পরিচালকঃ Norman Jewison
সালঃ ১৯৭৯
কাহিনীসংক্ষেপঃ আর্থার কার্কল্যান্ড একজন ডিফেন্স ল’ইয়ার।আর দশজন আইনজীবীর চেয়ে নীতি-নৈতিকার ক্ষেত্রে একটু বেশি সচেতন।কিন্তু ঘটনাচক্রে এমন অবস্থা্র সৃষ্টি হয় যে-তাকে একজন ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত বিচারকের পক্ষে কোর্টে লড়তে হবে।নইলে আইনপেশা ছাড়তে হবে।নৈতিকতার সাথে রূঢ় বাস্তবতার এ দ্বন্দই এ চলচ্চিত্রের মূল উপজীব্য।
যা কিছু ভালো লেগেছেঃ প্রথমত,ছবির গল্প।অসাধারণ কোর্টরুম ড্রামা।আমেরিকার বিচারব্যবস্থার অন্ধকার দিক খুব সুন্দরভাবে তুলে ধরেছে যা আমাদের দেশের জন্যও অনেকাংশে প্রাসঙ্গিক।
দ্বিতীয়ত,অভিনয়।এক্ষেত্রে প্রথমেই বলতে হবে আল পাচিনোর কথা।Godfather/Scareface এর সেই প্রবল ক্ষমতাধর,রাগী,প্রতিশোধে মত্ত আল পাচিনোকে এখানে কিন্তু খুঁজে পাবেন না।বরং আর্থার ক্লার্কের মত একজন নীতিবান,সংবেদনশীল,অসহায় আইনজীবীর ভূমিকায় দেখা যাবে তাঁকে।আর বরাবরের মত এখানেও তিনি সফল।জাত অভিনেতা বুঝি একেই বলে।এর সাথে আরেকজনের কথা না বললে অন্যায় হবে।আর তিনি হলেন Jeffrey Tambor।খুব বেশি সময় তাঁকে পর্দায় দেখা যায়নি।কিন্তু যতক্ষণ ছিলেন, তাতেই মুগ্ধ করেছেন।
যা ভালো নাও লাগতে পারেঃছবিটির ঘটনাপ্রবাহ কারো কারো কাছে অতিনাটকীয় মনে হতে পারে। আরেকটা কথা।মুভিটা ১৯৭৯ সালের।কাজেই ২০১১ সালের আমেরিকার বিচারব্যস্থার সাথে কতটুকু সামঞ্জস্যপূর্ণ-এ প্রশ্ন জাগাও অস্বাভাবিক না।
বি.দ্র. ১।এটা আমার খুব বেশি ভালো লাগা মুভিগুলোর একটি।তাই হয়তো লেখার সময় পুরোপুরি নিরপেক্ষ থাকতে পারিনি।
২।ব্লগে এটা আমার প্রথম লেখা।জানিনা আদৌ কেউ পড়বে কিনা।কেউ যদি ভুলকরে পড়ে ফেলেন আর কেমন লাগলো তা যদি দয়া করে জানান,তবে এ অধম তাঁর কাছে চিরকৃ্তজ্ঞ থাকবে।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে মে, ২০১১ রাত ১১:১৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




