নাজিফাহ তোমাকে বলিনি
মাটিতে মিশে যাওয়ার পরে
আমরা দুজনে কেউ কাউকে চিনবো না ?
কেউ জানবেনা তুমি চৈত্র মাসের কাটফাটা হাহাকার ?
তুমি প্রসাধনী কোম্পানির চাপা চিৎকার ?
ব্রিটিশ টোব্যাকো কোম্পানির দীর্ঘশ্বাস কতো রয়ে গেছে
তোমার উপর , তুমি জানোনা , কতো আমার মতো ছিঁচকে প্রেমিক
তোমার ঠোঁটের ভেতর পৃথিবী খুজতে চেয়েছে তামাকের গন্ধ ভুলে ।
সপ্নের ভেতর কতো এই আমি অমলেটের মতো
খেয়েছি চুমু তোমার গালে , কানের লতিতে –
দু’হাতে পুরেছি বিষাদগ্রস্ত স্তন ।
কতো কাশফুল , বুনোফুল ফুটে গেছে
তোমার হাসির ঝলকের পলকে পলকে
কতো রাত্রিজাগা তারা ঈষৎ আলো দিয়ে নিভে গেছে
তোমাকে নিয়ে লিখতে দেখে
মধ্যরাত ছুতে আরও অনেক মাইল
দুই ঠোঁট ছিঁড়ে নাও ।
নাজিফাহ সুপ্রভাত
নাগরিক মৌন মলিনতায়
নাজিফাহ সুপ্রভাত
অযাচিত স্বপ্নভাঙ্গার কারখানায়
নাজিফাহ , তুমি প্রেমিকা নয়
বরং হেরেমের প্রতিটি বন্দিনীদের চাপা চিৎকার হও ।
ভুতুড়ে বাড়ির বিদঘুঁটে হাসি হও
কখনো মশারীর ভেতর বাতাসের সাথে
সহবাস করো , করলেই প্রথম রাত্রিতে
প্রনাম জানাতেই দেখতে কফিগাছ , পিঠের থেকে
চুল না সরিয়ে , কি করে প্রসংসা করি তোমার ?
জঠর ধু ঢুঁ করে অবশ দুটি হাত
নাজিফাহ
মশারী খুলে ফেলো , সর্বাঙ্গের শাড়ীর মতো
অন্ধকার তবে এখানেই শেষ হোক !
একলক্ষ বছর থাকার পর ঠিক হবে
তুমি আমার হবে কিনা !
পৃথিবীর সবচে বড় দুঃখের ব্যাপার হলো লিখতে না পারা ,
আমি পারছিনা

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


