
বলা হয়ে থাকে প্রযুক্তির সবচেয়ে বড় উদ্ভাবনটাই হচ্ছে ইন্টারনেট এবং মানুষের জীবনে সবচেয়ে বেশী প্রভাব সৃষ্টিকারী বস্তুটি হলো ইন্টারনেট। মদ ছাড়া মাতাল যেমন হওয়া যায় না তেমনি ইন্টারনেট ছাড়া আমাদের জীবনকে কল্পনা করা যায় না। একজন মানুষ তার প্রেয়সীকে ছাড়তে পারে কিন্তু ইন্টারনেট ব্যবহার করা ছাড়বে না..এই সব কথা তাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য যারা জীবনে একবার হলেও ইন্টারনেট ব্যবহার করেছে।
সম্প্রতি মাইক্রোসফট জানিয়েছে, তার তাদের সার্চ ইঞ্জিন বিংএর জন্য এক ট্রিলিয়নের উপরে ওয়েব পেজ তালিকা ভুক্ত করেছে। আর গুগল তো এক ট্রিলিয়নের উপরে ওয়েব অ্যাড্রেসের তালিকাই বানিয়ে ফেলেছে।
একটা বিষয় ভাবুন,
*যদি বর্তমান পৃথিবীর মোট জনসংখ্যা ৬.৭ বিলিয়ন হয়, তাহলে প্রতি একজন মানুষের জন্য ওয়েব এড্রেস আছে ১৫০টি।
*কেউ যদি এক ট্রিলিয়ন ওয়েবসাইটের প্রত্যেকটিতে এক মিনিট করে ব্যয় করে তাহলে সেই মানুষটির ৩১,০০০ বছর লাগবে সবগুলো ওয়েব সাইট ঘুরতে।
*সারা বিশ্বে মোট ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা এই মূহুর্তে পৃথিবীতে ১,৫৯৬,২৭০,১০৮ ।
তার মানে পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার প্রায় ২৩ ভাগ মানুষ নেট ব্যবহার করে। তবে এ সংখ্যাটি প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল।
*চীন, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, ভারত এবং ব্রাজিল হচ্ছে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যার দিক দিয়ে প্রথম পাঁচটি রাষ্ট্র। লিস্টটিকে নিম্নরূপে উপস্থাপন করা যায়-
১- চীন (২৯৮,০০০,০০০ ব্যবহারকারী যা ২২ দশমিক ৪ শতাংশ মোট জনসংখ্যার)
২- যুক্তরাষ্ট্র (২২৭,১৯০,৯৮৯ ব্যবহারকারী যা ৭৪ দশমিক ৭ শতাংশ মোট জনসংখ্যার)
৩- জাপান (৯৪,০০০,০০০ ব্যবহারকারী যা ৭৩ দশমিক ৮ শতাংশ মোট জনসংখ্যার)
৪- ভারত (৮১,০০০,০০০ ব্যবহারকারী যা ৭ দশমিক ১ শতাংশ মোট জনসংখ্যার)
৫- ব্রাজিল (৬৭,৫১০,৪০০ ব্যবহারকারী যা ৩৪ দশমিক ৪ শতাংশ মোট জনসংখ্যার)
অস্ট্রেলিয়ার মোট ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের সংখ্যা হচ্ছে ১৬,৯২৯,০১৫ কিন্তু সেদেশের মোট জনসংখ্যার ৮০ দশমিক ৬ শতাংশ মানুষ ইন্টারনেট সুবিধা ভোগ করছে।
*ইন্টারনেটের স্পীডের দিক থেকে এগিয়ে আছে উত্তর কোরীয়া। তারা ১৮ মেগাবাইট পার সেকেন্ড স্পীডের নেট ব্যবহার করে। এর পরে আছে জাপান তাদের স্পীড ১৪ মেগাবাইট পার সেকেন্ড। যুক্তরাষ্ট্রের নেট স্পীড গড়ে ১০ থেকে ১২ মেগাবাইট পার সেকেন্ড।
তথ্য সূত্র: ইন্টারনেট।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



