বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'এ খবর পড়তে পড়তে হঠাৎ বেশ চটকদার একটা শিরোনাম দেখে পড়া শুরু করলাম। কিন্তু পড়ার পর কেমন জানি বেখাপ্পা মনে হওয়ায় বিষয়টা নিয়ে একটু ঘাটলাম। ঘেটে যা পেলাম তা চমকে যাওয়ার মতই।
BBC'র Adrian Goldberg'এর একটা রিপোর্ট ৬ ঘন্টা পরে হুবহু মেরে দিয়েছেন সুমন মজুমদার।
অথচ উৎস'র নাম বলা দুরে থাক, মূল রিপোর্ট'এর ছবিটিও ক্রপ করে ক্রেডিট লাইন বাদ দিয়ে ছেপে দিয়েছেন নিজের রিপোর্ট'এ।
বিবিসি রিপোর্ট'এর লিন্ক: http://www.bbc.co.uk/news/business-16801382
সুমন মজুমদার'এর রিপোর্ট'এর লিন্ক: Click This Link
"অনুসন্ধানে দেখা গেছে", "প্রযুক্তিবিদরা নাম দিয়েছেন" এধরনের গাল ভরা কথা সাজিয়ে তিনি এটাকে বেশ অনুসন্ধানী একটা ক্রাইম রিপোর্ট বানিয়ে ফেলতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছেন। তাও যদি অন্তত অনুবাদ টা ঠিকঠাক থাকত তাহলেও একটা কথা ছিল।
মূল রিপোর্ট'এ "ডাউনলোড বান্ধব সফটওয়্যার" অথবা "দ্বিপক্ষীয় ফাইল শেয়ারিং" নিয়ে Adrian Goldberg'এর নিজস্ব কথা আছে। অথচ সুমন মজুমদার এগুলিকে John Carr'এর উদ্ধৃতি বলে চালিয়েছেন আবার অনুবাদ'এরও বারটা বাজিয়েছেন।
জনাব সুমন মজুমদার--- ওখানে "downloading freely available software" বলা হয়েছে, "Doanload friendly software" নয়।
নিজের জ্ঞ্যন থেকে একটা মাত্র কথা বল্লেন সেটিও আবার ভুল।
"এ জগৎকে আরও কিছু নামে যাকা হয়, যেমন ডিপ ওয়েব, ডিপ নেট, দি ইনভিজিবল ওয়েব প্রভৃতি।"
অথচ wikipedia'য় খুজে দেখলাম বলা আছে:
"The dark Internet should not be confused with either deep web or darknet."
http://en.wikipedia.org/wiki/Dark_Internet
সুমন মজুমদার'এর রিপোর্ট'এ John Carr'কে "আমেরিকার ইন্টারনেট সিকিউরিটি অ্যাডভাইজার" বলা হয়েছে, অথছ বাস্তবে বৃটিশ নাগরিক John Carr হচ্ছেন "key adviser on internet safety to the UK Government"।
(http://johnc1912.wordpress.com/about,
http://johncarrcv.blogspot.com)
সুমন মজুমদার কি বিবিসি নাকি সিএনএন কোত্থেকে মেরে দিলেন গুলিয়ে ফেলেছিলেন???
যাই হোক, আরও জানার আগ্রহ থাকলে পাঠক কষ্ট করে রিপোর্ট দুইটাই পড়ে দেখবেন।
সুস্থ সাংবাদিকতার জয় হোক, কাট-কপি-পেষ্ট সাংবাদিকতা নিপাত যাক।।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ১০:২২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



