somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

নতুন নকিব
আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নারী ও শিশু নির্যাতন : অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সফলতা প্রশংসনীয়

১১ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ছবিঃ অন্তর্জাল।

নারী ও শিশু নির্যাতন : অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সফলতা প্রশংসনীয়

নারীর প্রতি নিষ্ঠুরতা, শিশুদের প্রতি অমানবিকতা সাম্প্রতিককালে দেশে ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে। নারী ও শিশু নির্যাতনে পেছনের রেকর্ড সম্ভবতঃ ভেঙ্গে গেছে। পেপার পত্রিকায় প্রকাশিত নির্যাতন নিপীড়নমূলক সংবাদগুলো দেখে এমনটাই মনে হচ্ছে। নির্যাতনের ঘটনা বাড়ছে দিনকে দিন। এসব পাশবিকতা দেখে দেখে নিজের কাছে নিজেকে বড় অসহায় লাগে। নির্যাতিতা নারী শিশুদের জন্য কিছু করতে পারছি না ভেবে খারাপ লাগছে। কিভাবে আমাদের এই সুন্দর দেশকে ধর্ষকমুক্ত করা যায়, ভেবে পাচ্ছি না। চারিত্রিক সংশোধন স্কুল, কলেজ, মাদরাসার পড়াশোনার সিলেবাসে হয়তো কভার করে না। এর জন্য দরকার পারিবারিক, সামাজিক এবং ধর্মীয় অনুশাসনের। ধর্মীয় বিধি বিধানের সঠিক চর্চা ও যথাযথ প্রয়োগ। এইগুলোই একজন মানুষকে সত্যিকারের মানুষ বানাতে পারে।

সাম্প্রতিক আমরা বিস্ময়ের সাথে লক্ষ্য করেছি, সিলেটের এমসি কলেজে সংঘবদ্ধ ধর্ষনের ঘটনাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বেশ কিছু ধর্ষন ও নারী শিশু নির্যাতনের ঘটনা আলোচিত হয়েছে। কলেজ পড়ুয়া জেনারেল শিক্ষিতরা ধর্ষন ইত্যাদি অপরাধ করলেও এক্ষেত্রে কুরআন হাদিস যারা পড়েন এবং পড়ান, যারা আলেম, ইমাম- তাদেরকে আমাদের দেশের মানুষ বিশেষ সম্মান ও মর্যাদার চোখে দেখে থাকেন। আলাদা শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা পোষন করেন তাদের প্রতি। এই শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা কুরআন হাদিসের প্রতি, রাসূলে পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রতি, স্বয়ং আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলার প্রতি। এটি ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে। যারা এই শ্রদ্ধার শিকল কেটে দিতে চায়, যারা এই বিশ্বাসকে হত্যা করতে চায়, তাদের বিচার আরও কঠোরভাবে হওয়া উচিত।

গভীর রাতে মাদরাসা প্রধান ধর্ষন করেছেন ছাত্রীকেঃ

কওমি মাদরাসার প্রধান শিক্ষক ও পরিচালক গভীর রাতে আবাসিক মাদরাসায় থাকা ঘুমন্ত ছাত্রীকে ডেকে নিয়ে ধর্ষন করেছেন। মাদ্রাসায় ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ, সুপার পলাতক সংবাদে লেখা হয়েছে- তিনি না কি আলেম। তার নামের সাথে যুক্ত করা হয়েছে 'মাওলানা' শব্দটি। মাদরাসার প্রধান হিসেবে তার ডেজিগনেশনে বলা হয়েছে তিনি 'সুপার'। আমি বলি, তিনি জঙ্গলে পরিপূর্ণ আগাছায় ভরা খেত মাত্র। তার ভেতরে তো পশুর বিচরণ। মানুষ হবার শিক্ষা তিনি লাভ করেননি। তাকে সুপার বলা অন্যায়। কারণ, আমার বিশ্বাস, এই ভদ্রলোক 'সুপার' Super বা superintendent শব্দটি বানানও করতে পারবেন না। কেমনে পারবেন? জানলে তো? তার তো এগুলো জানার কথা নয়। তো প্রশ্ন হচ্ছে, এইসব লোককে সুপার বলে সুপার শব্দটির অবমাননা হচ্ছে কি না, সেটাই এখন প্রশ্ন। ইমাম, মুআজ্জিন আর মাদরাসার মুহতামিম যিনি বা যারাই এমন ঘৃণ্য কাজে লিপ্ত হবেন- এদেরকে প্রকৃত বিচারের আওতায় দরকার। তবে, অনেকে ধর্ষকদের মৃত্যুদন্ডের বিধান রেখে আইন সংশোধনের দাবি তুলেছেন। সরকারও এ বিষয়ে আন্তরিকভাবে কাজ করছেন বলে জানা গেছে। তবে এর পাশাপাশি, খোজাকরণের বিষয়টিও বিবেচনায় রাখা যায় কি না ভেবে দেখার অনুরোধ, কারণ, এটিও কিন্তু ভালো একটি প্রতিষেধক বটে।

তাদের এই আন্তরিকতাপূর্ণ সাহসী ভূমিকা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়ঃ

ইদানিংকার প্রায় প্রতিটি নারী-শিশু ধর্ষন ও নির্যাতনের ঘটনায় র্যাব, পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী অন্যান্য বাহিনীর দ্রুততার সাথে যথাযথ পদক্ষেপ আমাদের ন্যায় বিচারপ্রাপ্তির প্রত্যাশাকে বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়। অপরাধ দমনে, অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার ক্ষেত্রে তাদের এই আন্তরিকতাপূর্ণ সাহসী ভূমিকা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। এজন্য তাদেরকে সর্বান্তকরণে সাধুবাদ জানাচ্ছি।

সাম্প্রতিককালে সংঘটিত প্রায় প্রতিটি অপরাধের ঘটনায় র্যাব, পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী অন্যান্য বাহিনীর সদস্যগণ অবিশ্বাস্য দ্রুততায় অপরাধীদের উল্লেখযোগ্য অংশকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে পেরেছে। এক্ষেত্রে আমরা দেখেছি, অধিকাংশ ঘটনায় আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চৌকষ সদস্যগণ আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে চমকপ্রদ নৈপূন্য দেখিয়েছেন এবং দারুন সাফল্য পেয়েছেন। এজন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা।

কিন্তু জানি না, কোন অদৃশ্য কারণে নারী নির্যাতন, নারী ও শিশুদের প্রতি সহিংসতা, নারী ধর্ষন, শিশু ধর্ষন, ছেলে শিশু বলাৎকারের ঘটনাগুলো ঘটেই চলেছে! কার গোপন হাতের অঙ্গুলি হেলনে একই অপরাধের পুনরাবৃত্তি চলছেই। কমছে না, থামছে না অপরাধ, বেড়েই চলেছে অপরাধীদের সংখ্যা! প্রতি দিন, প্রতিনিয়ত কেন বেড়েই চলেছে এই সংখ্যা, এরও কারণ খুঁজে পাচ্ছি না।

আইনকে নিজের গতিতে চলতে দেয়া উচিতঃ

'আইনের ফাক ফোকর' বলে একটা কথা আমাদের সমাজে প্রচলিত আছে। কথাটা কতটুকু সত্য বা মিথ্যা, অথবা, এ কথার বাস্তবতা আসলেই আছে কি না, তা প্রশ্ন সাপেক্ষ, ব্যাখ্যা সাপেক্ষও বটে। কিন্তু নারী ও শিশুদের প্রতি নৃশংসতার ঘটনায় সত্যিকারার্থে যারা যুক্ত এমন অপরাধীদের প্রতি মানবতাবোধ থাকা, তাদের পক্ষে আইনি সাপোর্ট দেয়া কতটুকু উচিত? কতটুকু নৈতিক? একজন ধর্ষকের পক্ষে আইনি সহায়তা দেয়ার বিষয়টি আসলেই কি উচিত?
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:১৬
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×