অন্যান্য সাধারণ মিষ্টি আমের চেয়ে একটু বেশি মিষ্টি। কলার মতো লম্বা বলে একে বলা হয় ‘ব্যানানা ম্যাংগো’। এর খোসা ও আঁটি কাগজের মতোই পাতলা। ফলে এর ভক্ষণযোগ্য অংশ ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ। লম্বায় ৯ থেকে ১০ ইঞ্চি। ওজন ৩০০ থেকে ৫০০ গ্রাম
চাঁপাইনবাবগঞ্জ হর্টিকালচার সেন্টারে লাগানো তিন বছর বয়সী একটি গাছে এ বছর বেশ কয়েকটি আম ধরেছে। এই সেন্টারের ভারপ্রাপ্ত উদ্যানতত্ত্ববিদ শাহীন সালেহ্ উদ্দীন জানালেন, গত বছরও এই গাছটিতে বেশ কিছু আম ধরেছিল। সামনের বছর থেকে এ জাতের চারাগাছ সাধারণ মানুষের কাছে সরবরাহ করা যেতে পারে। তিনি জানান, আমগুলো পাকলে দারুণ আকর্ষণীয় হয়। স্বাদেও হয় অসাধারণ। এ জাতের আম অস্ট্রেলিয়ায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ হয়ে থাকে। বাংলাদেশেও এটি সম্ভাবনাময় জাত হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সমন্বিত মানসম্পন্ন উদ্যান উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক এস এম কামরুজ্জামান বললেন, এই আম পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ আমগুলোর একটি। এ আম দেশের বিভিন্নস্থানে ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কেননা এ আম সারা দেশেই চাষযোগ্য। নাবীজাতের কারণে এ আম বাণিজ্যিক দিক থেকেও লাভজনক। জুন মাসের শেষ থেকে জুলাইয়ের মধ্যভাগের মধ্যে এই আম পাকে।

প্রকল্প পরিচালক আরও জানালেন, আমের এ জাতটি থাইল্যান্ড থেকে ২০০২ সালে ফেনী হর্টিকালচার সেন্টারে নিয়ে আসেন উদ্যানতত্ত্ববিদ সঞ্চয় কুমার কয়েলদার। সেখান থেকে পর্যায়ক্রমে মেহেরপুর, নাটোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ হর্টিকালচার সেন্টারসহ বিভিন্ন সেন্টারে ছড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। বাংলাদেশে এ আম চাষের উপযোগিতা বিবেচনা করে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ২০১০ সালে এ জাতটিকে বাউ আম-১৪ হিসেবে অবমুক্ত করে। তবে থাইল্যান্ডে এ জাতটিকে বলা হয় ‘সিনথোলিন’। তিনি আরও জানান, বামন আকৃতির বলে এ জাতের আমগাছ ২০-২৫ ফুট দূরত্বে লাগানো যায়। অর্থাৎ একরে ১১০টি আমগাছ রোপণ করা যায়। এ ছাড়া যাঁরা শখের বশে বাড়ির ছাদে চাষ করতে চান, তাঁরাও বড় আকৃতির টবে ছয় বছর পর্যন্ত এই জাতের আম চাষ করতে পারেন।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




