বছর পাঁচেক জুনিয়র হবে ছেলেটা। খুব ম্যাচিউর ওর লেখার হাত যদিও কলেজের গন্ডি পেরোয়নি এখনো। একদিন ইনবক্সে লিখলাম, “তুমি এত ছোট অথচ দারুণ লেখো” ছেলেটা রিপ্লাই দিলো সাথে সাথেই । এরপর প্রায়ই নক করতো । বয়সে এতো জুনিয়র বলেই ওকে পিচ্চি ডাকতাম, তুই তোকারি ই করতাম। এইটুকুন বয়সেই সে ছিলো তুখোড় বাচালদের একজন।
একদিন লিখলো, “ইশশ! তোমার চোখ !” রিপ্লাই দিলাম “কি হইছে” ... বললো “সুড়সুড়ি দেয়” ... হাহাহা হেসে বাঁচি না এইটুকু পুচকে ছেলের ফ্ল্যার্ট করার দক্ষতা দেখে। নেগেটিভলি নিতে পারতাম না এত জুনিয়র বলেই হয়তো বরং ছোট ভাই এর মতো লাগতো।
একদিন দুম করে সে হাওয়ায় মিলিয়ে গেলো। মাসখানেক পরে একরাতে টেক্সট আসলো “এই আমি হয়তো পাগল হয়ে যাচ্ছি” “ক্যানো কি হয়েছে আবার ???” বললো, “দেখো আমার ওজন কমে অর্ধেক হয়ে গেছি” ছবি পাঠালো ... দেখলাম সত্যি চোখের নীচে কালি, গলার হার উঁচু হয়ে আছে। জানতে চাইলাম বারবার। কিছু বললো না।
দিন চারেক পর আবারো ইনবক্স- “আমায় তুমি বাঁচাও” “কি করেছি আমি?”
“তুমি ... তুমিই মেরেছো আমায়। এখন ভাণ করছো কিস্যু জানো না। আমি দিনকে দিন পাগল হয়ে যাচ্ছি তুমি দেখেও দেখছো না!”
বুকের ভেতর ছ্যাঁত করে উঠলো ! বলে কি এই ছেলে! ওকে কোনো রিপ্লাই দেয়ার সাহস হলোনা।
গভীর রাতে আবার ইনবক্স - দুই অক্ষরে লেখা “মরতে যাচ্ছি”
একটা লম্বা দীর্ঘশ্বাস ফেলে আইডিটা ব্লক করে ফেসবুক থেকে বেরিয়ে এলাম। রাত আড়াইটে। ঘুমানো দরকার, কাল সকালে একটু আগেই যেতে হবে ভার্সিটি তে ।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


