলিশি নির্মমতা

লিখেছেন এমজেডএফ, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:১১



সমগ্র যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে বিক্ষোভের ঝড় বইছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ কর্মসূচী অব্যাহত রয়েছে। একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিক্ষোভ দমনের প্রচেষ্টা চালালেও তেমন সফল... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ ০১

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৫



নতুন নতুন শহরে এলে মনে হয় প্রতি টি ছেলেরি এক টা প্রেম করতে ইচ্ছে হয় । এর পেছনের কারন যা আমার মনে হয় তা হলো, বাড়িতে মা, বোনের আদরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×