ব্যক্তিগত ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ থাকায় অর্থকষ্টে আছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। টাকার অভাবে তিনি বাড়ি ভাড়া পর্যন্ত পরিশোধ করতে পারছেন না। নতুন বাসায় ওঠার পর থেকে বাড়িওয়ালাকে কোনো টাকাও দিতে পারেননি।
ওয়ান-ইলেভেনের সময় ফখরুদ্দীনের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ম্যাডামকে (খালেদা জিয়া) গ্রেফতারের পর তার ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট জব্দ করে। পরে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা করে উঠানোর অনুমতি দেওয়া হয়। ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি থেকে উচ্ছেদের পর তিনি প্রথমে তার ছোট ভাই শামীম এস্কান্দারের গুলশানের বাসায় ওঠেন। পরে জানুয়ারি ২০১১ সালে দুই লাখ টাকা মাসিক ভাড়ায় চুক্তিবদ্ধ হয়ে গুলশান ২ নম্বরে ৭৯ নম্বর রোডের ১ নম্বর বাড়িতে ওঠেন। কিন্তু বাড়িতে ওঠার পর থেকে আজ পর্যন্ত তিনি বাসা ভাড়া পরিশোধ করতে পারেননি। উল্লেখ্য, খালেদা জিয়া তার দলের সাবেক নেতা ও প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী মেজর (অব.) কামরুলের বাড়িতে উঠেছেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও তার ব্যক্তিগত আয়কর আইনজীবী অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান জানান, নতুন বাসায় ওঠার আগে ২০১০-এর ডিসেম্বরে ম্যাডামের পক্ষে তিনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড চেয়ারম্যান বরাবরে আবেদন করেন প্রতি মাসে দুই লাখ টাকা উত্তোলনের অনুমতি চেয়ে। কিন্তু আজ পর্যন্ত তার
কোনো কূলকিনারা করেননি। রাজস্ব বোর্ড চেয়ারম্যান তাকে জানান, ম্যাডামের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের কাগজপত্র তার কাছে নেই। কোথায় আছে তাও তিনি জানেন না। এদিকে পৃথক কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট না থাকায় বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে তিনি যে বেতন-ভাতা পান তাও ওই অ্যাকাউন্টে জমা হচ্ছে।
নিজের টাকা তুলতে না দেওয়ার বিষয়টিকে ন্যক্কারজনক বলে অভিহিত করেন আহমেদ আযম খান।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



