somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জীবন ডায়েরির পাতা থেকেঃ এক

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:০৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


পাখি শিকারী মোহাইমিনুল
_________________________
মোহাইমিনুল একজন পাখি শিকারী এবং পাখি খাদক। ছোটবেলা থেকে সে ধানের ক্ষেতে ও বিলে ফাঁদ পেতে পাখি শিকার করে। পাখি শিকার তার নেশা। সেই পাখি বাসায় এনে রান্না করে,তারপর মজা করে খায় এবং ইয়ার বন্ধুদের দাওয়াত দিয়েও খাওয়ায়। সবাই তাকে বাহবা দেয়। মানুষের নকল ভালোবাসায় সে আরও দ্বিগুণ উৎসাহে পাখি শিকার করে। পাখিদের দুঃখ কষ্ট অসহায়ত্ব তার লোভী চোখে ধরা পড়ে না।
এলাকায় তার নাম দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।অনেক লোকজন তার পাখি শিকার নিয়ে গালগল্প করতে থাকে,তাকে নানাভাবে উৎসাহিত করে তবে কেউ কেউ তার পাখি শিকারকে অপছন্দও করে। তারা প্রতিবাদ করে । মোহাইমিনুল এসব ব্যপার একটুও পাত্তা দেয় না। সে অহংকারী ব্যক্তি অন্যের সৎ উপদেশ তার সহ্য হয় না। এদিকে যারা মোহাইমিনুলের পাখি শিকারের বিপক্ষে তারা মোহাইমিনুলের বন্ধুদের দ্বারা নানাভাবে হয়রানির শিকার হয়।
একসময় ইয়ার বন্ধুদের পরামর্শে মোহাইমিনুল অতি উৎসাহী হয়ে শহর থেকে ইয়ারগান কিনে আনে এবং একের পর এক পাখি শিকার করতে লাগে আর গান বাজনা সহ ভোজ সভা বসায়। শীত মৌসুমটা তাদের দারুণ আনন্দে কাটে। এলাকায় পানিশূন্য অবস্থা তৈরি হয়।
এদিকে একদিন হঠাৎ গুটিকয়েক পাখি সংঘবদ্ধ হয়ে তাকে উড়ে এসে মাথা বরাবর আক্রমণ চালায়। এলাকার লোকজন হঠাৎ খেয়াল করে দেখে এই ঘটনার পর থেকে মোহাইমিনুল বাইরে বের হলেই কোন না কোন পাখি তাকে আক্রমণ করে।
একসময় সে পাখিদের ভয়ে আর ঘর থেকে বের হয় না। তাকে বেশ দুশ্চিন্তাগ্রস্থ লাগে। এদিকে মোহাইমিনুল বিয়ে করেছে প্রায় সাত বছর হয়েছে তাদের সন্তান নেই।সন্তান হয় নি আর কি। ডাক্তার কবিরাজ সহ নানা তৎবির সত্ত্বেও সন্তানের মুখ সে দেখতে পায় না। তার বউ কান্দে আর বিলাপ করে বলে,
- পাখিখোরের পাখির অভিশাপ লাগছে।
যদিও কথাটা ঠিক না,এটা কুসংস্কার। তবু কেউ কেউ বলে কারও ঘর ভাঙলে তারও ঘর একদিন উজাড় হয় প্রকৃতির নিয়মে।
মোহাইমিনুলের জীবনে এখন চির অশান্তি বিরাজ করছে। বন্ধু বান্ধব ও তার পাশে নেই। নিঃসঙ্গতা তার সঙ্গী এখন।

© রফিকুল ইসলাম ইসিয়াক
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৮:৫৬
৬টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×