৪ জুন, ২০২৫-এ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে গাজায় অবিলম্বে, নিঃশর্ত ও স্থায়ী যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্র ভেটো দিয়েছে। ১৫ সদস্যের মধ্যে ১৪টি দেশ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিলেও, যুক্তরাষ্ট্রের ভেটোতে তা বাতিল হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ১০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, মানবিক সহায়তা বন্ধ রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ডরোথি শিয়া দাবি করেন, প্রস্তাবে জিম্মিদের মুক্তির সঙ্গে যুদ্ধবিরতি সম্পৃক্ত করা হয়নি।
চীনের রাষ্ট্রদূত ফু কং-এর বক্তব্যও এই সমালোচনার সঙ্গে সুর মিলিয়েছে। তিনি বলেন, ইসরায়েলের কার্যক্রম আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের সীমা ছাড়িয়ে গেছে এবং জাতিসংঘের প্রস্তাবনাগুলোর গুরুতর লঙ্ঘন করেছে। তবুও যুক্তরাষ্ট্র একটি দেশকে রক্ষা করার জন্য এই লঙ্ঘনগুলোকে প্রশ্রয় দিচ্ছে, যা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য একটি দুঃখজনক বার্তা।
২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে নিরাপত্তা পরিষদে গাজা-সংক্রান্ত ১৪টি প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটি হয়েছে, যার মধ্যে মাত্র ৪টি পাস হয়েছে। ২০২৪ সালের নভেম্বরের পর এটি ছিল প্রথম ভোটাভুটি, এবং যুক্তরাষ্ট্রের এই ভেটো তাদের পঞ্চমবারের মতো গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে বাধা দেওয়ার ঘটনা। এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানকে আরও বিচ্ছিন্ন করেছে, এবং গাজার মানুষের জন্য শান্তি ও ত্রাণের আশাকে আরও দূরবর্তী করে তুলেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের এই অমানবিক পদক্ষেপ শুধু গাজার মানুষের দুর্ভোগকে দীর্ঘায়িত করছে না, বরং আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকারের প্রতি তাদের অঙ্গীকার নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে। প্রশ্ন উঠেছে, যুক্তরাষ্ট্র আসলে মধ্যপ্রাচ্যে আরও রক্ত চাইছে কি না। গাজার জনগণের জন্য শান্তি ও ন্যায় প্রতিষ্ঠায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আরও সোচ্চার ও ঐক্যবদ্ধ হওয়ার সময় এখনই।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জুন, ২০২৫ সকাল ১১:১৭