অন্তর্জাল হতে সংগৃহিত ক্যালিগ্রাফিতে সূরাহ আল কাহফ এর ৪৬ নং আয়াতটির ইংরেজি অনুবাদ উল্লেখ রয়েছে যার বাংলা অর্থ- ধনৈশ্বর্য ও সন্তান-সন্ততি পার্থিব জীবনের সৌন্দর্য এবং স্থায়ী সৎকর্মসমূহ আপনার পালনকর্তার কাছে প্রতিদান প্রাপ্তি ও আশা লাভের জন্যে উত্তম। -সূরাহ আল কাহফ, আয়াত ৪৬
মুহতারাম বোনেরা আমার! আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। সর্বপ্রথম আমি আল্লাহ তাআলার শুকরিয়া আদায় করছি, যিনি আপন ফযল ও করমে এখানে উপস্থিত হওয়ার তাওফীক দান করেছেন। অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে আপনাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আপনারা যে মহব্বত ও আন্তরিকতার সাথে এ অধমকে বরণ করে নিয়েছেন, বাস্তবে সে এর উপযুক্ত নয়। আল্লাহ তাআলা আপনাদেরকে দুনিয়া ও আখেরাতে এর জন্য উত্তম জাযা দান করুন।
নারীগণ সমাজের মূল স্তম্ভঃ
আমাকে আদেশ করা হয়েছে- আপনাদের খেদমতে দ্বীনের কিছু কথা আরয করতে। দ্বীনের কথা বলতে সবসময় অত দীর্ঘ সময় নিয়ে আলোচনা করার প্রয়োজন পড়ে না। আল্লাহ তাআলা যদি ইখলাছের সাথে কিছু বলার ও শোনার তাওফীক দান করেন, তাহলে অল্প কথাতেও অনেক ফায়দা হয়। আর আল্লাহ হেফাযত করুন- ইখলাস যদি না থাকে, তাহলে লম্বা-চওড়া বয়ানও বেকার এবং অর্থহীন হয়ে যায়। মূলতঃ আমি নসীহত করার যোগ্য কেউ নই। তবে মুরুব্বীদের থেকে শুনেছি যে, আল্লাহ তাআলা নারী জাতিকে এ উম্মতের বিনির্মাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ করেছেন। প্রকৃতপক্ষে নারীগণ হচ্ছেন একটি সমাজের মূল স্তম্ভ- তথা ফাউন্ডেশন। তাদের উপর ভর করেই পুরো সমাজ দাঁড়িয়ে থাকে এবং গোটা জাতি প্রতিপালিত হয়। আমি তো বলি, আজ আমরা যেসব বড় বড় আলেম-উলামা, পীর-মাশায়েখ, মুফতী-মুহাদ্দিস-মুফাসসির, ওলী-বুযুর্গদের কথা শুনে থাকি, যাদের নাম আমরা শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসায় প্রতিনিয়ত স্মরণ করে থাকি, যাদের নাম শোনামাত্র জগত পাল্টে দেয়া তাদের অমর কীর্তিগুলো মনে পড়ে যায়, কিন্তু পর্দার অন্তরালের ঐসব নারীদের কথা আমাদের খুব কম লোকেরই স্মরণে আসে, যাদের নিঃস্বার্থ ত্যাগ ও কুরবানী, শ্রম ও মেহনত এবং তালীম ও তরবিয়তের বদৌলতে এঁরা এত বড় বড় ব্যক্তিত্বে পরিণত হতে সক্ষম হয়েছিলেন। হতে পেরেছিলেন একেকজন যুগশ্রেষ্ঠ কীর্তিমান।
ইমাম আবু হানীফা রাহ.-কে জগতের কে না চেনে! ইমাম বুখারী রাহ.-কে কে না জানে!! কিন্তু ঐসব মা কেমন ছিলেন, যারা ইমাম আবু হানীফা, ইমাম বুখারী রাহ. প্রমুখের মত মহারত্নগুলোকে গর্ভে ধারণ করেছিলেন! জন্মের পর সঠিক তরবিয়তে বড় করেছিলেন! যার ফলে তারা চন্দ্র সূর্য্যের মত আলো বিকিরণ করে অন্ধকার দুনিয়াকে আলোকাভায় উদ্ভাসিত করতে সক্ষম হয়েছিলেন এবং কিয়ামত পর্যন্ত মানুষ তাদের খিদমাত থেকে আলো পেতে থাকবে ইনশাআল্লাহ। এসব বুযুর্গানে দ্বীন যাদেরকে আজ আমরা চিনি, আল্লাহ তাআলার দরবারে তো তারা (ইনশাআল্লাহ) অবশ্যই মকবুল ও মনোনীত হয়েছেন। কিন্তু পর্দার আড়ালে থেকে দ্বীনের খেদমত আঞ্জাম দিয়ে যাওয়া এসব মা-জননী যারা এইসব বুযুর্গদেরকে গর্ভে ধারণ করেছেন, অন্তরালে থেকে সাহায্য সহযোগিতা দিয়ে দ্বীনের খেদমতের মিশন নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে পাশে থেকেছেন, বলুন, আল্লাহর দরবারে তাদের মর্তবা কত উঁচু হতে পারে! ভাগ্যবতী এসব মা-বোনদের নাম যশের কোনো ফিকির ছিল না। ছিল না বিখ্যাত হওয়ার লোভ ও মোহ। ছিল না পদ-পদবীরও কোনো লালসা। শুধুই আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন। হ্যাঁ, আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনই ছিল তাদের একমাত্র বাসনা ও সাধনা। ব্যস, এই ইখলাছের বদৌলতেই আল্লাহর দেওয়া আমানত -স্বামী-সন্তানের এমন তরবিয়ত ও খেদমত তারা করে গেছেন, যার ফলে তাঁরা চন্দ্র-সূর্য্য হয়ে দুনিয়া আলোকিত করেছেন। এ বিবেচনায় চিন্তা করে দেখুন, আল্লাহ তাআলা মাতৃজাতিকে কত উচ্চাসনে সমাসীন করেছেন! মাতৃকোলকে রাব্বুল আলামীন সন্তানের সর্বপ্রথম বিদ্যালয় বানিয়েছেন। আমাদের ইতিহাসে এমন ঘটনা অনেক যে, মা-সন্তানের মুখে যখন দুধ দিবেন, তখন তার যবানে তিলাওয়াত জারি থাকতো। সূরা ইয়াসীন তিলাওয়াত করে করে সন্তানকে দুধ পান করাতেন মায়েরা। বলুন, যে শিশুর প্রতিপালন ও তরবিয়ত এমন কোলে হয়, জাতির জন্য সে কত উজ্জ্বল আলো হতে পারে!
আমার বলার উদ্দেশ্য হল, আপনারা আপনাদেরকে চিনতে ও বুঝতে চেষ্টা করুন। সকল আমলের মূল ‘তাআল্লুক মাআল্লাহ’। বোনেরা আমার! গোটা দ্বীনের মূল কথা হচ্ছে, আল্লাহর সাথে আল্লাহর বান্দা-বান্দীদের সম্পর্ক তৈরি হয়ে যাওয়া এবং তা মজবুত থেকে মজবুত হতে থাকা। আল্লাহর সাথে যদি বান্দার সুসম্পর্ক হয়ে যায়, সর্বাবস্থায় সে যদি আল্লাহমুখী হওয়ায় অভ্যস্ত হয়ে পড়ে, তাহলে দ্বীনের উপরে চলা তার জন্য আসান হয়ে যায়। সমস্যা তখনই দেখা দেয়, যখন আমরা গাফলতে পড়ে যাই, আল্লাহকে ভুলে বসি, যখন আল্লাহর সাথে সম্পর্কের অবনতি হয়ে যায়, সম্পর্ক কমজোর হয়ে যায়। তখন গোনাহ হতে থাকে, আল্লাহর নাফরমানী হতে থাকে। উল্টা-পাল্টা হতে থাকে। ফরয-ওয়াজিব ছুটতে থাকে। কিন্তু যখন আল্লাহর সাথে সম্পর্ক মজবুত থাকে, তখন দ্বীনদারি পালন করাও সহজ হয়।
শোকরের এহতেমামঃ
তাআল্লুক মাআল্লাহ তৈরির একটি মাধ্যম আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে তরিকা বাতলে দিয়েছেন যে, কোন কোন আমল করলে আল্লাহর সাথে সম্পর্ক তৈরি হতে থাকে এবং দ্বীনের উপর চলা আসান হয়ে থাকে। একটি সহজ আমল হচ্ছে শোকরের এহতেমাম। অর্থাৎ, বেশি বেশি আল্লাহ তাআলার শোকর আদায় করা। আল্লাহ তাআলা যখন যে নিআমত দান করেন, ছোট হোক বা বড়, সাথে সাথে শোকর আদায় করা। কোনো বিষয় সামনে এসেছে, যাতে মনটা ভালো লাগছে, সাথে সাথে আল্লাহ তাআলার শোকর আদায় করা। নিজের মর্জি মোতাবেক কোনো কাজ হাছিল হয়েছে, তো যথাসাধ্য শুকরিয়া আদায় করার চেষ্টা করা। বেশি বেশি শুকরিয়া আদায়ে নিজেও অভ্যস্ত হওয়া এবং বাচ্চাদেরও সে অভ্যাসে গড়ে তোলা। ইদানীং ব্যাপকভাবে দেখা যাচ্ছে যে, কোনো বাচ্চাকে যদি আদর করে জিজ্ঞাসা করা হয়, বাবু! কেমন আছো? ভালো আছো? তো, তারা উত্তরে শুধু এতটুকু বলে, হাঁ, ভালো আছি। ব্যস, আর কিছু বলে না। তারা যদি সঠিক তরবিয়ত পেত, তাহলে ‘হাঁ, ভালো আছি’ বলে ক্ষান্ত থাকতো না। অবশ্যই বলতো, ‘আলহামদু লিল্লাহ, ভালো আছি'। এই কালিমাতুশ শুকর- ‘আলহামদু লিল্লাহ’ তাদের মুখে মুখে জারি করার জন্য সঠিক তরবিয়তের প্রয়োজন। বাচ্চাদের যদি সর্বাবস্থায় শুকরিয়া আদায়ের তরবিয়তে গড়ে তোলা হয়, তখন তারা আলহামদুলিল্লাহ বলতে শিখবে। তবে এর জন্য নিজে আগে বেশি বেশি শুকরিয়া আদায়ে অভ্যস্ত হতে হবে। রাতে শোবার সময় কিছুক্ষণ চিন্তা করুন, আজকের এ দিনে আল্লাহ তাআলা আপনাকে কত কত নিআমতে ভূষিত করেছেন! বেশি সময় নয়, অল্প সময় চিন্তা করুন। একেকটি নিআমত মনে করুন আর দিল থেকে বলুন- ‘আল্লাহুম্মা লাকাল হামদু ওয়া লাকাশ শুকরু’। اللهم لك الحمد ولك الشكر অর্থাৎ, হে আল্লাহ, আপনার জন্যই সকল প্রশংসা এবং আপনার জন্যই শুকরিয়া।
হে আল্লাহ, আপনার খাছ মেহেরবানী, ঘরে সবাই সুস্থ ও নিরাপদ রয়েছে। কারো কোনো রোগ-বালাই নেই। হে আল্লাহ, আপনার শোকর, আপনি থাকার জন্য ঘরের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। আপনার এহসান, শোবার জন্য বিছানার এন্তেযাম করে দিয়েছেন। আপনার ফযল ও করম, আপনি আমাকে সন্তান-সন্ততি দান করেছেন। মা-বাবা, ভাই-বোন, আত্মীয়-স্বজন দান করেছেন। এভাবে আল্লাহর দেওয়া নিআমতের কথাগুলো স্মরণ করুন আর শুকরিয়া আদায় করুন। এটা অনেক বড় আমল। যদিও একে মামুলি মনে হয়, কিন্তু এর ফায়দা অনেক বেশি।
দুআর আধিক্যঃ
তাআল্লুক মাআল্লাহ মজবুত করার একটি মাধ্যম দ্বিতীয়ত আল্লাহর কাছে বেশি বেশি চাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। যখন যে প্রয়োজন দেখা দেবে, ছোট হোক কিংবা বড়, সাথে সাথে অন্তরকে আল্লাহর দিকে রুজু করুন, আল্লাহমুখী হোন। আল্লাহর কাছে নিজের হাজত পেশ করুন- হে আল্লাহ, আমার এ সমস্যা দেখা দিয়েছে, সামনে আমার এই কাজ, আপনি আসানীর সাথে সমাধা করে দিন। বিশেষ প্রয়োজনে বাইরে বের হয়েছেন। দুআ করুন- হে আল্লাহ, প্রয়োজনে বাইরে বের হয়েছি। আপনি ভালো সওয়ারির ব্যবস্থা করে দিন। সওয়ারিতে বসে- হে আল্লাহ, সহি-সালামতে আমাকে গন্তব্যে পৌঁছে দিন। গন্তব্যে পৌঁছে- হে আল্লাহ যে কাজে আমি এখানে এসেছি সে কাজ সুন্দরমত সমাধা করে দিন। এভাবে প্রতিটি কাজে আল্লাহমুখী হয়ে দুআর মাধ্যমে হাজত পুরা করুন। রান্না করার সময়- হে আল্লাহ, আমি এখন রান্না করছি, আপনি আসান করুন। বরকত দান করুন। এতে স্বাদ দান করুন। সবার জন্য এ খাবারকে আপনি উপকারী এবং সুস্বাদু বানিয়ে দিন। মোটকথা, এমন একটি অভ্যাস গড়ে তুলুন, যাতে সর্বমুহূর্তে আপনি আল্লাহর কাছে কিছু না কিছু চাওয়ার মধ্যেই থাকেন। যবানে উচ্চারণ করেই যে চাইতে হবে, তা নয়; মনে মনে চাইতে থাকুন। যত বেশি পারেন চাইতেই থাকেন। আল্লাহর যাত অনেক বড়। তাঁর কাছে চাইলেই তিনি খুশি হন।
দুনিয়ার যে যত বড় দানবীরই হোক না কেন, তার কাছে যদি কেউ চাইতেই থাকে, তাহলে সে দুই বার, তিন বার, সর্বোচ্চ দশ বার দিবে। এরপর বলবে, আরে ভাই! তুমি দেখি আমাকে সর্বস্বান্ত করে ছাড়বে। যাও এখান থেকে। এভাবে বকাঝকা করে তাড়িয়ে দিবে। কিন্তু আল্লাহ তাআলার পাক যাত এত দয়ালু ও মেহেরবান যে, আপনি যতই চাবেন, তিনি ততই খুশি হন। শুধু তাই নয়, আল্লাহ বান্দাকে এত মহব্বত করেন যে, কেউ যদি তাঁর কাছে না চায়, তিনি তার প্রতি রুষ্ট হন, নাখোশ হন, বেজার হন। এজন্য বোনেরা আমার! আমরা আল্লাহর কাছে বেশি বেশি চাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলি। চলতে-ফিরতে, উঠতে-বসতে শুধু আল্লাহর কাছে চাইতেই থাকব। যখন যে হাজত দেখা দিবে, ছোট কি বড়, আল্লাহর কাছে পেশ করব। আল্লাহর কাছে যত বেশি চাওয়া হবে, তার সাথে নৈকট্য তত বাড়তে থাকবে। সম্পর্ক তত ঘনিষ্ঠ হতে থাকবে এবং তৈরি সম্পর্ক আরো মজবুত হতে থাকবে।
মাসনূন দুআর এহতেমামের ফায়দাঃ
আমরা যাতে আল্লাহর কাছে বেশি বেশি চাইতে থাকি, এজন্য নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে অনেক দুআ শিখিয়েছেন। এজন্যই ঘরে প্রবেশের দুআ, বের হবার দুআ, হাম্মামে প্রবেশের দুআ, বের হবার দুআ, আয়না দেখার দুআ, মসজিদে গমন-প্রত্যাগমন ইত্যাদির দুআ তিনি আমাদেরকে শিক্ষা দিয়েছেন। প্রতিদিনের এ মাসনূন দুআগুলো নিজেরাও শিখুন, বাচ্চাদেরও শেখান।
নিজেরাও আমল করুন, বাচ্চাদেরও আমলে আনার ফিকির করুন।
বুযুর্গানে দ্বীনের অভিজ্ঞতা…
এই দুই তিনটি আমলের মাধ্যমে অর্থাৎ, বেশি বেশি শুকরিয়া আদায়, বেশি বেশি দুআ এবং মাসনূন দুআর এহতেমাম- এই তিন আমলের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার নৈকট্য লাভ হতে থাকে। আমি নিজের থেকে বলছি না, বুযুর্গানে দ্বীন বলেছেন, এ আমলগুলো যে যত বেশি করবে, আল্লাহর সাথে তার সম্পর্ক তত মজবুত হতে থাকবে। আর আল্লাহ তাআলার সাথে এরকম মজবুত সম্পর্ক হওয়ার মাঝেই আসল কামিয়াবী ও প্রকৃত সফলতা। আল্লাহ তাআলা আমাকে ও আপনাদেরকে আমল করার তাওফীক দান করুন- আমীন।
দ্রষ্টব্যঃ পাকিস্তানের সাবেক বিচারপতি মুফতী মুহাম্মাদ তাকী উসমানী দামাত বারাকাতুহুম গত জুলাই ২০১০ ইং সালে ভারত সফর করেন। মুম্বাইতে জনাব মুহাম্মাদ আসিফ ও জনাব মুহাম্মাদ আমির সাহেবের বাসায় অবস্থানকালে ঘরের নারীদের পক্ষ থেকে অনুরোধের প্রেক্ষিতে হযরত ৭ জুলাই ২০১০ ইং তারিখে মূল্যবান এই নসীহতটি পেশ করেন। পরবর্তীতে তার গুরুত্বপূর্ণ সেই বয়ানটি ‘খুতুবাতে দাওরায়ে হিন্দ’ ও ‘হিন্দুস্তান কা তাযা সফর’ নামে সংকলন করা হয়। সংকলিত সেই উর্দূ বয়ানটিরই বাংলা অনুবাদ এটা। বাংলাভাষার অন্যতম নির্ভরযোগ্য ইসলামি ম্যাগাজিন মাসিক আল কাওসারে প্রকাশিত জনাব আশিক বিল্লাহ তানভীর -এর অনুবাদটি কিছুটা সংশোধিত ও পরিমার্জিত আকারে এখানে প্রকাশ করা হলো। যদিও গুরুত্বপূর্ণ এই বক্তব্যটির বাংলা অনুবাদ ইতোপূর্বে অন্যান্য মিডিয়াতেও প্রকাশিত হতে দেখা গেছে। সহায়তা নেয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা মাসিক আল কাওসার এবং আওয়ার ইসলাম২৪ডটকমের প্রতি।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:৪৬