somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিবেক কি বেঁচে মগজের চর্চায়, ভেবেছি কি তাদের দশা?

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বিবেকেরে জিগায়, জেগে কি তুমি? মগজ বলে সেথা আমিতো ভাবিনি!
বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অনুজ শিক্ষার্থী তার ফেসবুকে নিজের মাস্টার্স গবেষণা প্লটের ছবি দিয়ে লিখেছে' কাজটি শেষ করতে পারলাম না'।
কয়েকজনকে দেখলাম ক্যাম্পাসের হল ছেড়ে দিতে হবে বলে বাইরে বাসা খুঁজে বেড়াচ্ছে। অনেকে বাসায় উঠবে কি না, গ্রামে ফিরে যাবে কি না, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে।
হঠাত এই সিদ্ধান্তের পরিণতি কি হবে জানি না বা সিদ্ধান্ত নিয়ে আমার কোনো মতামত নেই।
আমি ভাবছি বিশ্ববিদ্যালয়ের এসব তরুণ মেধাবীদের নিয়ে,বিশেষ করে যারা স্নাতক শেষ করে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে আছে বা শেষ করেছে। এদের কেউ স্নাতকোত্তর গবেষণা করছে, সাথে চাকুরীর পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
স্নাতক শেষ করে যখন একজন শিক্ষার্থী গ্রামে যায়, তাকে সামাজিকভাবে বিভিন্ন প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। কি করছ? চাকুরী পাইলা কি না? আর কতদিন বেকার থাকবা? বাবা মায়ের ঘারে আর কতদিন? এমনকি নিজ পরিবার থেকেও অপ্রত্যাশিত মন্তব্য আসে যা শুধু আহত করে না, রীতিমতো মানসিক রোগী বানিয়ে দেয়। যদিও তাদের বুঝানো মুশকিল যে আমি কত চেষ্টা করছি, কত রাত জেগে চাকুরীর পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। স্নাতক চলমান, আর শেষ এই দুসময়ের চিত্র পুরো আলাদা।
আমরা কি তাদের এই অবস্থা ভাবছি? আমরা কি চিন্তা করেছি, কি হবে এই শিক্ষার্থীদের?
জানি, শিক্ষার্থীদের কোনো উপায় থাকবে না, নিজের প্রয়োজনের তাগিদে উপায় বের করবে। হয়তো রাজধানী শহরের কোনো আত্মীয়ের বাড়িতে বা বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতে হবে৷ কারণ, তাকে গবেষণা শেষ করতে হবে, চাকুরীর প্রস্তুতি নিতে হবে, গ্রামে ফিরে গিয়ে চারদিকের গা জ্বালা করা মন্তব্য কখনো নিজেকে প্রস্তুত করার উপযোগী পরিবেশ দেবে না। আবার চাকুরী না পেলে সেই আপনারাই অযোগ্য, কিচ্ছু হবে না,সব শেষ বলে মন্তব্য করবেন। তাই সৃজনশীল কাজ, উদ্ভাবনী ভাবনা আপাতত দূরে রেখে চাকুরীর জন্য চেষ্টা করতে হচ্ছে।
আর, আমার মতো যাদের টিউশনি করে চলতে হয়, তাদের তো কোনো উপায় নেই। বাসা থেকে যাদের অভিভাবকদের টাকা পাঠানোর সামর্থ্য নেই, তাদেরতো টিউশনি না করা বা ঢাকা না থাকার উপায় নেই৷
ক্যাম্পাসের হাজার হাজার শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্নাতক শেষ করে স্নাতকোত্তর পর্যায়ের বা চাকুরী প্রত্যাশি শিক্ষার্থীদের সংখ্যা কি হাজার হাজার? ক্যাম্পাসের অন্য সকলে নিজ নিজ আবাসস্থলে থাকতে পারলেও শুধুমাত্র এই কজন শিক্ষার্থী নিয়েই কি সমস্যা?
টিউশনিতে যাওয়ার পথে রাস্তায়, দোকানে মানুষের আনাগোনা, শপিং মলের চিত্র, সিনেমা হলের হালচাল, ঢাকা শহরের নিত্যপণ্যের বাজার দেখে আমার মনে হাজারো প্রশ্ন জাগে, আমাকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে হল ছেড়ে দেওয়ার আদেশের যৌক্তিকতা খুঁজি!
আচ্ছা, যাদের আমার মতো ঢাকা শহরে কোনো আত্মীয় নেই, বাসা ভাড়ার করার মতো সামর্থ্য নেই, এই হলে থেকে টিউশনির টাকা দিয়ে কোনোমতে চলে কিছু বইপত্র কিনে চাকুরীর প্রস্তুতি নিচ্ছি, একটি চাকুরী পেয়ে বাবা মায়ের মুখে হাসি ফোটানোর চেষ্টা করছি, তাদের কথা কি একবার ভেবেছেন?
জানি, পক্ষে বিপক্ষে অনেক যুক্তি আছে। তবে কিছু যুক্তির পিছনে নিজের বিবেক, জ্ঞান, দূরদর্শিতা, পরিণতি বিবেচ্য হওয়া উচিত। সিদ্ধান্ত হওয়া উচিত সার্বিক কল্যাণে,কারণ আমাদের লক্ষ্য সার্বিক উন্নয়নের।

সূত্রঃ মানসিক বিকারগ্রস্ত ভোলাদার ডায়েরি
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×