আজ সকালে অনুষ্টেয় সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষাটি স্থগিত করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে প্রথম আলোকে এ কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরীক্ষার নতুন তারিখ পরে জানানো হবে।
খবরটি শোনার পর থেকে এক অদ্ভুত চিন্তা মাথায় ঘুরাফিরা করছে ,বিষয়টা মোটেই অবহেলা করার মত নয়। এর সাথে জড়িয়ে আছে আমাদের দেশের ভবিষ্যত প্রজন্মের অনাগত ভবিষ্যত।এই পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগকৃত শিক্ষকদের অংশগ্রহনে সম্মৃদ্ধ হতে যাচ্ছে দেশের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো একি সাথে একঝাক তারু্ন্যভরা নবীণ শিক্ষকের যোগদানের ফলে আমাদের শিক্ষার্থীরাও ভাল কিছু পাবে এটাই তো সবার কাম্য, কিন্তু বাস্তবতা উল্টো কথা বলছে । গতকালের ঘটনাইয় ফাঁস করা প্রশ্ন যারা কিনতে এসেছিল ,(ঘটনা জানাজানি না হলে)একসময় তারাই হয়ত নিয়োগ পেয়ে বসে পড়ত সেই শিক্ষকদের আসণে!!!তারপর এমন দূর্নীতিগ্রস্থ শিক্ষকদের কাছ থেকে ভবিষ্যত প্রজন্ম কি ধরণের শিক্ষা পাবে সে কথা নাইবা বললাম। তাছাড়া বিষয়টা এখানেই শেষ হলেও একটা কথা ছিলো ,দেখা যায় পরীক্ষা দূনীতি মুক্ত হলেও ভাইবার সময় চলে ঘুষের বিনিময়ে চাকরির বাণিজ্য, যারপরণায় অযোগ্য লোকেরা নীয়োগ প্রাপ্ত হয় । বলা হয়ে থাকে শিক্ষাই জাতির মেরূদন্ড, আর শিক্ষকেরা নাকি মানুষ গড়ার কারিগর !যে দেশের মানুষ গড়ার কারিগরের এই দশা সেই দেশের দশা কি আর হতে পারে সে কথা বলার আর উপেক্ষা রাখে না বোধ করি।তবে দুঃখের বিষয় হল এমন ঘটনা ঘটে চলেছে অহর্নিশ, যে গুলো জানাজানি হয় শুধুমাত্র সেগুলোই আমাদের চোখে পড়ে।অন্য ক্ষেত্রগুলোর কথা নাইবা বললাম, তবে দেশের ভবিষ্যত প্রজন্মকে সুশিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত না করার লক্ষেই অন্ততপক্ষে শিক্ষা ক্ষেত্রে এরুপ দুনীতি রোধ করা অনেকটা ক্ষুধা নিবারণের মতোই জরুরি একটা বিষয়।
----------নওশিন মণি।
৯/৭/২০১০ইং
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই জুলাই, ২০১০ রাত ৯:২২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



