somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

নতুন নকিব
আলহামদুলিল্লাহ! যা চেয়েছিলাম, তার চেয়েও বেশি দয়া করেছেন আমার পরম প্রিয় রব। যা পাইনি, তা নিয়ে বিন্দুমাত্র আক্ষেপ নেই—কারণ জানি, তিনি দেন শুধু কল্যাণই। সিজদাবনত শুকরিয়া।nnপ্রত্যাশার একটি ঘর এখনও কি ফাঁকা পড়ে আছে কি না, জানি না। তবে এটুকু জানি—

সুস্থ জীবন যাপনে নবীজির অনন্য কিছু অভ্যাস

২৮ শে জুলাই, ২০২৫ দুপুর ১২:৫০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
সুস্থ জীবন যাপনে নবীজির অনন্য কিছু অভ্যাস

ছবি অন্তর্জাল থেকে সংগৃহিত।

মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনযাপন কেবল আধ্যাত্মিকতা বা ধর্মীয় অনুশাসনের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না; বরং তা ছিল এক পরিপূর্ণ, বিজ্ঞানসম্মত ও স্বাস্থ্যসম্মত জীবনধারার মূর্ত প্রতীক। আজকের আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞান ও পুষ্টিবিদ্যার দৃষ্টিকোণ থেকে তাঁর অনেক সুন্নত অভ্যাসের বৈজ্ঞানিক ভিত্তি ও উপকারিতা ইতোমধ্যেই প্রমাণিত হয়েছে। তাঁর জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা মানে শুধু আত্মার উন্নয়ন নয়, বরং শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক কল্যাণ নিশ্চিত করা।

নিচে নবীজি (সা.)-এর স্বাস্থ্যবান্ধব ১৫টি গুরুত্বপূর্ণ অভ্যাস তুলে ধরা হলো, যেগুলোর প্রতিটি আধুনিক বিজ্ঞানের আলোকে পরিপূর্ণভাবে প্রমাণিত এবং প্রাসঙ্গিক।

১. ভোরে ঘুম থেকে ওঠা
নবীজি (সা.) প্রতিদিন খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠতেন এবং রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমাতেন। সকাল সকাল জেগে ওঠা উৎপাদনশীলতা বাড়ায় এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়।

নবীজির এই অভ্যাস আমাদের শেখায় যে, দিনের শুরুতে উঠে নিয়মিত রুটিন মেনে চলা জীবনের গুণগত মান বাড়ায়। এমনকি প্রতিদিন মাত্র ১৫ মিনিট আগে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাসও স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: “হে আল্লাহ! আমার উম্মতের জন্য তুমি তাদের সকালের সময়কে বরকতময় করে দাও।” (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ২৬০৬)

বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ: ভোরে ওঠা উৎপাদনশীলতা বাড়ায়, মানসিক চাপ কমায় এবং সারাদিনের রুটিন সুশৃঙ্খল করে। (Maxwell, J., The Power of Early Morning, HarperCollins, 2018, p. 45-47)

২. পরিমিত ও স্বাস্থ্যসম্মত খাওয়া
নবীজি (সা.) কম খাওয়ার উপর জোর দিতেন এবং রোগ প্রতিরোধের জন্য এটিকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করতেন। তিনি বলেছেন, “মানুষ পেটের চেয়ে বড় কোন পাত্র পূর্ণ করে না। মানুষকে কয়েক লোকমা যথেষ্ট, যা তাকে শক্তি জোগায়। যদি তার বেশি খেতে হয়, তবে এক-তৃতীয়াংশ খাবার, এক-তৃতীয়াংশ পানি এবং এক-তৃতীয়াংশ নিঃশ্বাসের জন্য রাখুক।" (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস: ৩৩৪৯)

বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ: এটির জাপানি 'হারা হাচি বু' নীতির সাথে মিল রয়েছে। ‘হারা হাচি বু’ নীতিতে বলা হয়েছে, পেট ৮০% পূর্ণ হলে খাওয়া বন্ধ করতে হবে। আধুনিক গবেষণাও বলছে যে, কম খাওয়া ওজন নিয়ন্ত্রণ, হৃদরোগ প্রতিরোধ এবং দীর্ঘায়ু বাড়াতে সাহায্য করে (Makino, T., The Okinawa Diet, Berkeley Books, 2001, p. 89-92)

৩. ধীরে ধীরে খাওয়া ও চিবিয়ে খাওয়া
হাদিস: রাসুল (সা.) খাবার ধীরে ধীরে খাওয়ার শিক্ষা দিতেন এবং তাড়াহুড়ো করে না খেয়ে ধীরে ধীরে চিবিয়ে খেতে নির্দেশ দিতেন। (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস: ৩৩৪৮)

বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ: মস্তিষ্কে পূর্ণতার সংকেত পৌঁছাতে প্রায় ২০ মিনিট সময় লাগে। ধীরে খাওয়া হজমশক্তি উন্নত করে এবং অতিরিক্ত খাওয়া প্রতিরোধ করে। (Pollan, M., In Defense of Food, Penguin, 2008, p. 112-114)

নবীজির এই অভ্যাস আমাদের শেখায় যে, খাওয়ার সময় সচেতনতা বজায় রাখা শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

৪. একসঙ্গে খাওয়া
রাসুল (সা.) বলেন: “তোমরা একসাথে খাও, আলাদা হয়ে খেয়ো না; কেননা একত্রে খাওয়ায় বরকত থাকে।" (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস: ৩২৮৭)

বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ: পরিবার বা বন্ধুদের সঙ্গে একসঙ্গে খাওয়া মানসিক চাপ কমায় এবং শিশুদের মধ্যে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলতে সাহায্য করে। (Fiske, D., Family Meals, HarperCollins, 2016, p. 67-70)

এই অভ্যাস সামাজিক বন্ধন শক্তিশালী করে এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়।

৫. ধীরে ধীরে পানি পান করা
নবীজি (সা.) পানি পানের সময় তাড়াহুড়ো না করে দুই বা তিনবার শ্বাস নিয়ে ধীরে ধীরে পান করতেন (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৫৬৩১)।

বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ: একসঙ্গে অতিরিক্ত পানি পান করলে মাথাব্যথা, ইলেকট্রোলাইট ভারসাম্যহীনতা এবং মাঝে মাঝে মাথা ঘোরার সমস্যা হতে পারে। ধীরে পানি পান করলে শরীর সঠিকভাবে তা শোষণ করতে পারে এবং মাথা ঘোরা, ইলেকট্রোলাইট ভারসাম্যহীনতা কমার পাশাপাশি সর্বাধিক উপকার নিশ্চিত করে। (Klinman, H., The Water Way, Wiley, 2014, p. 55-57)

৬. খেজুর খাওয়া
নবীজি (সা.) এর পছন্দনীয় খাবারের তালিকায় অন্যতম ছিল খেজুর। তিনি খেজুর খেতেন এবং বলেছেন: “যে পরিবারে খেজুর আছে, তারা ক্ষুধার্ত থাকবে না” (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ২০৪৬)।

বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ: খেজুর রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল করে, ইলেকট্রোলাইট ভারসাম্য পুনরুদ্ধার করে এবং হজম প্রক্রিয়াকে শুরু করতে সাহায্য করে। এছাড়া, খেজুরে অক্সিটোসিন উৎপাদন বাড়ায়, যা প্রসবকালীন সংকোচন ত্বরান্বিত করতে সহায়ক। (Jones, L., The Date Power, Wiley, 2016, p. 78-80)

৭. রোজা রাখা
নবীজি (সা.) শুধু রমজানে নয়, প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবার এবং প্রতি মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে রোজা রাখতেন। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ১৯৮০, সহিহ মুসলিম, হাদিস: ১১৬০)

বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ: ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা করে, অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায়, প্রদাহ হ্রাস করে এবং দীর্ঘায়ু বাড়ায়। রোজা শরীরকে হজমের পরিবর্তে নিরাময় প্রক্রিয়ায় মনোযোগ দিতে সাহায্য করে। (Longo, V., The Longevity Diet, Penguin, 2018, p. 105-108)

নবীজি (সা.)-এর এই অভ্যাস আধুনিক স্বাস্থ্যবিজ্ঞানের সঙ্গে পুরোপুরি সামঞ্জস্যপূর্ণ।

৮. নামাজ ও শারীরিক সচলতা
নবীজি (সা.) শারীরিক সুস্থতার উপর গুরুত্ব দিয়েছিলেন। ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে তিনটি—নামাজ, রোজা ও হজ্জ—শারীরিক সুস্থতার ওপর নির্ভর করে। নামাজ নিজেই একটি শারীরিক ব্যায়াম, যা পেশি ও জয়েন্টের নড়াচড়ার মাধ্যমে স্বাস্থ্য রক্ষায় সহায়তা করে। তিনি শারীরিক ক্রিয়াকলাপের প্রতি উৎসাহ দিতেন (ইবনে কাসির, আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া, অনুবাদ: মুহাম্মদ আব্দুর রশিদ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, ঢাকা: ২০১২, ৪/২৩৪)। রাসুল (সা.) বলেন: “নামাজ আমার চোখের শীতলতা।" (সুনানে নাসাঈ, হাদিস: ৩৯৩৯)

বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ: নামাজ শারীরিক ব্যায়ামের মতো কার্যকর, পেশি ও জয়েন্টের নড়াচড়া রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। (Harvard Health, Benefits of Physical Activity, 2017, p. 54-56)

৯. ঘুমের সুন্নত পদ্ধতি
রাসুল (সা.) ডান কাত হয়ে ঘুমাতেন এবং বলতেন: "আল্লাহুম্মা বিসমিকা আমুতু ওয়া আহইয়া।" (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৫৯৫৩)

বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ: ডান পাশে ঘুমালে হার্টে চাপ কম পড়ে, পাকস্থলীতে খাবার সহজে হজম হয় এবং ফুসফুসে রক্ত সঞ্চালন ভালো থাকে। বাম দিকে বা উপুড় হয়ে ঘুমালে রিফ্লাক্স ও হজমে সমস্যা হতে পারে। (Journal of Clinical Gastroenterology, 2003)

১০. ঘুমের আগে বিছানা ঝাড়া ও উজু অবস্থায় ঘুমানো
হাদিস: রাসুল (সা.) বলেন: “তোমাদের কেউ যখন শোবার জন্য বিছানায় যাবে, সে যেন তার বিছানা ঝেড়ে নেয় এবং বাম হাত দিয়ে তিনবার ঝেড়ে দোয়া পড়ে শোয়।" (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৬৩২০)

বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ: ঘুমানোর আগে হাত-পা ধুলে ইনফেকশন কমে, ঘুম গভীর হয় এবং মানসিক শান্তি আসে। পরিষ্কার বিছানা অ্যালার্জেন ও ধুলাবালি থেকে সুরক্ষা দেয়, যা শ্বাসকষ্ট ও ত্বকের সমস্যা প্রতিরোধ করে। উজু মানসিক প্রশান্তি আনে। (National Sleep Foundation, 2017)

১১. মিসওয়াক ব্যবহার
রাসুল (সা.) বলেন: “আমার উম্মতের জন্য কষ্টকর না হলে, আমি তাদের প্রতি প্রত্যেক নামাজের সময় মিসওয়াক করার নির্দেশ দিতাম।" (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৮৮৭)

বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ: মিসওয়াকে থাকা সালভাদোরা পার্সিকা গাছের উপাদানগুলো প্রাকৃতিক অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল। এটি দাঁতের ক্ষয়রোধ, মাড়ির সংক্রমণ ও মুখের দুর্গন্ধ প্রতিরোধে কার্যকর। (Al Lafi & Al Lawazie, Therapeutic Benefits of Miswak, Saudi Dental Journal, 1995)

১২. তেল মালিশ (জয়তুন তেল)
হাদিসে রাসুল (সা.) জয়তুন তেল ব্যবহারের কথা বলেছেন: “তোমরা জয়তুন তেল খাও ও তা মাখো, কেননা তা বরকতময় বৃক্ষ থেকে উৎপন্ন।” — (তিরমিযি, হাদিস: ১৮৫১)

বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ: অলিভ অয়েল চুল ও ত্বকে আর্দ্রতা জোগায়, ত্বক সজীব রাখে এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। এটি চুল পড়া রোধ এবং প্রদাহ প্রতিরোধেও উপকারী। (Science Daily, 2012)

১৩. ডালিম খাওয়া
নবীজি (সা.)-এর প্রিয় একটি ফল ছিল ডালিম। রাসুল (সা.) ডালিম খেতে পছন্দ করতেন এবং সাহাবাদের তা খাওয়ার পরামর্শ দিতেন। (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ৩৪৫৭)

বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ: ডালিম অত্যন্ত পুষ্টিকর ফল, যাতে ম্যাঙ্গানিজ রয়েছে, যা বিপাক প্রক্রিয়ায় হাড়ের গঠনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া এতে পটাশিয়াম রয়েছে, যা কোষের কার্যকারিতা বজায় রাখে এবং ফ্লুইড ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করে। ডালিমে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েড এবং পলিফেনল হৃদরোগের বিরুদ্ধে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। (Ayoshi, A., The Power of Pomegranate, Springer, 2015, p. 32-35)

নবীজি (সা.)-এর এই খাদ্যাভ্যাস আধুনিক পুষ্টিবিজ্ঞানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

১৪. হাঁটা ও সাঁতার শেখা
হাদিস: রাসুল (সা.) বলেন: “তোমাদের সন্তানদের সাঁতার, তীরন্দাজি ও ঘোড়সওয়ারি শেখাও।" (মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবা, ৫/২৯৩)

বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ: হাঁটা ও সাঁতার হৃদযন্ত্র, ফুসফুস ও পেশির কার্যকারিতা উন্নত করে। এগুলো শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ এবং স্ট্রেস হ্রাসে কার্যকর ভূমিকা রাখে। (Harvard Health Publishing, 2019)

১৫. জীবাণু থেকে রক্ষা পেতে নিয়মিত হাত ধোয়া
রাসুল (সা.) খাওয়ার আগে ও পরে, ঘুমের আগে এবং ওযুর সময় হাত ধুতেন। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৬২৫৭)

বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ: হাত ধোয়া বিভিন্ন সংক্রামক ব্যাধি প্রতিরোধে সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি। এটি ফ্লু, ডায়রিয়া ও ভাইরাল ইনফেকশনের ঝুঁকি ৫০% পর্যন্ত কমায়। (WHO, Hand Hygiene Guidelines, 2009)

উপসংহার:

নবীজির (সা.) জীবনধারা একটি পরিপূর্ণ স্বাস্থ্যবিধির আদর্শরূপ। আধুনিক বিজ্ঞান যেসব স্বাস্থ্যনির্দেশনা দিচ্ছে, তিনি সহস্রাব্দী পূর্বেই তা জীবনাচরণে বাস্তবায়ন করেছেন। ভোরে ওঠা, মেসওয়াক করা, কম ও ধীরে খাওয়া, রোজা রাখা, খেজুর ও ডালিমের মতো পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ নিয়মিত আদায়ের মাধ্যমে শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকা—এই অভ্যাসগুলো আমাদের জন্য একটি স্বাস্থ্যকর ও সুষম জীবনের কথা বলে। তাঁর অভ্যাসগুলো আত্মিক উৎকর্ষের পাশাপাশি শারীরিক সুস্থতা, মানসিক প্রশান্তি ও সামাজিক সুসংহতির ভিত্তি স্থাপন করে।

আমরা যদি কেবল ধর্মীয় বিশ্বাসে নয়, বরং বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকেও তাঁর এই সুন্নতগুলোকে আমাদের জীবনের অংশ করি, তবে তা আমাদের একটি ভারসাম্যপূর্ণ, সুস্থ ও সুশৃঙ্খল জীবন উপহার দেবে।

সূত্রসমূহ:

Maxwell, J., The Power of Early Morning, HarperCollins, 2018

Makino, T., The Okinawa Diet, Berkeley Books, 2001

Pollan, M., In Defense of Food, Penguin, 2008

Fiske, D., Family Meals, HarperCollins, 2016

Klinman, H., The Water Way, Wiley, 2014

Jones, L., The Date Power, Wiley, 2016

Longo, V., The Longevity Diet, Penguin, 2018

Harvard Health Publishing, Benefits of Physical Activity, 2017 & 2019

Journal of Clinical Gastroenterology, 2003

National Sleep Foundation, 2017

Al Lafi & Al Lawazie, Therapeutic Benefits of Miswak, Saudi Dental Journal, 1995

Science Daily, 2012

Ayoshi, A., The Power of Pomegranate, Springer, 2015

WHO, Hand Hygiene Guidelines, 2009

ডিসকভারিং ইসলাম আর্কাইভ

হাদিস সংকলন: সহিহ বুখারি, সহিহ মুসলিম, সুনানে ইবনে মাজাহ, সুনানে আবু দাউদ, সুনানে নাসাঈ, তিরমিজি, মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবা
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জুলাই, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৩
১২টি মন্তব্য ১৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বন্ডাইর মত হত্যাকাণ্ড বন্ধে নেতানিয়াহুদের থামানো জরুরি...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:২৫

বন্ডাইর মত হত্যাকাণ্ড বন্ধে নেতানিয়াহুদের থামানো জরুরি...

বন্ডাই সৈকতের হামলাস্থল। ছবি: রয়টার্স

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই সৈকত এলাকায় ইহুদিদের একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সমবেত মানুষের ওপর দুই অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী অতর্কিতে গুলি চালিয়েছে। এতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমাণ নন বলা কুফুরী

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১৪



সূরাঃ ২ বাকারা, ২৫৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৫৫। আল্লাহ, তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই।তিনি চিরঞ্জীব চির বিদ্যমাণ।তাঁকে তন্দ্রা অথবা নিদ্রা স্পর্শ করে না।আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে সমস্তই... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিজয়ের আগে রাজাকারের গুলিতে নিহত আফজাল

লিখেছেন প্রামানিক, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:১৩


ঘটনা স্থল গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি থানার উড়িয়া ইউনিয়নের গুণভরি ওয়াপদা বাঁধ।

১৯৭১সালের ১৬ই ডিসেম্বরের কয়েক দিন আগের ঘটনা। আফজাল নামের ভদ্রলোক এসেছিলেন শ্বশুর বাড়ি বেড়াতে। আমাদের পাশের গ্রামেই তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

৫৫ বছর আগে কি ঘটেছে, উহা কি ইডিয়টদের মনে থাকে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৮




ব্লগের অনেক প্রশ্নফাঁস ( Gen-F ) ১ দিন আগে পড়া নিউটনের ২য় সুত্রের প্রমাণ মনে করতে পারে না বলেই ফাঁসকরা প্রশ্নপত্র কিনে, বইয়ের পাতা কেটে পরীক্ষার হলে নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

১৯৭১ সালে পাক ভারত যুদ্ধে ভারত বিজয়ী!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯


দীর্ঘ ২৫ বছরের নানা লাঞ্ছনা গঞ্জনা বঞ্চনা সহ্য করে যখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বীর বাঙালী অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে বীরবিক্রমে যুদ্ধ করে দেশ প্রায় স্বাধীন করে ফেলবে এমন সময় বাংলাদেশী ভারতীয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

×