প্রথমে বলে নিচ্ছি আমার কুরআন ও হাদীস সম্পর্কে আমার জ্ঞান অনেক সীমিত। চেষ্টা করি সহি হাদিস ও কুরআনের ব্যাখ্যা জানতে। আজ জুমার নামাজের সময় ইমাম সাহেব একটি হাদীস উদ্বৃত করলেন, যদিও হাদীসটি আমি আরো অনেকবার শুনেছি। কিন্তু আজ হঠাৎ একটি প্রশ্ন মনে জাগ্রত হলো এবং আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। ব্লগে যদি কোন ইসলামি স্কলার বা মুফতি থেকে থাকেন এবং তিনি যদি একটু ব্যাখ্যা করতেন তা হলে উপকৃত হবো।
হাদীসটি হলোঃ-
একদিন জুমহার নামাজের খুতবা দিতে নবী করিম (সাঃ) মিম্বারে উঠছেন এবং মিম্বারে উঠবার সময় তিঁনি তিনবার আমীন বললেন। নামাজ শেষে সাহাবীগণ নবীজির কাছে তিনবার আমীন বলার কারন জানতে চাইলে নবী করিম (সাঃ) বলেন- আমি যখন মিম্বারে উঠছি তখন হযরত জিব্রাঈল (আঃ) তিনটি দোয়া করেন এবং আমি আমীন বলে ঐ দয়ার প্রতি সমর্থন জানাই।
প্রথম দোয়াটি ছিল যারা রমজান মাস পেলো অথচ নিজের গুনাহ্ মাফ করে নিতে পারলোনা, তাদের উপর যেন আল্লাহর অভিশাপ পড়ে।
দ্বিতীয় প্রার্থণা ছিল যারা নবীজির নাম শুনার পর ও সাল্লাহ ও আলাইস্ সালাম অর্থাৎ দরুদ পাঠ করবেনা তাদের উপর ও আল্লাহর অভিশাপ বর্ষিত হউক
তিন নম্বর দোয়াটি ছিল - তাদের উপর আল্লাহর লানত যারা নিজের পিতা মাতাকে কষ্ট দেয়।
আমার প্রশ্নটি দ্বিতীয় দোয়াটি নিয়ে, প্রথমে বলে নিচ্ছি হয়ত অজ্ঞতার কারণে প্রশ্নটি আমার মনে এসেছে, সে জন্য আমি আল্লাহর দরবারে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।
আমাদের নবীজি হলেন রহমতাল্লিল আলামিন এবং অত্যান্ত ক্ষমাশীল। তিনি কেন তাঁর উম্মত যদি কোন কারনে উনার নামের উপরে দরুদ পাঠ না করে এবং সে জন্য আল্লাহর অভিশাপ বর্ষিত হউক এই দয়ার প্রতি সমর্থণ জানাইলেন। বিষয়টা কেমন জানী আমাদের প্রিয় নবীর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের সাথে সামাঞ্জস্য হয়না!
তাই হাদিসটি সহি কিনা এবং এর সঠিক ব্যাখ্যা যদি কারো জানা থাকে তবে দয়া করে বলবেন কি?
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই জুলাই, ২০১২ দুপুর ১:৩৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



