খুন-খারাবি-রাহাজানি-অরাজকতার স্থান নেই ইসলামে:
প্রাক ইসলাম যুগে আইয়ামে জাহেলিয়াতের ঘুনে ধরা আরব সমাজে হত্যা, নির্যাতন, নিপীড়ন, অনাচার ছিল নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। এককথায় বলতে গেলে অঘোষিত 'জোর যার মুল্লুক তার' নীতিই ছিল সমাজের সর্বস্তরে কার্যকর। দুর্বলের উপর সবলের অত্যাচার অবিচারে ছেয়ে ছিল তখনকার গোটা সমাজ। শান্তির ধর্ম ইসলামের অভ্যুদয়ের মাধ্যমে মানবেতিহাসে সূচিত হয় নতুন মানবিকতার ধারা। সকল প্রকারের খুন-খারাবি, হত্যা, রাহাজানি, রক্তপাত, অরাজকতা, সন্ত্রাস ও সহিংসতাকে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয় ইসলাম ধর্মের বিধানে। ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে শান্তি, স্থিতিশীলতা, সম্প্রীতি ও নিরাপত্তা- বিশ্ববাসীর সামনে কুরআন হাদিসের এ মর্মবাণী তুলে ধরলেন রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। বিদায় হজের ভাষণে লক্ষাধিক সাহাবির সম্মুখে গোটা বিশ্ববাসীর জানমালের নিরাপত্তার অমিয় বানী উচ্চারণ করে শোনালেন। দৃপ্ত কন্ঠে তিনি ঘোষনা দিলেন- ‘তোমাদের রক্ত তথা জীবন ও সম্পদ পরস্পরের জন্য হারাম; যেমন আজকের এই দিনে, এই মাসে ও এই শহরে অন্যের জানমালের ক্ষতিসাধন করা তোমাদের ওপর হারাম।’
নিরপরাধ কাউকে হত্যা করা মহাপাপ:
অন্যায়ভাবে নিরপরাধ কাউকে হত্যা করা মহাপাপ। কোনো ব্যক্তি যদি নিরপরাধ কোনো মানুষকে হত্যা করে, তবে এর জন্য তাকে আল্লাহ তাআ'লার বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। হত্যার বদলে হত্যার ন্যায় কঠিন শাস্তি তাকে অবশ্যই পেতে হবে। পরকালে হত্যাকারীর জন্য রয়েছে ভয়ঙ্কর এবং মর্মন্তুদ শাস্তি। তা সত্ত্বেও আজ অতি সামান্য কারণে তুচ্ছাতিতুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে খুন-খারাবিতে মেতে ওঠে মানুষ। সাম্প্রতিক সময়ে 'ছেলেধরা', 'গলাকাটা' ইত্যাদি গুজবে কান দিয়ে অহেতুক নিরীহ মানুষজনকে হত্যা করা হচ্ছে। কোথাও কোথাও দেখা যায়, সামান্য অর্থসম্পদ লাভের আশায় গোটা পরিবারকে হত্যা করতেও কুণ্ঠিত হয় না কেউ কেউ। ইদানিংকালে প্রতিদিনের সংবাদপত্রে উঠে আসা এসব হত্যাকাণ্ডের বীভৎস চিত্র দেখে স্তব্ধ হয়ে যেতে হয়। বিবেকের দংশনে নিজেকেই ধিক্কার দিতে ইচ্ছে হয়। হায়, কেন মানুষ হলাম? এতই নীচ, এতটাই রক্তপিপাসুদের কি 'আশরাফুল মাখলূকাত' নামে ভূষিত করা মানায়? দিনকে দিন কেন আমরা এমন নৃশংস হয়ে যাচ্ছি? অথচ হত্যা এমন একটি জঘন্য অপরাধ, যা আল্লাহ তাআ'লার নিকট কঠিনতম অপরাধ এবং নিকৃষ্টতম মারাত্মক গুনাহ হিসেবে বিবেচিত। তিরমিজি শরিফে উল্লেখিত এক হাদিসের ভাষ্যানুসারে হত্যা জগতকে ধ্বংস করে দেয়ার চেয়েও ঘৃণিত কাজ। হাদিসে বলা হয়েছে- ‘দুনিয়া ধ্বংস করে দেওয়ার চেয়েও আল্লাহর কাছে ঘৃণিত কাজ হলো মানুষ হত্যা করা।’
নিরীহ ও নিরপরাধ একজন মানুষকে হত্যা করা গোটা মানবজাতিকে হত্যা করারই নামান্তর:
পবিত্র কুরআনের ভাষায়- একজন নিরীহ ও নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করা গোটা মানবজাতিকে হত্যা করারই নামান্তর। আর কোনো ব্যক্তি যদি কারও প্রাণ রক্ষা করে, সে যেন পৃথিবীর সকল মানুষের প্রাণ রক্ষা করল। সে কারণেই অন্যায়ভাবে মানুষ হত্যাকে সবচেয়ে বড় গুনাহ বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে নরহত্যার ভয়ানক পরিণাম বর্ণিত হয়েছে আল কুরআনে। ইরশাদ হয়েছে-
مَن قَتَلَ نَفْسًا بِغَيْرِ نَفْسٍ أَوْ فَسَادٍ فِي الأَرْضِ فَكَأَنَّمَا قَتَلَ النَّاسَ جَمِيعًا وَمَنْ أَحْيَاهَا فَكَأَنَّمَا أَحْيَا النَّاسَ جَمِيعًا
‘নরহত্যা বা পৃথিবীতে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তি ছাড়া কেউ কাউকে হত্যা করলে সে যেন দুনিয়ার সমগ্র মানবগোষ্ঠীকে হত্যা করল; আর কেউ কারও প্রাণ রক্ষা করলে সে যেন পৃথিবীর সমগ্র মানবগোষ্ঠীকে প্রাণে রক্ষা করল।’ (সূরা আল-মায়িদা, আয়াত: ৩২)
If any one slew a person - unless it be for murder or for spreading mischief in the land - it would be as if he slew the whole people: and if any one saved a life, it would be as if he saved the life of the whole people.
অন্যায়ভাবে মানুষ হত্যা ইসলামে নিষিদ্ধ:
অন্যায়ভাবে মানুষ হত্যা ইসলামে নিষিদ্ধ। ইসলাম অন্যায়ভাবে কোনো মানব সন্তান হত্যাকে কঠোর ভাষায় নিষিদ্ধ করেছে। নিরপরাধ ব্যক্তিদের হত্যা করা ইসলামের নীতি আদর্শের সাথে কোনোভাবেই সংগতিপূর্ণ নয়। একথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, পরিবারের কোনো একজন সদস্য নিহত হলে বা গুম হলে গোটা পরিবারের ওপরই নেমে আসে তার বিশাল একটি প্রভাব। উপার্জনক্ষম কোনো পিতাকে হারালে সে পরিবারের বাকি সদস্যরা পথে বসে যান। মাকে হারালেও ইয়াতিম অসহায় হয়ে পড়ে সন্তানেরা। মায়ের আদর সোহাগ স্নেহ বঞ্চিত হয়ে তারা। এমনি করে ভাই, বোন, আত্মীয় কিংবা সন্তান হারানোর বেদনাও বয়ে বেড়াতে হয় বাকি সারাটি জীবন। স্বজনহারাদের পরিবারে নেমে আসে শোকের ছায়া। আজীবন তারা বয়ে বেড়ান এ শোক। আর পারিবারিক, সামাজিক ও আর্থিক বহুবিধ সমস্যার ঘেরাটোপে নিপতিত হয় পুরো পরিবারটি। সর্বোপরি মাতৃ ও পিতৃস্নেহ থেকে বঞ্চিত হয় নিহতের সন্তান-সন্ততিরা। স্ত্রী হয়ে যান বিধবা কিংবা স্বামীকে হতে হয় স্ত্রীহারা। মা-বাবা হারান তাঁদের কলিজার টুকরা সন্তান। এর চেয়ে বড় অন্যায়, নিকৃষ্ট জুলূম আর কী হতে পারে? এজন্যই খুনি জালিমদের জন্য রয়েছে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা। পবিত্র কুরআনের ভাষায়-
إِنَّمَا السَّبِيلُ عَلَى الَّذِينَ يَظْلِمُونَ النَّاسَ وَيَبْغُونَ فِي الْأَرْضِ بِغَيْرِ الْحَقِّ أُوْلَئِكَ لَهُم عَذَابٌ أَلِيمٌ
‘কেবল তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা অবলম্বন করা হবে, যারা মানুষের ওপর জুলুম করে এবং পৃথিবীতে অন্যায়ভাবে বিদ্রোহাচরণ করে বেড়ায়, তাদের জন্য রয়েছে কঠিন শাস্তি।’ (সূরা আশ-শুরা, আয়াত: ৪২)
The blame is only against those who oppress men and wrong-doing and insolently transgress beyond bounds through the land, defying right and justice: for such there will be a penalty grievous.
কিয়ামতে সর্বাগ্রে মানুষ খুনের বিচার:
হাদিসের ভাষ্যে জানা যায়, কিয়ামতের দিন নরহত্যার বিচার করা হবে সর্বাগ্রে, এরপরে পর্যায়ক্রমে অন্যান্য অপরাধের শাস্তির ফয়সালা হবে। রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘কিয়ামতের দিন মানুষের মধ্যে সর্বপ্রথম যে মোকদ্দমার ফায়সালা হবে, তা হলো রক্তপাত বা হত্যা সম্পর্কিত।’
নিরপরাধ মানুষ হত্যা কোনো অবস্থায়ই সমর্থনযোগ্য নয়:
ধর্মীয় বিধানাবলী পর্যালোচনা করে কোথাও নিরপরাধ মানুষ হত্যার সমর্থনে কোনো যুক্তি যেমন পাওয়া যায় না, তেমনি মানবতা ও নৈতিকতার কোনো স্তরেই নিরপরাধ মানুষের প্রাণহানি ও অহেতুক রক্তপাতের সমর্থনে কোনো বক্তব্য চিন্তা করা যায় না। পবিত্র কুরআনে মানুষের জীবনের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্পষ্টভাবে সতর্কবাণী উচ্চারিত হয়েছে। আল্লাহ তাআ'লা ইরশাদ ফরমান-
وَلاَ تَقْتُلُواْ النَّفْسَ الَّتِي حَرَّمَ اللّهُ إِلاَّ بِالحَقِّ
‘আল্লাহ যার হত্যা নিষিদ্ধ করেছেন যথার্থ কারণ ব্যতিরেকে তোমরা তাকে হত্যা করো না।’ (সূরা বনি ইসরাইল, আয়াত-৩৩)
Nor take life - which Allah has made sacred - except for just cause.
হত্যা মহাপাপ; এর জন্য রয়েছে পরকালে কঠোর শাস্তি:
অন্যান্য অপরাধের গুনাহ ক্ষমা করলেও হত্যাকারীকে আল্লাহ তাআ'লা ক্ষমা করবেন না। হত্যার শিকার ব্যক্তি ধনী-গরিব, শিক্ষিত-অশিক্ষিত, যুবক-বৃদ্ধ যে শ্রেনি পেশার মানুষই হোন না কেন, হত্যাকারীকে এর শাস্তি পেতেই হবে। রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যদি আসমান-জমিনের সব অধিবাসী একজন মুসলমানকে অবৈধভাবে হত্যা করার জন্য একমত পোষণ করে, তবে আল্লাহ তাদের সবাইকে অবশ্যই জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন।’ (মুসনাদে আহমাদ)
মাকে হারিয়ে কান্নারত ৪ বছরের ছোট্ট সোনামনি তাসনিমা তুবা, পাশে গনপিটুনিতে নিহত মা তাসলিমা বেগম। ছবি: ইনকিলাব অনলাইন থেকে সংগৃহীত।
তাসনিমা তুবা মাকে ছাড়া খাবে না:
মা তো আর ফিরবেন না! ফিরতে পারবেন না! ফেরার উপায় নেই! তিনি চলে গেছেন না ফেরার দেশে! এই চরম সত্যটা বোঝার বয়স এখনও হয়নি ছোট্ট তাসনিমা তুবার। মা নেই প্রায় তিন দিনের বেশি, তবু সেটা বুঝে উঠতেই পারছে না ছোট্ট তুবামনি। প্রথম দিকে মগ্ন ছিল পুতুলখেলায়, এখন তার মাকে চাই। মাকে ছাড়া সে খাবে না। বারবার বলছে, ‘মা কখন আসবে? মা কেনো আসছে না? মা না এলে আমি ভাত খাব না।’
তুবা মাকে হারিয়েছে ২০ জুলাই শনিবার। এদিন সকালে তুবাকে স্কুলে ভর্তির বিষয়ে খোঁজ খবর নিতে গিয়ে গনপিটুনিতে নিহত হন মা তাসলিমা বেগম। মাকে হারানোর দু'দিন পেরিয়ে গেলেও তুবা বুঝতে পারেনি। তাকে ভুলিয়ে রাখা হয়েছিল। কিন্তু দু'দিন পেরিয়ে যাওয়ার পর গতকাল সোমবার (২২ জুলাই) তাকে আর বুঝিয়ে রাখা যাচ্ছিল না। বারবার বলছিল- 'মা কোথায়? মা কেন আসছে না? আমি মায়ের কাছে যাব।' সারাদিন মায়ের অপেক্ষায় ছিল চার বছরের ছোট্ট সোনামনি তাসনিমা তুবা। মাঝেমধ্যেই ভেঙে পড়ছিল কান্নায়। তুবার বড় ভাই ১১ বছরের তাহসিন আল মাহিন অন্তত বুঝতে পেরেছে, তাদের মা চলে গেছেন না ফেরার দেশে। ফিরে আসবেন না আর কোনো দিন। মায়ের প্রিয় মুখ দেখার সুযোগ হবে না আর কোনো দিন। কিন্তু চার বছরের ছোট্ট সোনা এই বোনটিকে সান্ত্বনা দিবে কে? কে তাকে বুঝাবে যে, আম্মু আর ফিরে আসবেন না কোনো দিন? মাতৃস্নেহ বঞ্চিত দুই কঁচি সন্তানের বুকভরা হাহাকার আর আহাজারিতে ভারি হয়ে আছে আকাশ বাতাস! শোকে-দুঃখে নির্বাক নিথর তুবা আর মাহিনের স্বজন-পরিবার! কে দিবে তাদের সান্ত্বনা? কে দিবে এই অবুঝ ইয়াতিমদের মাথায় স্নেহের পরশ বুলিয়ে? মায়ের অভাব কিসে পূরণ হবে এই দুই সন্তানের?
গনপিটুনির হোতাদের চিহ্নিত করে উপযুক্ত শাস্তির আওতায় আনা হোক:
সাম্প্রতিক সময়ে গত কিছু দিনের ব্যবধানে এ পর্যন্ত দেশের যেসব এলাকায় যতগুলো গনপিটুনির ঘটনা ঘটেছে এবং এর ফলে যত জন লোককে মেরে ফেলা হয়েছে, নেত্রকোনার একটি ঘটনা ব্যতিত বাকি প্রায় প্রত্যেকটিই ভিত্তিহীন অভিযোগে ঘটানো হয়েছে বলে সংবাদ মাধ্যমগুলোর বিশ্লেষনে উঠে এসেছে। আইন নিজের হাতে তুলে নেয়া এসব কর্মকান্ডের হোতা লাঠিয়াল বাহিনীর সদস্যদের চিহ্ণিত করে উপযুক্ত বিচারের আওতায় আনা হোক। সংঘটিত প্রতিটি ঘটনার তথ্য প্রমান বিশ্লেষন করে প্রত্যেক অপরাধিকে আইনের মুখোমুখি করা এখন সময়ের দাবি।
সুখবর হচ্ছে, রাজধানী বাডডায় গত শনিবার ২০ জুলাই সরকারি প্রাইমারি স্কুলে নিজের ৪ বছরের মেয়ে তাসনিমা তুবাকে ভর্তির বিষয়ে খোঁজ খবর নিতে যাওয়া নারী তাসলিমা বেগম হত্যার ঘটনায় আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ইতোমধ্যেই বেশ কয়েকজনকে ধরতে সক্ষম হয়েছেন। দেশের অন্য কয়েকটি গনপিটুনির ঘটনায়ও তাদের ভূমিকা আশাব্যঞ্জক। অপরাধীদের ধরতে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। আশা করা যায়, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহনে বাকিদেরও তারা দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসতে সক্ষম হবেন। অার দু'একটি ঘটনায় দোষীদের বিচারের আওতায় আনা গেলেই বাকি লাঠিয়ালদেরও কিছুটা হলেও বোধোদয় হবে বলে ধরে নেয়া যায়।
চাই অন্যায় অত্যাচারবিহীন সঙ্ঘাতমুক্ত নিরাপদ আদর্শ সমাজ:
বিবাদ বিসংবাদ নয় চাই অন্যায় অত্যাচারবিহীন সঙ্ঘাতমুক্ত নিরাপদ আদর্শ একটি সমাজ। যে সমাজে মানুষে মানুষে থাকবে না কোনো কলহ-ক্লেশ। থাকবে না কোনো দ্বন্ধ-সংঘাতের কলুষ কালিমা। থাকবে না কোনো দাঙ্গা-হাঙ্গামা-অশান্তি তথা ফাসাদ। যেখানে বিরাজ করবে শুধু শান্তির সুন্দর পরিবেশ। আর শান্তিময় কান্তিময় এমন আলোকোজ্জ্বল একটি সমাজ প্রতিষ্ঠায় কুরআন-সুন্নাহর বিধান বাস্তবায়নের বিকল্প নেই। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে সকল প্রকার উগ্রতা পরিহার করে, অশান্তি, নৈরাজ্য, বিশৃঙ্খলা, হানাহানি, উগ্রতা, বর্বরতা, সহিংসতা ও হত্যাকাণ্ড থেকে মুক্ত থেকে সুন্দর একটি পৃথিবী উপহার দিতে কুরআনের জ্ঞান অর্জন করার তাওফিক দান করুন। কুরআনের আলোকে আলোকিত হয়ে দুনিয়া ও আখিরাতের সফলতা লাভ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
ছবি: অন্তর্জাল।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৪:৩০