somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জাকির নায়েক কেন কাফের? জাকির নায়েক কেন কাফের নায়েক ও পথভ্রষ্ট?

২১ শে আগস্ট, ২০১২ দুপুর ২:৫৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

যুগে যুগে মুসলমানদের ঈমান কে শেষ করার জন্য বিভিন্ন ফিৎনা কারীর আবির্ভাব হয়েছে ,যাদের কবলে পড়ে কিছু শিক্ষিত সম্প্রদায় নিজেদের ঈমান কে হারিয়ে জাহান্নাম কে নিজেদের ঠিকানা বানিয়ে নিয়েছে । জাকির নায়েক হল সেই ফিৎনা সৃষ্টি কারীর অন্যতম । তার কোরান হাদিস বিরোধী বক্তব্যই প্রমান করে যে,সে এক জন পথভ্রষ্ট ও কাফের । তার কিছু বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য এবং তার জবাব নিম্নে উল্ল্যেখ করা হলঃ-
১.জাকির নায়েক বলেছে যে, সে অন্ধভাবে পরকাল,জান্নাত,জাহান্নাম,রূহ,জ্বিন,ফেরেস্তা বিশ্বাস করে না । সে যুক্তি এবং সম্ভবনা তত্ত্ব (theory of probably) দ্বারা বিশ্বাস করে । (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক) (Quraan and Modern Science- conflict or conciliation- ---"Presenting Islaam and Clarifying Misconceptions –Lecture series by Dr.Zaakir Naik, Developed by AHYA Multi-Media- 12 Enlightening Sessions) তার এই বক্তব্য স্পষ্টতঃ সূরা বাক্বারার ২ এবং ৩ নম্বর আয়াত শরীফের বিরোধী । আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, “এ সেই কিতাব মুবারক যাতে কোন সন্দেহ নেই । মুত্তাকিদের জন্য যারা অদৃশ্যের উপর বিশ্বাস স্থাপন করেছে ।”
২.জাকির নায়েক বলেছে যে,দাড়ি রাখা ও টুপি পরার কথা কোরান ও হাদিসে নেই {পোশাকের বিধান পৃঃ ১৩৮৯}[Lecture series by Dr.Zaakir Naik, Developed by AHYA Multi-Media- 12 Enlightening Sessions] তার এই বক্তব্য দ্বারা সে প্রমাণ করেছে সে কত বড় গন্ড মুর্খ ও হাদিস সম্পর্কে অজ্ঞ!হাদীছ শরীফে হুযুর পাক সাল্লাল্লাহু আলায়হে ওয়া সাল্লাম ঈরশাদ করেন “তোমরা (পুরুষরা) দাড়ি লম্বা করো”।
(মুসলিম শ রীফ ১ম খন্ড ১২২ পৃঃ,তিরমীযি শরীফ হাদিস নং২৭৬৩,নেসাঈ শরীফ)
৩. জাকির নায়েক বলেছে যে, মুসলমানদের জন্য টাই পরা জায়িজ। কারণ বাইবেলের কোথাও টাইকে ক্রুশের প্রতীক হিসেবে উল্লেখ করা হয়নি। সে আরো বলেছে, টাই যদি ক্রুশের মত হয়ে থাকে তবে কুর্তা আরো বেশী ক্রুশের মত। সে আরো বলেছে যে, যে কোন পোশাক পরিধান করা যাবে যদি সেটি শরীয়া বিরোধী না হয়। (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক) [পোশাকের বিধান১৩৭৯ পৃঃ (Muhammed in various world religious scripture- from the CD -"Presenting Islaam and Clarifying Misconceptions –Lecture series by Dr.Zaakir Naik, Developed by AHYA Multi-Media- 12 Enlightening Sessions)] জাকির নায়েক কত বড় মাপের মূর্খ যে সে বাইবেলে ইসলামী আদেশ-নিষেধ খুজে বেড়ায়!মহান আল্লাহ পাক সূরা ইমরান এর ৮৫ নম্বর আয়াত শরীফ এ ইরশাদ করেন, “যে দ্বীন ইসলাম ব্যতীত অন্য কোন ধর্ম বা মতবাদের নিয়ম-নীতি গ্রহণ করবে সেটা তার থেকে গ্রহণ করা হবে না এবং সে পরকালে ক্ষতিগ্রস্থদের অর্থাৎ জাহান্নামীদের অন্তর্ভূক্ত হবে ।” আবার হুযুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মিশকাত শরীফ এ ইরশাদ করেন,“যে ব্যক্তি যে সম্প্রদায়ের সাথে মিল রাখে, সে তাদের অন্তর্ভুক্ত এবং তার হাশর-নশর তাদের সাথে হবে ।”
৪.জাকির নায়েক বলেছে যে,গীতা ও বাইবেল পড়া হচ্ছে মুস্তাহাব।(মিডিয়া এন্ড ইস লাম ১২৭৩) মহান আল্লাহ পাক সূরা মায়িদার ৪৪ নম্বর আয়াত শরীফ এ ইরশাদ করেন, “আল্লাহ পাক তিনি যা নাযিল করেছেন সে অনুযায়ী যারা আদেশ-নির্দেশ করবে না তারা কাফির ।” আর কোরান হচ্ছে the complete code of human life.অথচ জাকির নায়েক বি ধ র্মীদের পুস্তক পাঠ ক রা কে মুস্তাহাব ব ল ছে এ বং তা থেকে আদেশ ও নিষেধাজ্ঞা জারী করে কোরানের আইন অমান্য করার প্রচার চালাচ্ছে ।
৫.জাকির নায়েক ব লেছে যে,নবী যদি বেঁচে থাকতেন তাহলে আমার ধারনা তিনিও আজকের মিডিয়াকে সম্পুর্ণভাবে ব্যবহার করতেন ।(মিডিয়া এন্ড ইসলাম ১২৭৩)
এই বক্তব্যেও তার কোরান বিরোধীতার প্রকাশ পেয়েছে।আল্লাহ পাক সুরা আল ইমরান ১৬৯ নং আয়াতে নবী উম্মতের মধ্যে শ হিদ দেরও মৃত ধারণা করতেও নিষেধ করেছেন “এবং যারা আল্লাহর পথে নিহত হয়েছেন ,ক খনও তাদের কে মৃত বলে ধারণা করোনা ব রং স্বীয় প্রতিপালকের নিকট জীবিত রয়েছেন”।
৬. জাকির নায়েক নাস্তিকদেরকে স্বাগত জানায় কারণ তারা কলেমা শরীফ এর প্রথম অংশ “লা ইলাহা” অর্থাৎ “কোন প্রভু নেই” স্বীকার করে। (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক) (Quraan and Modern Science- conflict or conciliation- ---"Presenting Islaam and Clarifying Misconceptions –Lecture series by Dr.Zaakir Naik, Developed by AHYA Multi-Media- 12 Enlightening Sessions) প্রথমত কালেমা শরীফ এর প্রথম অংশ হলো “লা ইলাহা ইল্লালাহ” অর্থাৎ “আল্লাহ পাক ব্যতীত কোন ইলাহ নেই” কিন্তু জাকির নায়েক “ইল্লালাহ” বাদ দিয়ে বলেছে। দ্বিতীয়তঃ তার মত কুফরী আক্বীদা পোষণ করে কেউ যদি সারা জীবন কলেমা শরীফ পড়েও থাকে তবুও সে ৭২টি বাতিল ফিরকার সাথে জাহান্নামী হবে ।
এ সকল ছাড়াও তার আরও বহু লেকচারের দ্বারা সে যে পথভ্রষ্ট তার প্রমান পাওয়া যায়।মুসলিম ভাইদের নিকট আবেদন যে, তারা যেন নিজদের এই শয়তান জাকির নায়েকের পথভ্রষ্টতার বেড়াজাল হতে দূরে রাখে ।আল্লার কাছে প্রার্থনা করি এই ইসলামের শত্র হতে মুসল মান সমাজ কে হেফাজত করুন ।(আমীন
জাকির নায়েক কেন কাফের
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৩:০০
১৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কৃষ্ণচূড়া আড্ডার কথা

লিখেছেন নীলসাধু, ১৯ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:০২



গতকাল পূর্ব নির্ধারিত কৃষ্ণচূড়ায় আড্ডায় মিলিত হয়েছিলাম আমরা।
বছরের একটি দিন আমরা গ্রীষ্মের এই ফুলটির প্রতি ভালোবাসা জানিয়ে প্রকৃতির সাথে থাকি। শিশুদের নিয়ে গাছগাছালি দেখা, ফুল লতা পাতা চেনাসহ-... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×