১/ জৈবিক ইচ্ছে
সুযোগ দিলে নাজিফাহ
আমিও গড়ে তুলবো
যৌথ মূলধনী সংসার ।
যদি দাও হাজার খানেক
বছরের জন্য লীজ তোমার
হৃৎপিণ্ডের সবুজ জমিন ।
সংসার জমিন উর্বরতায় ভরে যাবে
কথা দিলাম , ভালোবাসা নামক
জৈব সারের প্রচুর উৎপাদন আমার
অস্থিরতা , অসফলতায়
সুযোগ দাও , দেখো , কতোটা
বিনীত বিদ্রোহী আমি । আজন্ম নিকোটিন
পিপাসায় কাতর হয়ে আছি । এসব কথা ছাড়ো
যৌথ মূলধনী সংসারে রাজী হয়ে যাও
চুলের লাল ফিতা ছেড়ে দাও , কিছু অক্সিজেন
নিই । শ্বাস বন্ধ হয়ে আছে ।
লক্ষ কোটি প্রজাপতি দিয়ে
শাড়ির আঁচল বেঁধে দিবো । কথা দিলাম ।
টালবাহানা ছাড়ো , হাজার খানেক বছরেরে জন্য
লীজ চাই হৃৎপিণ্ড নামক সবুজ জমিন ।
ভয়ঙ্কর এসিড এটি , আমি তার মালিকানা চাই ।
সুদে আসলে আমি মহাবিশ্বের বাইরে
আবাসন প্রকল্প চালু করবো ।
২/ আঁচল
নাজিফাহ শহরের সব সড়ক জানে
তোমার চুলের সুবাস , পায়ের কোমলতা
আমিও জানি তোমার মৃদু হাসির রহস্য
স্বেচ্ছা নির্বাসনের মৌলিক গভীরতা
( ভোরবেলার মুখচ্ছবি কোথাও লুকিয়ে রাখো সারাদিন ? )
ভরদুপুরে বাড়ির ছাদে তোমার
শুকোতে দেয়া আঁচল উড়ে
সেই প্রহরে আমিও একাই
নিমজ্জিত একলা আস্তাকুড়ে ।
শঙ্খচিল উড়ে ধ্রুপদী আকাশে সেসময়
বিকেলবেলায় তোমার মৌন চাহনিতে
আমিও জানি তোমার উঠোনের আমগাছের মতো
কিসের অসাড়তা তোমার বারান্দায় ফুলদানিতে
তুমি রবীন্দ্রউত্তর কালে বড় ট্রাজেডি নাজিফাহ
সুধীন্দ্রনাথের ক্লাসিক “উঠপাখি” ...
নিরাশাকজ্জোল আপন মহিমায় সংবেদনশীল ...
অভাগা কবির দৃষ্টিসীমানায় ফারাক্কা বাঁধ তুমি ।
ওয়্যার অ্যান্ড পিস উপন্নাসের জটিল বারুদের গন্ধে তুমি ।
ভাবনার চাতুর্যতা বেড়ে গেলে
রূপসী বাংলার কবি হয়ে বলি
“তুমি’ত জানো না হায় !
না জানিলে আমার সকল গান তোমারে
লক্ষ করে ”
একসময় মাথায় শুধু কবিতার লাইন ঘুরত । লিখতাম খুব তাড়াতাড়ি । সময়ের স্রোতে আমার লেখার ধার কমে গেছে । আমি আফসোস করি । আফসোস জিনিসটা আমার নেই । কিন্তু এখন হয় , সুফি ভাই যখন নাজিফাহকে নিয়ে ক্লাসিক কবিতা খুঁজে আমি আফসোস করি !
প্রথম কবিতাটি ইন্টারের টেস্টপরীক্ষার হলে বসে লেখা , হিসাব বিজ্ঞান পরীক্ষা ছিল সেদিন । প্রশ্নের উপর লিখেছিলাম ।
দ্বিতীয় কবিতায় উত্তর আধুনিক কবি হওয়ার অসফল চেষ্টা করা হয়েছে ।
এই দুটি কবিতা " অদ্ভুত উদাসীন " / সুফি ভাই "নামক জৈনিক গল্পকারকে উৎসর্গ করা হল । তিনি ভালো গল্প লিখেন । তাঁর জন্য শুভকামনা রইল ।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


