লিখে কি কিছু হবে?
হয়েছে কি কোন সমাধান?
প্রতিবাদ করেই বা কি হবে?
লোপ পেয়েছে কি
দুর্জনের মনের মধ্যে লুকিয়ে থাকা পশুত্ব?
এতো লেখা লেখিতে
এতো প্রতিবাদেও,
জাগেনি বিবেক ওই সব নরপশুদের।
এতো আলোচনা সমালোচনায়
নড়েনি টনক ওই প্রশাসনের বা রাজনৈতিক নেতা নেত্রীর।
বরং তারা নানা যুক্তি তর্ক ও কাঁদা ছোড়াছুড়িতে লিপ্ত বরাবরের মতো।
হায় বাঙালি জাতি!
আমি আর সইতে পারছি না এ যাতনা।
আমি আবারো বলছি
আর সহ্য করা যাচ্ছে না।
সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে সব অন্যায়ের।
নিত্য চারিপাশে ধর্ষিতার, নির্যাতিতার
চিৎকার কান্না, হাহাকার।
লজ্জায় আমার মাথা মাটির সাথে মিশে যাচ্ছে।
আজ আমার আর অহংকার করার মতো কিছুই আর নেই।
সব হারিয়ে
আমি আজ হতাশার সাগরে নিমজ্জিত।
আমি পতিত।
আমি হতভম্ব,আমি বাকরুদ্ধ।
আমি দুঃখিত, আমি ব্যথিত।
আমি অতিশয় আতঙ্কিত।
এরপরে কে?
এরপরে কে হবে বিকৃত মনষ্ক পশুদের লালসার স্বীকার।
আমার মা, আমার বোন নাকি আমার অশীতিপর বৃদ্ধা দাদী।
সভ্যতার সুযোগ সুবিধাগুলি
আজ অসভ্য জানোয়ারদের দখলে।
কেউ আজ কোথায়ও নিরাপদ নয়।
দেশ আজ বিবস্ত্র!জাতী আজ উলঙ্গ!
বর্বর, অসভ্য, অর্বাচীন,অমানবিক অমানুষের করালগ্রাসে সমাজ।
একজন নারী,আমার মা-
একজন কিশোরী,আমার বোন-
একজন কন্যা,আমার মেয়ে।
কোথায় পাবে নিরাপত্তা?
কে দেবে ভরসা।
এই সমস্ত নরপশুদের কি রকম রুচিবোধ?
কেমন তাদের পারিবারিক বা সামাজিক শিক্ষা?
ধিক্কার জানাই।
আমি তীব্র নিন্দা জানাই।
আমি অবাক হয়ে ভাবি,
এরা কি জন্মায়নি কোন মায়ের জঠরে।
এরা কি স্নেহ ভালোবাসা পায়নি কোন বোনের।
এদের কি পারিবারিক জীবন বলে কিছু নেই?
নেই কোন সামাজিক দায়বদ্ধতা?
এই সকল নরপশুদের প্রতি রইলো সীমাহীন ঘৃণা।
এদের নাকে-মুখে থুঃ থুঃ থুঃ।
এদের পশ্চাতে মারি লাথি।
©রফিকুল ইসলাম ইসিয়াক
ফুট নোটঃ
তিক্ত-তিত রস যুক্ত বা স্বাদযুক্ত। অপ্রীতিকর।
অনুভূতি - উপলব্ধি।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:২৯