গত প্রায় এক মাস ধরে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার বগা ইউনিয়নের সাবুপুরা গ্রামের প্রায় তিনশ পরিবার অলৌকিক আগুনের ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পরছেন। গ্রামের আতঙ্কিত পরিবারগুলো ঘরের মালামাল খোলা আকাশের নিচে রেখে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। আবার কেউ কেউ বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে গিয়েছেন অন্যত্র। দোয়া মিলাদ, পূজা পার্বন কোন কিছুতেই প্রতিকার মিলছে না।
খবর পেয়ে শুক্রবার বিকেলে ছুটে আসেন পার্শ্ববর্তী বিলবিলাস গ্রামের সিপাহী জামে মসজিদের ইমাম মোজাম্মেল হোসেন। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার থেকে ঘটনা শুনে বলেন বদজ্বীনের আছড় হতে পাড়ে। বাড়ি বান দিতে হবে। শুরু হয়ে যায় ইমাম সাহেবের তদবির। বাড়ির সিমানা মুখে বাঁশ পুতে নারকেলেরে ছোবরা ও ধুপ মাটির পাত্রে রেখে দেওয়া হয় আগুন। তারপর ওই পাত্রটি নিয়ে বাড়ির সিমানার চারপাশে একবার চক্কর দেন ইমাম সাহেব। তার দাবি আশা করি, ইনশাআল্লাহ আল্লাহ এবার মাফ করবেন।
ভুক্তভোগী পরিবারের আজম আলী আকন সাংবাদিকদের বলেন, থেমে থেমে বসতঘরের এখানে সেখানে আগুন ধরছে। কোন কিছুতেই যেন মন মানছে না। আমরা গরিব মানুষ। আগুন আতঙ্কে কামাই বাণিজ্য সবই বন্ধ হয়ে গেছে। অলৌকিক আগুনের খবর পেয়ে দেখতে আসছেন পার্শ্ববর্তী উপজেলা দশমিনা থেকে রবিন কবিরাজ, তিনি এ প্রতিনিধিকে জানান, আমরা লোকমুখে শুনলাম কালীমাতা ঠাকুরের জায়গার পাশে একটি কদম গাছ কাটার কারনে নাকি বসত বাড়িতে আগুন লাগছে। তাই কৌতূহল বসত দেখতে আসছি। ইউনিয়নের সাবপুরা বাজার থেকে মাত্র ২০০ গজ পশ্চিম-উত্তর পাশে ১০০ গজের মধ্যে এ অলৌকিক আগুনে গত কয়েতদিনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে সিদ্দিক হাওলাদার, মো. রফিক মিয়া, ফোরকান মুন্সী, মোসলেম আকন ও কালাম মিয়ার বসতঘর। উল্লেখ্য গত এক মাস আগে সেলিম হাওলাদার নামের এক গাছ ব্যবসায়ী তার বাড়ির পাশে ফয়জর কারিকরের বাড়ি থেকে ১১ টি বিভিন্ন ধরনের গাছ ক্রয় করেন। গাছ কাটার সময় একটি কদম গাছে সাদা কাপর জড়ানো মাথা ন্যাড়া এক দরবেশকে দেখতে পায় তার ৮ বছরের মেয়ে সোনামনি। এ সময় গাছটি কাটতে বারন করে সোনামনি। কিন্তু সেলিম হাওলাদার মেয়ের নিষেধ উপেক্ষা করে গাছ কাটার পরের দিন থেকে তার বাড়িতে প্রথম আগুনের ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে বাউফল ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আরিফুর রহমান সত্যতা স্বীকার তরে বলেন, কি কারণে আগুন লাগছে তা তিনি বলতে পারছেন না। তবে এ ধরনের ঘটনা তার কাছে প্রথম বলে মনে হচ্ছে ।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



