নাহ, বেআদবটা আর মানুষ হলো না
নাহ, বেআদবটা আর মানুষ হলো না।
এত অনুরোধ, এত মিনতি, এত অশ্রু-ঝরা আর্জি—
একটাও কাজে এল না, সবই বাতাসে মিলিয়ে গেল।
ও রয়ে গেল সে আগের মতোই—
অপরিবর্তিত, উদ্ধত, নির্লজ্জ,
যেন পাথরের মূর্তি, যার ভিতরে কোনো হৃদয় নেই,
শুধু মরিচা ধরা অহংকারের ছড়াছড়ি।
বজ্জাত তো বজ্জাতই,
ইতরও কম নয় একচুল,
ছোটলোকের সংজ্ঞা যদি কেউ খোঁজে,
তবে ওর মুখটাই যথেষ্ট প্রমাণ—
বেহায়াপনার ও যেন জীবন্ত অভিধান,
যেখানে লজ্জা শব্দটির অস্তিত্ব নেই
সেজন্যই নির্লজ্জতায় ও প্রবাদতুল্য
হয়তো বাবার থেকে নয়,
ওর আগমন অন্য কোনো পথে—
কে জানে, কোনো অসচ্চরিত্র মায়ের
অপর পুরুষের অবৈধ ছায়া হয়ে,
যৌনতার কাদায় ডুবে, পাপের বীজ বপন করে
ও এই পৃথিবীতে এসেছে কি না!
এতবার নিষেধ, এতবার ডিলিট, এত এত অভিশাপ—
তবুও কোনো ফল হলো না,
ওর আচরণে রয়ে গেল সেই পুরোনো জংলিপনা,
অসভ্যতা যেন ওর জন্মগত স্বভাব,
রক্তে মিশে আছে বেশুমার বদমায়েশি
অসভ্য কি কোনোদিন ভদ্র হয়?
বদমাশ কি চরিত্র বদলায়, নাকি ধোঁকা দিয়ে ফিরে আসে?
অমানুষ কি ফিরে পায় মানুষের চেহারা?
নাহ, বেআদবটা আর মানুষ হলো না—
হবার কথাও না, কারণ স্বভাবের শেকড়
যুগযুগান্ত ধরে প্রোথিত গভীরে,
যেমন সাপের বিষদাঁত—
যা ছেঁটে ফেললেও বিষ থামে না।
মানুষের জন্ম যেমন কর্মফলের ছায়া,
তেমনি এই কালিমদ্দি সমাজের জন্য,
আমাদের জন্য এক জীবন্ত ভজঘট—
মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ও হয়তো জ্বালাতন করবেই।
সংস্কার কি কখনো অসভ্যতাকে জয় করে?
করতে পারে? করে দিয়েছে কখনো?
নাকি, এই অসভ্যতাই প্রকৃতির এক নিয়ম?
যেখানে কালিমদ্দিরা কেবল
বিনোদন দিয়েই যাবে আমাদের?
যদি মানুষ হওয়াকে সভ্যতার যাত্রা ধরা হয়,
তবে বুঝে নিতে হবে, কালিমদ্দি থেমে গেছে
অন্ধকারের এক গভীর গুহায়—
তার এই থেমে যাওয়া কি চিরকালের জন্য?
না কি, কোনো অলৌকিক দিনে
ও ফিরবে আবারও মানুষের কাতারে?
বিঃ দ্রঃ ইহা আমাদের পুবপাড়ার কুখ্যাত ল্যাংড়া আবুইল্যার বাপ কালিমদ্দি ডাকু-র অসংখ্য গুণের সামান্য ফিরিস্তি বর্ণনার চেষ্টা মাত্র। ইহাকে অন্য কিছুর সঙ্গে তুলনা করা নিছকই বোকামি, কারণ ও একাই একটা দর্শন, অসভ্যতা আর অমানবতার জীবন্ত প্রতিমূর্তি।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ১০:০৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




