somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলতে থাকা বেকারদের পঙ্গু করে দেওয়া হয়েছে।

১৬ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:১৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত দারিদ্রতাকে সঙ্গী করেই দিন কাটাচ্ছে কুড়িগ্রামের মানুষগুলো।তাদের এই সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়,সমালোচনা হয়।প্রকল্প তৈরি হয়।কিন্তু বাস্তবায়ন হয় না।
২০০৯ সালের পর আওয়ামীলিগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর,এই এলাকার দারিদ্রতা বিমোচনের অংশ হিসেবে ন্যাশনাল সার্ভিস নামক ২ বছর মেয়াদি প্রকল্প নেওয়া হয়।যেখানে এসএসসি পাসকৃত সকল ১৮ -৩৫ বছর বয়সের সকল বেকারদের চাকুরির ব্যাবস্হা করা হয়।চাকরি পাবার সুবাদে যারা ছোটখাটো কিছু কাজ করতো,তারা সেটা বাদ দিয়ে দেয়।ঐ সময়ে তাদেরকে ৬০০০ টাকা করে বেতন দেয়া হত,যেখান থেকে ২০০০ টাকা জমা রাখা হত।কথা ছিল দুই বছর পর জমা হওয়া ৫০ হাজার টাকার সাথে তাদের, আরও ৫০ হাজার টাকা দিয়ে তাদের আরও কর্মক্ষেত্র তৈরি করে দেওয়া হবে।কিন্তু বাস্তবটা ছিল অন্যরকম।খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলতে থাকা বেকারদের পরিনতি আরও খারাপ হয়।মাসিক ভাতা ৪ হাজার টাকা তারা নিয়মিত পেতো না।
২ বছর পর ৫০+৫০ হাজার টাকা তো পায়নি।তার ওপর নিজেদের বেতন থেকে রেখে দেয়া ৫০ হাজার টাকা তুলতে হয়েছে কয়েক কিস্তিতে।
এখন কথা হল,তাদের এই অনিয়মিত টাকা প্রদানের ফলে, চাকরির টাকা দিয়ে তারা কোনো রকম ব্যাবসা বা নতুন কাজের ক্ষেত্র তৈরি করতে পারে নি তারা।
যার ফলে দু বছর পর,চাকরি যখন শেষ,বেকারদের বেকারত্ব আবার শুরু হয়।শুধু শুরুই হয়না,তখনকার বেকারত্বটাকে মেনে নেবার মত ছিল না।খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলতে থাকা এসব বেকারদের পঙ্গু করে দেওয়া হয়েছে।
সরকার ঠিকই অর্থগুলো ব্যায় করেছেন।কিন্তু সঠিক দিকনির্দেশনার কারনে তা বিফলে গেছে।এসব বেকাররা এখন খুবই খারাপ অবস্হায় দিন যাপন করছে।
এই সময়ে যদি এসব যুবকদের জন্য কোন ব্যাবস্হা না করা হয় বা তাদের পাশে না দাড়ানো হয়,পরবর্তি সময়ে কুড়িগ্রামের দারিদ্রতা আরও প্রকট রুপ ধারন করবে।
সরকারের উচিত ঐসব বেকারদেরকে আবার ন্যাশনাল সার্ভসের আওতায় ফিরিয়ে এনে,তাদের অবস্হার উন্নতি করা হোক।এবং প্রকল্পটি দুই বা চার বছরের জন্য না।দশ বছর স্হায়ী করার আবেদন জানাচ্ছি।

সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:১৬
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মুসলিম কি সাহাবায়ে কেরামের (রা.) অনুরূপ মতভেদে লিপ্ত হয়ে পরস্পর যুদ্ধ করবে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৯




সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৫। তোমরা তাদের মত হবে না যারা তাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ আসার পর বিচ্ছিন্ন হয়েছে ও নিজেদের মাঝে মতভেদ সৃষ্টি করেছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদে মসজিদে মোল্লা,ও কমিটি নতুন আইনে চালাচ্ছে সমাজ.

লিখেছেন এম ডি মুসা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ১০:২৩

গত সপ্তাহে ভোলার জাহানপুর ইউনিয়নের চরফ্যাশন ওমরাবাজ গ্রামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। লোকটি নিয়মিত মসজিদে যেত না, মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়েনি, জানা গেল সে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসী ছিল, স্বীকারোক্তিতে সে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গল্পঃ অনাকাঙ্ক্ষিত অতিথি

লিখেছেন ইসিয়াক, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ দুপুর ১:১২

(১)
মাছ বাজারে ঢোকার মুখে "মায়া" মাছগুলোর উপর আমার  চোখ আটকে গেল।বেশ তাজা মাছ। মনে পড়লো আব্বা "মায়া" মাছ চচ্চড়ি দারুণ পছন্দ করেন। মাসের শেষ যদিও হাতটানাটানি চলছে তবুও একশো কুড়ি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগে বিরোধী মতের কাউকে নীতি মালায় নিলে কি সত্যি আনন্দ পাওয়া যায়।

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৮

ব্লগ এমন এক স্থান, যেখানে মতের অমিলের কারণে, চকলেটের কারণে, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে অনেক তর্কাতর্কি বিতর্ক কাটা কাটি মারামারি মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যে আঘাত এগুলো যেনো নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। ব্লগটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×