সকালে নীচে নেমে পত্রিকা আনতে গিয়ে ধক্ করে উঠল বুক। গ্যারেজের কোনায় মরে পড়ে আছে পরিচিত বিড়ালটা। খবরটা দিতেই হায়-হায় করে উঠল সবাই।
ছোট বোনের ধারণা, কেউ পিটিয়েছে। বাবার ধারণা, ফুড-পয়জনিং কেস। ছোট ভাই বলল, দুরারোগ্য ব্যাধি। আমি নীচের ঠোঁটে বার কয়েক চিমটি কেটে রায় দিলাম, শ্বাসরোধ করে হত্যা। সবাই অবাক হয়ে আমার দিকে তাকাল। ব্যাখ্যা করতে যাচ্ছি, মা বলে উঠল, ‘বাচ্চাগুলোর এখন কী হবে?’ মার মন তো!
সবাই দৌড় দিলাম চিলেকোঠায়। হৃদয় বিদারক এক ঘটনা অপেক্ষা করছিল সেখানে। চারটা বাচ্চা। দুইটা ধূসর। একটা বাদামি। আর একটা সাদা-কালো-বাদামি মেশানো— ঠিক ওর মার মতো। অন্য তিনটা ওকে মা মনে করে পাগলের মতো দুধের বাঁট খুঁজছে।
আমি, আমরা হঠাৎ এসে যাওয়া চোখের জল লুকাতে ব্যস্ত হয়ে পড়লাম। ‘আমি যাই... দুধ নিয়ে আসি,’ বলে দোকানে ছুটল বাবা। ভাইটা ড্রপারের খোঁজে বাসার সব ড্রয়ার উল্টে ফেলল। প্যাকিং বাক্সের মধ্যে বাচ্চাদের নতুন বাড়ি বানাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ল বোন। আমি চিলেকোঠার জঞ্জালের ভেতর থেকে এক-এক করে নামিয়ে আনলাম চার পিচ্চিকে। ওদিকে আমার ইমোশনাল মা বিড়বিড় করে যাচ্ছে, ‘আহা রে, বাচ্চাগুলা! এতিম হয়ে গেল!’
পুনশ্চ: ড্রপারে সমস্যা হচ্ছিল। এখন ফিডারে খাচ্ছে। এরই মধ্যে বাসার সবাইকে চিনে গেছে পিচ্চিগুলো। দৌড়াদৌড়ি করে সারা বাড়ি মাতিয়ে বেড়ায়। আমরা ওদের দত্তক নিয়েছি।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


