somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

নতুন নকিব
আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

অনুরোধ, এইসব বিভেদের পথ থেকে দয়া করে ফিরে আসুন!

১৪ ই মে, ২০২২ দুপুর ১২:৫৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ছবিঃ অন্তর্জাল হতে নেয়া।

আজ দেখলাম, আযান আর টেকনোলজিকে ব্লগে একজন মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছেন, তাকে বিনীতভাবে অনুরোধ, এইসব বিভেদের পথ থেকে দয়া করে ফিরে আসুন! উক্ত লেখক আমার খুবই কাছের একজন ব্লগার। তাকে আমি অনেক ভালোবাসি। কিছু কিছু বিষয়ে তার মতের সাথে আমার মতভিন্নতা থাকলেও তার প্রতি, তার ভাব ও ভাবনার প্রতি আমার পূর্ণ শ্রদ্ধা রয়েছে। আমার ধারণা, তার পরিচয় এখানে তুলে ধরা নিষ্প্রয়োজন, বরং সহৃদয় ব্লগার এবং পাঠক বন্ধুগণ খুব সহজেই তাকে জেনে নিতে সক্ষম হবেন।

আযানের বিপরীতে আজ টেকনোলজিকে তিনি মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছেন। ইতোপূর্বে বিভিন্ন সময়ে একইরকমভাবে মসজিদের বিপরীতে তাকে লাইব্রেরির উপমা ব্যবহার করতেও দেখা গেছে। তাকে প্রশ্ন তুলতে দেখা গেছে যে, আমাদের দেশে এত মসজিদের প্রয়োজন কি? এর চেয়ে বরং লাইব্রেরি বেশি হওয়া উচিত, তার মতে।

এটা ঠিক যে, অধিক সংখ্যক লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠার পক্ষে আমরাও সম্পূর্ণ একমত। কারণ, শিক্ষিত, আধুনিক এবং উন্নত জাতি গঠনে অধিক সংখ্যক লাইব্রেরির প্রয়োজন অবশ্যই রয়েছে। কিন্তু লাইব্রেরির সাথে মসজিদের তুলনা কেন? লাইব্রেরির স্থানে লাইব্রেরি, মসজিদের স্থানে মসজিদ থাকবে। দু'টোরই প্রয়োজন যার যার স্থানে অবশ্যই সঠিক। একটাকে আরেকটার সাথে সাংঘর্ষিক করে উপস্থাপন করতে হবে কেন?

বস্তুতঃ ধর্মীয় বিশ্বাস বিশেষতঃ ইসলাম ধর্মের এইসব বিষয়াদিকে আধুনিকতা ও বিজ্ঞানের প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করিয়ে ধর্মে বিশ্বাসীদের খোঁচা দেয়ার অপচেষ্টা করা হয়ে থাকে, বিশ্বাসীদেরকে এসব বলে ক্ষিপ্ত করে তুলতে একটি মহল বদ্ধপরিকর। এসব করার দ্বারা অপরিনামদর্শী বাজে কোনো পরিস্থিতি তাদের হয়তো প্রত্যাশা, যা মোটেই কাম্য হওয়া উচিত নয়। ধর্মে বিশ্বাসীগণকে বিজ্ঞান ও আধুনিকতার বিপরীতে অন্ধকারের বাসিন্দা হিসেবে উপস্থাপন করে সমাজে দ্বন্ধ-সংঘাত এবং বিভেদ সৃষ্টির পায়তারায়ই এই জাতীয় পোস্ট দেয়া হয়ে থাকে বলে মনে করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।

উক্ত পোস্টের তী্ব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং লেখককে তার অলিক ও বিভ্রান্ত চিন্তা চেতনা থেকে ফিরে আসার আহবান জানাচ্ছি। কারও ধর্মবিশ্বাসে আঘাত করার মাধ্যমে দেশে এবং সমাজে ফিতনা ফাসাদ উস্কে দেয়া কোনমতেই আমাদের কাজ হওয়া উচিত নয়।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই মে, ২০২২ দুপুর ১:০৪
১১টি মন্তব্য ১১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

×