এবার এসএসসি পরীক্ষায় এ+ না পাওয়ায় ও ফেল করায় ১২ জন ছাত্র-ছাত্রী (৯ জন ছাত্রী, ৩ জন ছাত্র) আত্মহত্যা করেছে!
অতি চাহিদা সম্পন্ন অভিভাবকগণ কেমন বোধ করছেন?
সন্তানকে শুধু পুঁথিগত শিক্ষিত করায় প্রতিযোগীতা থামান এবার, নিজের সন্তানটাকে শিশুকাল থেকে একজন পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিযোগীতা করুন।
আর যেসব অভিভাবকগণ সন্তান এ+ পাওয়ায় হাঁক-ডাকে পারা-মহল্লা, ফেইসবুক-টুইটার গরম করে ফেলছেন, শত শত কেজি মিস্টি বিলাচ্ছেন, সন্তানকে দামী মোবাইল, লেপটপ, বাইক আরো কত কি কিনে দিচ্ছেন।
বুঝলাম আপনার সন্তান পুঁথিগত বিদ্যাটা ভালোই অর্জন করতে পেরেছে কিন্তু আপনাদের কাছে একজন মানুষ, মানবিক মানুষ হওয়ার শিক্ষাটা পাচ্ছে তো?
নাকি আপনাদের এমন উল্লাস দেখে শিখছে-- আমিই সেরা, আর সব গরু-ছাগল-ভেরা।
যেসব ভাবনার মধ্যে আছে শুধু অহংকার-দাম্ভিকতা!!
এরপর আবার সন্তানকে দামী কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করার জন্য রীতিমত যুদ্ধে নামবেন।
অমুক কলেজে চান্স না পেলে মান-সম্মান থাকবে না, অমুক ভার্সিটিতে ভর্তি করতেই হবে, যেখানে যা লাগে।
সেই কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি বৈষম্য এমনভাবে তৈরী করে দিয়েছেন আপনারা যা এখন অধিকাংশ মায়ের সন্তান শিক্ষা জীবনে শিক্ষা না পেয়ে কুশিক্ষাপ্রাপ্ত হচ্ছে!!
সন্তানের শিক্ষার ক্ষেত্রে এবার নিজেদের বিলাসি ভাবনা থেকে বেরিয়ে আসুন।
সন্তানদের সুশিক্ষা পাওয়ানোর ভাবনা জাগান।
#এমপিকে
০২/০৬/২০২০ইং
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা জুন, ২০২০ রাত ১১:৫৩