somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

নতুন নকিব
আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

সত্যিকারের ধনী ব্যক্তি.....

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৩৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



সত্যিকারের ধনী ব্যক্তি.....

একবার এক লোক বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি বিল গেটসকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, "পৃথিবীতে তোমার চেয়ে ধনী আর কেউ আছে কি?"

বিল গেটস জবাব দিয়েছিলেন, "হ্যাঁ, এমন একজন আছেন যিনি আমার চেয়েও ধনী”।

"কে তিনি?" -বিল গেটস এর কাছে জানতে চাইলেন ভদ্রলোক।

উত্তরে বিল গেটস তাকে নিচের গল্পটি শুনিয়ে দিলেন-

“সে অনেক দিন আগের কথা। তখন আমি ধনাঢ্য বা বিখ্যাত ছিলাম না। একবার কোনো কাজে নিউইয়র্ক বিমান বন্দরে এসেছিলাম। সেখানে একজন সংবাদপত্র বিক্রেতার সাথে আমার সাক্ষাত হলো।’’

“আমি একটি সংবাদপত্র কিনতে চেয়েছিলাম কিন্তু দেখেছি আমার কাছে যথেষ্ট টাকা নেই। তাই আমি কেনার সিদ্ধান্ত বাদ দিয়ে পেপারটি বিক্রেতাকে ফিরিয়ে দিয়েছিলাম।"

বিক্রেতা আমার প্রতি আন্তরিকতা দেখিয়ে কিছু জানতে চাইলে আমি তাকে আমার অবস্থার কথা বলেছিলাম।

বিক্রেতা তখন বললেন, "আমি আপনাকে বিনামূল্যে দিচ্ছি।"

তখন পত্রিকাটি আমি গ্রহন করেছিলাম।

এর ঠিক দুই থেকে তিন মাস পরের ঘটনা। আমি একই বিমান বন্দরে আবার গিয়েছি এবং কাকতালীয়ভাবে আবারও সেই পত্রিকা বিক্রেতার সাথে আমার দেখা। বিক্রেতা আমাকে আজও একটি পত্রিকা অফার করলেন। আমি বিনয়ের সাথে অপারগতা প্রকাশ করেছিলাম এবং বলেছিলাম যে আমি এটি নিতে পারি না, কারণ এখনও আমার পরিবর্তন আসেনি।

তিনি বললেন, '‘আপনি এটি নিতে পারেন, আমি এটি আমার লভ্যাংশ থেকে আপনাকে দিচ্ছি, আমার ক্ষতি হবে না'’।

বিক্রেতার আগ্রহে আমি সেদিনও পত্রিকাটি নিয়েছিলাম।

ঐ ঘটনার ১৯ বছর পরে আমি বিখ্যাত এবং মানুষের কাছে পরিচিত হয়ে উঠি। হঠাৎ একদিন মনে পড়ে গেল সেই পত্রিকা বিক্রেতার কথা। আমি তাকে খুঁজতে শুরু করলাম এবং দীর্ঘ প্রায় দেড় মাস অনুসন্ধানের পরে তার সন্ধান পেয়ে গেলাম। এত বছর পরে লোকটিকে খুঁজে পেয়ে আমার তখন খুবই ভালো লাগছিল। নিজের সৌভাগ্যের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছিলাম।

“আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম, "আপনি কি আমাকে চেনেন?"

তিনি বলেছিলেন, "হ্যাঁ, আপনি বিল গেটস।"

“আমি তাকে আবার জিজ্ঞেস করলাম, "আপনার কি মনে আছে, একবার আমাকে বিনামূল্যে একটি পত্রিকা দিয়েছিলেন?"

“বিক্রেতা বললেন, "হ্যাঁ, মনে আছে। আপনাকে দু’বার দিয়েছি।"

“আমি বললাম, "আপনি যে আমাকে বিনামূল্যে পত্রিকা দিয়েছিলেন তা আমি ফিরিয়ে দিতে চাই। আপনি আপনার নিজের জন্য যা চান বলুন। আমি এটি পূরণ করব।"

বিক্রেতা বললেন, "স্যার, আপনি এমন কিছু দিতে পারবেন না, যা আমার সাহায্যের সমান হবে।"

আমি জিজ্ঞেস করলাম, "কেন?"

তিনি বলেছিলেন, "আমি আপনাকে সংবাদপত্র দিয়েছিলাম আমার দরিদ্র অবস্থান থেকে। আর আপনি এখন বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হয়ে আমাকে সাহায্য করার চেষ্টা করছেন। আপনার সাহায্য কীভাবে আমার সাহায্যের সমান হবে?"

"সেদিন আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে সংবাদপত্রের বিক্রেতা আমার চেয়ে সত্যিই বেশি ধনী, কারণ তিনি কাউকে সাহায্য করার জন্য ধনী হওয়ার অপেক্ষা করেননি। তার যখন নিতান্ত দরিদ্র অবস্থা, তখন থেকেই তিনি মানুষকে সাহায্য করতেন। দুই দুইবার আমাকে বিনামূল্যে পত্রিকা দিয়ে সাহায্য করেছেন।"

আসলেই তো তাই সত্যিকারের ধনী তো অর্থ-বিত্তের প্রাচুর্যের দ্বারা হওয়া যায় না। প্রকৃতপক্ষে ধনী ব্যক্তি তো তাঁরাই যাদের প্রচুর অর্থ-বিত্ত-বৈভবের চেয়ে প্রাচুর্যপূর্ণ হৃদয় রয়েছে।

হাদিসের ভাষ্যে আমরা জানতে পারি, যেসব গরিব মানুষ আল্লাহ তাআ'লা এবং রসূলে মাকবূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নির্দেশ পালন করতে কষ্টকে বরণ করে নেয়, তাদের গুরুত্ব মহান প্রতিপালকের নিকট অনেক বেশি। তবে এ কষ্টের অর্থ নিজেকে নিঃস্ব করে ফেলা নয়।

প্রখ্যাত সাহাবী হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, 'হে আল্লাহর রসূল! কোন প্রকারের দান-খয়রাত উত্তম? উত্তরে রসূলে মাকবূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন- গরিবের কষ্টের দান। যাদের ভরণ-পোষণের দায়িত্ব তোমার ওপর তাদের থেকে দান-খয়রাত শুরু কর' (আবু দাউদ থেকে মিশকাতে)।

গল্পটি সংগৃহীত এবং পরিমার্জিত।

ছবি: অন্তর্জাল।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৩৪
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=বেনারসী রঙে সাজিয়ে দিলাম চায়ের আসর=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫২



©কাজী ফাতেমা ছবি
মনে কি পড়ে সেই স্মৃতিময় সময়, সেই লাজুক লাজুক দিন,
যেদিন তুমি আমি ভেবেছিলাম এ আমাদের সুদিন,
আহা খয়েরী চা রঙা টিপ কপালে, বউ সাজানো ক্ষণ,
এমন রঙবাহারী আসর,সাজিয়েছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিজ্ঞানময় গ্রন্থ!

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪২

একটু আগে জনৈক ব্লগারের একটি পোস্টে কমেন্ট করেছিলাম, কমেন্ট করার পর দেখি বেশ বড় একটি কমেন্ট হয়ে গেছে, তাই ভাবলাম জনস্বার্থে কমেন্ট'টি পোস্ট আকারে শেয়ার করি :-P । তাছাড়া বেশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

অস্ট্রেলিয়ার গল্প ২০২৪-৪

লিখেছেন শায়মা, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৫


চলে যাবার দিন ঘনিয়ে আসছিলো। ফুরিয়ে আসছিলো ছুটি। ছোট থেকেই দুদিনের জন্য কোথাও গেলেও ফিরে আসার সময় মানে বিদায় বেলা আমার কাছে বড়ই বেদনাদায়ক। সেদিন চ্যাটসউডের স্ট্রিট ফুড... ...বাকিটুকু পড়ুন

আপনি কি বেদ, উপনিষদ, পুরাণ, ঋগ্বেদ এর তত্ত্ব বিশ্বাস করেন?

লিখেছেন শেরজা তপন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫২


ব্লগে কেন বারবার কোরআন ও ইসলামকে টেনে আনা হয়? আর এই ধর্ম বিশ্বাসকে নিয়েই তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে সবাই? অন্য ধর্ম কেন ব্লগে তেমন আলোচনা হয় না? আমাদের ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ‘অন্তরবাসিনী’ উপন্যাসের নায়িকাকে একদিন দেখতে গেলাম

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৫

যে মেয়েকে নিয়ে ‘অন্তরবাসিনী’ উপন্যাসটি লিখেছিলাম, তার নাম ভুলে গেছি। এ গল্প শেষ করার আগে তার নাম মনে পড়বে কিনা জানি না। গল্পের খাতিরে ওর নাম ‘অ’ ধরে নিচ্ছি।

... ...বাকিটুকু পড়ুন

×