somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হারুকি মুরাকামির “ দ্য মিরর ” গল্পের কিছু অংশের অনুবাদ এবং লিপি নিয়ে কিছু কথা

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আজ তোমরা যেসব গল্প বললে তা মূলত দুই শ্রেণিতে বিভক্ত। এই দুই শ্রেণির একদিকে রয়েছে আমাদের পারিপার্শ্বিক বাস্তবিক জগত আর অন্যদিকে রয়েছে ভৌতিক মৃত্যু সম্পর্কিত জগত, কিছু শক্তি যা আমাদের এক পর্যায় থেকে আরেক পর্যায়ে নিয়ে যায় বা বাধ্য করে। দ্বিতীয় শ্রেণির সাথে সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো অনেকটা অলৌকিক যেখানে অতিপ্রাকৃত শক্তি, পূর্ববোধ এবং ভবিষ্যত দ্রষ্টা বিদ্যমান।

সত্যি কথা বলতে কি তোমাদের অভিজ্ঞতাগুলো মূলত একটু শ্রেণিতেই অধিক মানানসই। আমি বলতে চাচ্ছি যে যেসব লোক ভূত দেখে, কোনরকম পূর্ববোধ ছাড়াই দেখে। আর যারা পূর্বাভাস পেয়ে যায়া তারা ভূত দেখেনা। আমি জানিনা কেন এরকম হয়। কিন্তু এখানে কিছু স্বতন্ত্র পক্ষপাতিত্বমূলক মনোনয়ন বা অনুরাগ আছে বলেই আমার ধারনা। অন্তত এটাই আমার গভীরতম উপলব্ধি।

হ্যাঁ অবশ্যই কিছু লোক আছে যারা এই দুই শ্রেণির কোনটাতেই পড়েনা। আমার কথাই ধরা যাক। আমি আমার ৩০ বছর বয়স পর্যন্ত কোন ভূত দেখিনি অথবা কখনো ভূত দেখার আশঙ্কাও সৃষ্টি হয়নি। একবার আমি কিছু বন্ধুবান্ধবের সাথে লিফট চড়ছিলাম, আমার বন্ধুরা দোহাই পাড়ে যে একটা ভূত আমাদের সাথে লিফট-এ উঠেছে । কিন্তু আমি কিছুই দেখিনি। তারা দাবী করে ধূসর রঙয়ের এক মহিলা ঠিক আমার পাশেই দাঁড়িয়ে ছিল, কিন্তু আমার জানামতে আমাদের সাথে কোন মহিলা ছিলনা। লিফট-এ শুধু আমরা তিনজনই ছিলাম। কোন হাসি-ঠাট্টা নয়। জ্ঞাতসারে ঠাট্টা করার মত বন্ধু ওরা ছিলনা। পুরো ব্যাপারটাই ছিল ভৌতিক, ছমছমে আর রহস্যময়। কিন্তু মোটকথা একই রইল, আমার ভূত দেখা হলো না।


কিন্তু একবার, হ্যাঁ, শুধু একবার আমি এমন এক ঘটনার মুখামুখি হলাম যা আমাকে রীতিমত ভয় পাইয়ে দিল।এটা দশ বছর আগে ঘটেছিল এবং আমি কখনো কাওকে এ সম্পর্কে বলিনি। আমার মনে হত যদি আমি কারো সাথে এটা শেয়ার করি তাহলে ব্যাপারটা আবার ঘটবে, আর আমি তা চাই না। আমি পুরো ঘটনা চেপে গেলাম। কিন্তু আজ তোমরা তোমাদের ভুতূরে অভিজ্ঞতাগুলো আমার সাথে শেয়ার করেছ, কাজেই আমাকে ত কিছু একটা বলতেই হয়, তাই না? আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি ঐ ঘটনা আজ তোমাদের সাথে শেয়ার করেই রাত পার করে দেব।



লিপি একটি কাগজ । এবারের বইমেলায় এর ৪র্থ সংখ্যা বের হবে এবং সেখানে “আয়না“ এই গল্পের পুরোটা থাকবে । লিপিতে থাকবে গদ্য , মুক্তগদ্য, কবিতা, অনুবাদ গল্প, গল্প । প্রচ্ছদ এঁকেছেন নির্ঝর নৈঃশব্দ্য। সম্পাদনায় আছেন বাবুল হোসেইন, মলয় দাস ।


একটা করে কিনে পড়তে পারেন ।
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ইসলামে পর্দা মানে মার্জিত ও নম্রতা: ভুল বোঝাবুঝি ও বিতর্ক

লিখেছেন মি. বিকেল, ১৯ শে মে, ২০২৪ রাত ১:১৩



বোরকা পরা বা পর্দা প্রথা শুধুমাত্র ইসলামে আছে এবং এদেরকে একঘরে করে দেওয়া উচিত বিবেচনা করা যাবে না। কারণ পর্দা বা হিজাব, নেকাব ও বোরকা পরার প্রথা শুধুমাত্র ইসলাম ধর্মে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×