দাঁড়ান, ব্লগ দেখার আগে মৌসুমি ভৌমিক এর বিখ্যাত “ আমি শুনেছি সেদিন” প্লে করে দেন, তারপর দেখা শুরু করুন! আর কাছে না থাকলে নিচের লিঙ্কে গেলে পাবেন ফ্রি তে।
আমাদের প্ল্যান করে কোথাও যাওয়া হয় না।, একদিনের হঠাৎ সিদ্ধান্তে যদি হয় তাই। বরাবরের মতো ভ্রমণ সঙ্গী ছোট বেলা+ছেলেবেলা+তরুন বেলা+...+আজকের দুই বন্ধু। এর আগেও কক্স বাজার তিন চার বার গিয়েছিলাম, কিন্তু সেন্টমার্টিন যাওয়া হয় নি।মনের ভেতর সেই খচ খচানি দূর করতে এবার গেলাম সাধ মিটাইতে সাধের সেন্টমার্টিন। ঠিক ছিল চার জন যাবো, এর মধ্যে একজনের বয়স একটু কম হওয়ায় (
সারা দিন সাগর পারে হই চই করে বিকেলে খাওয়া দাওয়া করে শেষ বারের মতো দিনের কক্স বাজার টাকে একটু ভালো করে দেখে নেয়া
রাতে ভরপুর আড্ডা চাদের আলোয়+গান ট ছিলই। রাত বেড়ে গেলে মাথায় চিন্তা আসে পরের দিনের! খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে সেন্টমার্টিন এর উদ্দেশে হোটেল ছাড়তে হবে। গল্গ করে ঘুমাত ঘুমাতে রাত গভীরে ঘুমাতে গেলাম।
সেন্টমার্টিন যাবার পথে অনেক দূর পর পর পরবে নয়নাভিরাম তেপান্তর (নীচে), মুগ্ধ হয়ে মাঠ আর মানুষ দেখছিলাম, দেখতে দেখতেই আমার গ্রামের কথা মনে পড়ে গেল! মোটামুটি একহাজার কিলো দূরে আমার গ্রাম থেকে মনে কেমন জানি শুন্যতা এসে ভর করলো। মায়ের কথা বাড়ির কথা মনে পড়লো খুব। আমার বাড়ি জেতেও এমন ইন্ডিয়ান পাহাড় তার নীচে গরু ,রাখাল চোখে পড়ে।
আমাদের তিন জনের কেউ ই আগে জাহাজে উঠি নি, আমার মধ্যে ভয় একটু বেশি কাজ করে সবসময়। জাহাজে উঠার আগে,
জাহাজ টেকনাফ এর নাফ নদী তে কিছুদুর গেলে, এই দৃশ্য দেখে আমি বিস্মিত! আমাদের বাংলাদেশ এ আমার দেশ এ এমন জায়গা আছে? আমি ভাষা হীন! ইসস এই জায়গায় আমার বাড়ি হলে !
কিছুদুর যাওয়ার পর জাহাজের পিছনে সীগালের মিছিল,
নীল পানি ঘোলা পানি
এসেই গেলাম স্বপ্ন দ্বিপে !!
নিচের তিনটা ফটো ভোরের কিছুক্ষণ পরে তোলা। বীচে আস্তে আস্তে হাটছিলাম আর হেডফনে গান। এই সময়টা বীচে হাটার মজাই আলাদা,ভীর কম। অস্বাভাবিক স্নিগ্ধতা আর নিরবতায় চাইলেই হারিয়ে যাওয়া যায় , মুড যেমন ই থাকুক।
ডাব গুলো আমার বাড়ির ডাবের চাইতেও মিষ্টি। একটা একজন খাইতে কষ্ট হয়
যা যা দুঃখ নীল সাগরে ভেসে যা
মানুষ বুঝি এভাবেই সাগর পারে এসে দুঃখ ভাসায়
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:০১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




