somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

১৬টি একান্তই বাংলাদেশী মুহূর্ত

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৫৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



১। শীতের সকালে নানী/দাদী গোত্রের কেউ নবজাতক শিশুকে রোদে বসিয়ে গায়ে সরিষার তেল মাখিয়ে দিচ্ছেন।

২। অফিস শেষ হওয়ার এক ঘন্টা আগে কেউ প্রস্তাব দিলো চানাচুর-মুড়ি মাখানোর জন্যে চাঁদা তোলা হোক। সবাই মিলে পেঁয়াজ-মরিচ কেটে বিশাল এক গামলায় মাখিয়ে খাওয়া শুরু করলো।

৩। হঠাৎ কারো ইচ্ছা হলো রিকশায় করে একা একা ঘুরতে।

৪। বৃষ্টি শুরু হয়েছে। পরিবারের ছোট মেয়েটি আবদার করলো, “বাবা ভিজতে যাবো।” মা বারণ করলেন। কিন্তু ছাদে গিয়ে তিনিই সবচেয়ে বেশি আনন্দ করলেন।

৫। পাশের বাড়ির খালাম্মা পান চিবুতে চিবুতে লালচে ঠোঁট নিয়ে গল্প করতে এসেছেন মায়ের সাথে। তবে তিনি বসবেন না, কারণ তার দেরি হয়ে যাবে। এ করে দুই ঘন্টা কাটিয়ে দিলেন।

৬। প্রাথমিক শ্রেণিগুলিতে আজ স্কুলে বই দিবে। মা পুরোনো ক্যালেন্ডারের পাতা খুলে বইয়ের মলাট করে দেবেন।

৭। বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমের ক্রমাগত ব্যর্থতায় অতীষ্ঠ হয়ে খেলা দেখা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়ার পর হুট করে তারা জিতে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি করেছে এক ম্যাচে। প্রতিজ্ঞা ভুলে আবার খেলা দেখতে বসা।

৮। হঠাৎ করে কারেন্ট গেলে বিরক্ত হবার বদলে হৈ হৈ করে গল্পে-খেলায় মেতে ওঠা।

৯। ফুপা বা খালু গোত্রের কেউ একজন কোনো এক বিয়েবাড়িতে কোনো এক ইস্যু নিয়ে রাগারাগি করছেন। তার রাগ ভাঙানোর জন্যে রেজালার বাটিটা খাওয়ার সময় তার প্লেটের পাশেই রাখা হয়েছে।

১০। বাসায় গ্রামের বাড়ি থেকে মুরুব্বী মেহমানেরা এসেছে। তার জন্যে বিছানা ছেড়ে দিয়ে চ্যাংড়া প্যাংড়ারা ফ্লোরে, সোফায় ঘুমানোর আয়োজন করছে। গভীর রাত পর্যন্ত গল্প হবে।

১১। ছয় পদ খাওয়ানোর পর মেহমানকে লজ্জিত মুখে গৃহকর্তা বলছেন, তেমন একটা সমাদর করতে না পারায় তিনি খুবই লজ্জিত।

১২। মা আজকে রান্না করতে পারবেন না বলে বাচ্চারা খুব খুশি। কারণ, মাছের বদলে আলুভর্তা আর ডিমভাজি দিয়ে খাওয়া যাবে।

১৩। টংয়ের দোকানে কেক, কলা, বিড়ি খেয়ে নিজের বিল নিজেই গুণে দিয়ে দেয়া। দোকানদারের অত গোণার সময় নাই।

১৪। বিশ বছর সুখে-দুঃখে একসাথে কাটিয়ে দেয়ার পরেও স্ত্রীর মিষ্টি করে অভিযোগ “আমি বলেই আজও রয়ে গেছি তোমার সাথে। অন্য কেউ হলে সেই কবেই ছেড়ে যেতো!”

১৫। বইমেলা চলছে। বাবা মেলায় নিয়ে যান না বলে ছেলের রাগ। বাবা একদম শেষ শুক্রবারে বিশ্রাম বিসর্জন দিয়ে প্রচণ্ড ভিড় ঠেলে পরিবারের সবাইকে নিয়ে গেলেন। বই কেনার পাশাপাশি ছেলেমেয়েদের জন্যে হাওয়াই-মিঠাই আর স্ত্রীকে ফুচকা খাওয়ানোতে সবাই খুশি।

১৬। দেশের প্রতি প্রেম কাজেকর্মে তেমন প্রকাশ না পেলেও দেশপ্রেমমূলক গানের অভাব নেই। এসব দেশাত্মবোধক গান বিশেষ বিশেষ দিবসে শুনলে আবার চোখে জলও আসে।

সবাইকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা।

সবার কাছে বাংলাদেশ ধরা দিক তার নিজস্ব সৌন্দর্য নিয়ে।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৫৪
১৩টি মন্তব্য ১৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শোকের উচ্চারণ।

লিখেছেন মনিরা সুলতানা, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ১০:১৬

নিত্যদিনের জেগে উঠা ঢাকা - সমস্তরাত ভারী যানবাহন টানা কিছুটা ক্লান্ত রাজপথ, ফজরের আজান, বসবাস অযোগ্য শহরের তকমা পাওয়া প্রতিদিনের ভোর। এই শ্রাবণেও ময়লা ভেপে উঠা দুর্গন্ধ নিয়ে জেগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

যা হচ্ছে বা হলো তা কি উপকারে লাগলো?

লিখেছেন রানার ব্লগ, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১:২৮

৫ হাজার মৃত্যু গুজব ছড়াচ্ছে কারা?

মানুষ মারা গিয়েছে বলা ভুল হবে হত্যা করা হয়েছে। করলো কারা? দেশে এখন দুই পক্ষ! একে অপর কে দোষ দিচ্ছে! কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

আন্দোলনের নামে উগ্রতা কাম্য নয় | সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যবাদকে না বলুন

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৫:২৭



প্রথমেই বলে নেয়া প্রয়োজন "বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার সমস্ত অপচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে" ধীরে ধীরে দেশে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসছে। ছাত্রদের কোটা আন্দোলনের উপর ভর করে বা ছাত্রদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

কোন প্রশ্নের কি উত্তর? আপনাদের মতামত।

লিখেছেন নয়া পাঠক, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৬

এখানে মাত্র ৫টি প্রশ্ন রয়েছে আপনাদের নিকট। আপনারা মানে যত মুক্তিযোদ্ধা বা অতিজ্ঞানী, অতিবুদ্ধিমান ব্লগার রয়েছেন এই ব্লগে প্রশ্নটা তাদের নিকট-ই, যদি তারা এর উত্তর না দিতে পারেন, তবে সাধারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাকুরী সৃষ্টির ব্যাপারে আমাদের সরকার-প্রধানরা শুরু থেকেই অজ্ঞ ছিলেন

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:০৭



আমার বাবা চাষী ছিলেন; তখন(১৯৫৭-১৯৬৪ সাল ) চাষ করা খুবই কষ্টকর পেশা ছিলো; আমাদের এলাকাটি চট্টগ্রাম অন্চলের মাঝে মোটামুটি একটু নীচু এলাকা, বর্ষায় পানি জমে থাকতো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×