শনিবারের প্রথম আলোতে যে জরিপ ছাপানো হয়েছে তা একটি বানোয়াট এবং মনগড়া জরিপ। জরিপে আন্তর্জাতিক নিয়মনীতির কথা বলা থাকলেও এর কোনটাই তারা তুলে ধরতে সক্ষম হয়নি। কেবল কিছু নম্বর এবং ছক এঁকে দিলেই যে একটা জরিপ বিশ্বাসযোগ্য হয়ে যাবে এটা ভ্রান্ত ধারনা। আমি মনে করি প্রথম আলোর এ কৌশল পাঠকের কাছে খুব সহজেই ধরা পড়বে। শহর বলতে কোন সে শহর? আর গ্রাম বলতে কোন সে গ্রাম?
এ জরিপ যে সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যমূলক তা খুবই স্পষ্ট। স্বাভাবিক ভাবে একজন পাঠকের প্রশ্ন জাগতে পারে-প্রথম আলোর শহুরে জরিপটা কি পঞ্চগড় শহর আর গ্রাম বলতে কি টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্প? কোন পেশার মানুষের মধে্য, কোন বয়সের মানুষের মধে্য, কোন অঞ্চলের মানুষের মধে্য এ ধরনের কোন তথ্যই এ জরিপে নেই। যে দেশের ৭৩% তরুণ ভোটার, যে দেশে ৩ কোটি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে, যে দেশে ১০ কোটি মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করে। সেখানে ৩ হাজার মানুষের মধে্য মৌখিক একটি জরিপ দেখিয়ে ১৬ কোটি মানুষকে বুদ্ধু বানানোর একটি অপেচষ্টা হলো এই জরিপ। কোন একটি গোষ্ঠীকে খুশী করার জন্য প্রথম আলোর প্রাথমিক উদে্যাগ বলে আমরা ধরে নিতে পারি। আজকের মানবজমিন পত্রিকায়ও এ জরিপকে হেডলাইন করেছে। মনে হয় দুই মতিউর একসাথে বসে এ জরিপ তাদের বাসায় বসেই সম্পাদন করেছেন। তাদের মনে রাখা উচিত ছিল যে, আজকালকার পাঠকরা এতো আবাল না। এরা দিন-দুনিয়ার খবর রাখে, তারা মতিউরদের, নাঈমুলদের খবরও রাখে। আমার দেশ পত্রিকাওতো কাবা শরীফের গিলাফ গেলাতে চাইছিলো, পেরেছে কি? আমি এ জরিপটির প্রতি মুহাম্মদ জাফর ইকবাল, সৈয়দ আবুল মকসুদ, সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, আলী রিয়াজ, মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান, হাসান ফেরদৌস, শাহেদীন মালিকসহ প্রথম আলোর নিয়মিত লেখক যাদেরকে আমরা মুক্তচিন্তার মানুষ বলে শ্রদ্ধা করি তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। দয়া করে আপনারা এ বিষয়ে আপনাদের মতামত দিন।
প্রথম আলো এবং মানবজমিনের দুই সম্পাদকের প্রতি থাকলো চরম ঘৃণা।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


