আওয়ামিলীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত বলেছেন বাঘে ধরলে ছাড়া পাওয়া যায়, কিন্তু হাছিনা ধরলে রক্ষা নাই। যার জলন্ত প্রমান হলো নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ইউনুস। এবার হাছিনার চোখ পড়েছে একুশে টিভির উপর। ধারনা করা হয় গত বেশ কিছু দিন যাবত একুশে টিভি সরকারের কিছু কু-কৃর্তি জনগনের সামনে প্রতিনিয়ত তুলে ধরছে। বিশেষ করে ভারতকে ট্রানজিট দিতে গিয়ে তিতাস নদীর উপর বাঁধ নির্মান ও তার প্রভাব সম্পর্কে সচিত্র প্রতিবেদন। এছাড়া একুশের অন্যতম অনুষ্ঠান তৃনমূল সংলাপ ও পাবলিক রিএকশন নামক দুটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জনগনের মতামত তুলে ধরে, যেখানে দেখা যায় প্রায় সরকারের কড়া সমালোচনা করা হয়। তারপর ইদানিং ইটিভি বেশ কিছু বিরোধী দলের অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করচে। গত ১২ মার্চ চারদলীয় জোটের ঢাকা চলো সমাবেশ সরাসরি সম্প্রচার না করার জন্য বিটিআরসি থেকে একুশে টিভিকে মুখিকভাবে নির্দেশ দেওয়া সত্ত্বেও ইটিভি, বাংলাভিশন ও ইসলামিক টিভি তা সরাসরি সম্প্রচার করতে গেলে তাদের সংযোগ গোয়েন্দা সংস্থার চাপে কেবল ওপারেটররা বন্ধ করে দেয়।
একুশে টিভিকে নিজেদের নিয়ন্ত্রনে নিতে ব্যর্থ হয়ে সরকার তার পুরানো কৌশল আয়কর মামলা দিয়ে জব্ধ করতে চাচ্ছে।
আয়কর রিটার্ন দাখিল না করায় একুশে টেলিভিশনের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর অঞ্চল-৯-এর উপ-কর কমিশনার মো. আবু সাঈদ সোহেল ঢাকা জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতে হাজির হয়ে মামলা করলে বিচারক সমন জারি করেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান বাদীর জবানবন্দী নিয়ে আগামী ১০ এপ্রিল আদালতে হাজির হতে আসামিদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন।
যাদের বিরুদ্ধে সমন জারি করা হয়েছে তারা হলেন- একুশে টেলিভিশ লিমিটেড, প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফুল আলম।
মামলায় বলা হয়, ২০০৮-২০০৯ থেকে ২০১০-২০১১ অর্থবছরে বিবাদীরা ইচ্ছাকৃতভাবে আয়কর রিটার্ন দাখিল করেননি। পরবর্তীতে এ সংক্রান্ত নোটিশ দেওয়া হলেও তারা তার পালন করেননি

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



