♦أَعُوْذُ بِاللهِ مِنَ الشِّيْطَانِ الرَّجِيْمِ (বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহ্'র নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি)
♦بِسْمِ ٱللَّٰهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ (পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহ্'র নামে)
♦ٱلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ (আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক)

(ছবি নেট হতে)
বনের রাজা সিংহ তার আন্ডাবাচ্চা নিয়া রোদ পোহাচ্ছিলো!
এমন সময় বাঁদর এসে তার লেজ ধরে দু’টা ঝাকি দিলো!
সিংহ যতোটা না অবাক হলো, তার চেয়ে বিরক্ত হলো বেশী!
বাঁদর একটু দূরে দাঁড়িয়ে সিংহকে কয়েকটা ভেংচি কেটে হাসতে হাসতে চলে গেলো!
সিংহের বাচ্চা এটা দেখে ভীষণ কষ্ট পেলো আর রাগান্বিত হয়ে সিংহকে উদ্দেশ্য করে বললো, “এত্তোবড় বেয়াদবী! আর আপনি তাকে কিছুই বললেন না বাপজান !”
সিংহ বললো, “বলার সময় এখনো ফুরিয়ে যায়নি! আমার চিন্তাধারা তোমাদের মতো এতো সাধারণ না। তোমরা এখনো আমার মতো করে ভাবতে শেখোনি। আমি একটা সিস্টেমে চলি। একটু সময় অপেক্ষা করো, সবকিছু দেখতে পাবে!”
কয়েকদিন পর হঠাৎ করেই বাঁদর সিংহের সামনে পড়লো এবং এক থাপ্পরে তাকে শেষ করে দিলো সিংহ।
সিংহের বাচ্চা অবাক হয়ে সিংহকে জিজ্ঞেস করলো, “বাপজান! সেদিন এতো অন্যায় করলো! কিন্তুু আপনি কিছুই বললেন না তাকে ! অথচ আজকে সে কিছুই করেনি! কিন্তু তাকে মে-রে ফেললেন?"
সিংহ জবাবে বললো, “এটাই কৌশল বাবা ! সেদিনের পর বাঁদরটা ভালুক কে লা-থি মেরেছে! হাতির শুড় ধরে দুলছে! গন্ডারের পিঠে চড়ে নাচছে! হায়নাকে সে কাতুকুতু দিয়েছে! জিরাফকে থাপ্-পড় দিয়েছে! আর সবাইকেই বলছে, রাজাকেই আমি মানি না! সেখানে তুমি কে? সেদিন ওরে মা-রলে সবাই আমাকে বলতো, ক্ষমতা দেখাইতেছি, স্বৈরাচারী এবং খু-নী আমি! আজকে একটু পর দেখবি- সবাই এসে বলবে, থ্যাংক ইউ রাজা সাহেব!”
“শোন মাঝে মাঝে লাই দিয়া মাথায় তুলতে হয়! যাতে শক্ত করে আছা-ড় দিলে বেশী ব্যথা পায় এবং আপদ শেষ হয়ে যায় একেবারে।”
এর কিছুদিন পরের ঘটনা। আরেকটা বানর এসে সিংহের গায়ে হিসি করে দিলো। এবারও বাচ্চারা সাথে ছিলো। কিন্তু তারা অধৈর্য্য হলোনা। তারা জানে তাদের বাবা একটা সিস্টেমে চলে। তারপর প্রায় প্রতিদিনই বানরটা এমন করতো আর সিংহের বাচ্চারা ধৈর্য্য ধরে অপেক্ষা করতো যে তাদের বাবা সময় হলেই প্রতিশোধ নেবে। কিন্তু এমন করে দিন যাচ্ছে, আর সিংহের বাচ্চাদেরও ধৈর্যের বাঁধ ভাঙ্গছে। তারপর একদিন সেই মহেন্দ্রক্ষণ এলো। সিংহ যেই বানরের উপর থাবা চালালো, বানর লাফ দিয়ে ২০ ফিট দূর সরে গেলো। আর সিংহের থাবা পাথরে পরে সিংহের পা'টাই ভেঙ্গে গেলো। এ দেখে বাচ্চারা অবাক! "বাবা! এটা কি হলো?" সিংহ বয়সের ভারে আগের মতো থাবা না বসাতে পারার লজ্জা লুকিয়ে বললো, “এটা নতুন সিস্টেম। তোরা এখন সারা বনে ছড়িয়ে দে যে, এই বনে কোনো স্বাধীনতা নেই। সিংহ স্বাধীনভাবে থাবা মারতে চাইলেও বানর পিঠ পেতে দেয় না। এই পরাধীন বনে আর থাকা যাবে না!”
বাচ্চারা জানতে চাইলো, “এটা করে কি লাভ হবে?”
সিংহ বললো, “বনের বাহিরে অনেক রেসকিউ টিম আছে। তারা এটা জেনে আমায় উদ্ধার করে নিয়ে যাবে। তারপর বাকিটা জীবন আরাম-আয়েশে খেয়ে কাটিয়ে দিতে পারবো।”
এর কিছুদিন পর আরেক বানর এসে সিংহের গায়ে পটি করে দিলো। তখন বাচ্চারা চরম রাগান্বিত হলো। এই দেখে সিংহ তাদের আশ্বস্থ করে বললো এবার সিস্টেমে ফেলে বানরের প্রান নিবেই। তারপর হতে প্রতিদিনই একটা বানর সিংহের গায়ে পটি করে, আরেকটা হিসি করে। আর সিস্টেমের আশায় সিংহের বাচ্চা দিন পার করে। এমন করে একদিন সিংহটাই মরে গেলো। আর বাচ্চাগুলি রেসকিউ টিমের আশায় সিংহের স্মৃতি ফলকে লিখে দিলো, “একজন স্বাধীনতাকামীর মৃত্যু হলো। এই বনে আমরা বড্ড অসহায়!”
অফস্ক্রিনে দেখা গেলো,
“বানর আর সিংহের বাচ্চারা একত্রে গ্লাস ঠুকে “চিয়ার্স” ধ্বনি দিচ্ছে। আর নেক্সট সিনে বানর কোনরূপ নিয়ে সিংহের সামনে দাঁড়াবে তা ডিসাইড করছে”

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



