somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সত্য ঘটনা অবলম্বনে, এক সন্ধ্যার গল্প।

১০ ই জানুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


দোকান থেকে বেরিয়ে সোজা গেলাম চাচীর ওখানে। পাচঁশ টাকার একটা নোট ধরিয়ে দিলাম। উনি নকল কিনা চেক করে একটা বোতল ধরিয়ে দিলেন। পুরো শেষ করতেই উনি পানি নিয়ে এলেন। এরপর বেড়িয়ে পড়লাম।

কিছু দূর এগোনোর পরই হঠাৎ কারেন্ট চলে গেলো। মেজাজ টা খারাপ হয়ে গেলো। সামনে কিছুটা এগোতেই দেখি তিনটা পুলিশ কি যেনো শলা পরামর্শ করছে। পুলিশ কে আমি ভুতের মত ভয় পাই। বাংলাদেশে পুলিশ জিনিসটা একটা মুর্তিমান আতঙ্ক। অপরাধীদের কখনোই ধরেনা। বেছে বেছে নিরিহ মানুষদের ধরে, যেখানে মোটা অংকের সিস্টেম হওয়ার চান্স থাকে। আমি যদিও একটু আধটু খাই, কিন্তু আমি মানুষটা নিরিহদের কাতারেই পড়ি।


চারপাশে তাকিয়ে দেখি রাস্তা ঘাট ফাকা। মানুষজন নেই। আমার ভয়টা আরো বেড়ে গেলো। আমি সাধুদের মত করে নিচের দিকে তাকিয়ে পুলিশদের পার হয়ে গেলাম। আমাকে ডাকলো না, কিছু বললো না দেখে ভালো লাগার বদলে আরো একটু ভড়কে গেলাম। ঘটনা টা কি?

গলিটা পেরিয়া সামনে যেতেই আরো বেশ কিছু পুলিশ দেখলাম। মানুষ জনের মধ্যে একটা অস্থিরতা। সত্যি ই, নাকি আমি কল্পনা করছি বুঝতে পারছি না। আমি নিশ্চিত হয়ে গেলাম, আমার পাচঁশ টাকা জলে গেলো, যখন দেখলাম, ঐ পাশ থেকে কয়েকটা পুলিশের একটা দল দৌড়ে আসছে।

সবে মাত্র শরীর টা ধরছিল, মাথায় পিনিক ভাবটা আসছিল। ৫০০টাকা বিফলে যাওয়ায় তখন আমার মুখটা যদি কেউ দেখতো, সে ভাবতো মাত্রই আমি বুঝি স্ত্রী বিয়োগের সংবাদ পেয়েছি। সরি ভুল বললাম, আজকাল স্ত্রী বিয়োগের ঘটনায় মাকি লোকজন খুশি হয়, নতুনের আগমন ভাবননায় পুলকিত হয়।

কয়েকটা গুলির শব্দ পেলাম। কে যেন বলে উঠল, রেড পড়ছে রে রেড পরছে। আমি ভাবলাম, এ কোন সময় আসলাম! নিজেকে বড় অসহায় লাগল। শরীরটাকে ঝাড়া দিয়ে তৈরি হলাম। ধরা খাওয়া চলবে না। চলবে না গুলি খাওয়াও।

মানুষের হৈ চৈ আর দৌড়াদৌড়ির শব্দ বেড়ে যাচ্ছিল। বাড়ছিল গোলাগুলির শব্দও। আমি বসে পড়লাম। মাথা নিচু করে দৌড় দিলাম, যেদিকে পুলিশ আসছিল তার উল্টো দিকে।

কিছুদূর এগুতেই আমি জমে গেলাম, আমার মাথা কাজ করা বন্ধ করল, অনুভূতি ভোতা হয়ে গেলো যখন দেখলাম, সেদিক থেকেই কয়েকটা পুলিশ গুলি করতে করতে আমার দিকে আসছে। আমার চেহারায় মৃত্যুভয় ফুটে উঠল।

উত্তেজনায় আমার ঘুম ভেঙে গেলো। প্রচন্ড শীতেও ঘামে ভিজে গেছে পুরো শরীর। ভ্যাবাচোখা খেয়ে গেলাম, কি হচ্ছে এসব। কিন্তু পরক্ষনেই সব বুঝতে পেরে, সৃষ্টিকর্তার প্রতি মনটা কৃতজ্ঞতায় ভরে গেলো। আর মনে হলো, বেচেঁ থাকাটা অনেক আনন্দের।

৬টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫….(৭)

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৭

ষষ্ঠ পর্বের লিঙ্কঃ মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫-….(৬)

০৬ জুন ২০২৫ তারিখে সূর্যোদয়ের পরে পরেই আমাদেরকে বাসে করে আরাফাতের ময়দানে নিয়ে আসা হলো। এই দিনটি বছরের পবিত্রতম দিন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাঙ্গাইল শাড়িঃ অবশেষে মিললো ইউনস্কর স্বীকৃতি

লিখেছেন কিরকুট, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৭



চারিদিকে যে পরিমান দুঃসংবাদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এর মধ্যে নতুন এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হলো বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের তাতের শাড়ি এর জন্য, ইউনেস্কো এই প্রাচীন হ্যান্ডলুম বুননের শিল্পকে Intangible Cultural... ...বাকিটুকু পড়ুন

আধা রাজাকারি পোষ্ট ......

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৬


আমি স্বাধীন বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছি। আমার কাছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বা পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে আজকের বাংলাদেশের তুলনা—এসব নিয়ে কোনো আবেগ বা নস্টালজিয়া নেই। আমি জন্মগতভাবেই স্বাধীন দেশের নাগরিক, কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা কেন ভারতীয় বাহিনীকে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন রাখেনি?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২০



কারণ, কোল্ডওয়ারের সেই যুগে (১৯৭১সাল ), আমেরিকা ও চীন পাকিস্তানের পক্ষে ছিলো; ইন্দিরা বাংলাদেশে সৈন্য রেখে বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর সাথে বিতন্ডায় জড়াতে চাহেনি।

ব্লগে নতুন পাগলের উদ্ভব ঘটেছে;... ...বাকিটুকু পড়ুন

×