একসময় নিজের মনের মতো করে
তোমায় ভালোবাসবো
ভীষণ ইচ্ছে করতো মৌমিতা।
তুমি জেনে বুঝে সযতনে এড়িয়ে যেতে আমায়
মধুময় সেই সব দিনগুলিতে।
আমি জোর করলে অনেক কিছু হয়তে হতো
পরিবেশ আমার অনুকুলেই ছিলো সে সময়।
কিন্তু আমি চাইনি তোমার অমর্যাদা
আমি চাইনি তোমায় পীড়িত বা আহত করতে।
আমি জানি জোর করে আর যাই হোক ভালোবাসা হয় না।
শুধু শুধু মন ভেঙে যায়
দুঃখ বেড়ে যায়
মন না দিলে সাড়া
সম্পর্কে জড়ানো ঠিক নয়।
আর তাই
আমার ব্যক্তিগত ইচ্ছে অনিচ্ছের বেড়াজালে তোমায় জড়াতে চাইনি প্রিয়তমা।
সে কারণে আসি নি দ্বিতীয়বার
আমার দাবি নিয়ে তোমার দ্বারে।
তুমি নিজের মতো ভালো থাকবে বলে
সমৃদ্ধ এক কক্ষপথে নিজেকে স্থাপিত করলে।
তার একনিষ্ঠ অনুগত হলে!
অনেক কাহিনী বুঝি শেষ হয়েও হয় না শেষ।
তোমার আমার কাহিনীও হলো তেমনি বুঝি...।
বেলা শেষে দেখা হলো তোমায় আমায়।
তুমি আশ্রয়হীনা এখন!
নিজের প্রতি যত্নবান হবে এটুকু আশা করছিলাম!!
কে জানে কি কারণে তোমার এই কক্ষচ্যুতি!!
হঠাৎ ধুমকেতুর মতো ছিটকে এলে আমার গড়ে তোলা সাজানো কক্ষপথে।
আশ্রয়ের আশায় কি?
সম্ভবত সাহায্য প্রার্থী হয়ে।
সব দ্বিধা লাজ ভুলে নিজেকে কাটা কলাগাছের মতো সপাটে ভূপতিত করলে আমার পদতলে।
এতো সহজে কেউ নিজেকে ভেঙেচুরে ফেলতে পারে!
এতো সহজে কি করে সমস্ত দর্প চূর্ণ হয়ে যায়।
যাহোক সময়ের ব্যবধানে
আমার জগত এখন কঠিন বাস্তবতার মাঝে আবর্তিত ।
ঘোর সংসারী আমি।
স্ত্রী সন্তান নিয়ে জমজমাট সংসার আমার।
তবুও মনের মাঝে হারানো সম্পর্ককে ফিরে পাওয়ার আকাঙ্খায়
ছেলেমানুষী ইচ্ছা জাগ্রত হয়
লোভ আসে
কামনা জাগে।
নিষ্ঠুর পৃথিবীর নিষ্ঠুরতাকে চিনি জানি বলেই হয়তো নিজেকে উত্তীর্ণ করি এই কঠিন পরীক্ষায়।
তারপর সুকঠিন দৃঢ়তায় আমি ফিরে আসি বাস্তবতায়।
আমি ছেড়ে দেই
এত সুলভে পাওয়া তোমার হাত
যে হাত একদা ফিরিয়ে দিয়েছিলো আমায়।
অতঃপর অসহায় ধুমকেতুর মতো ছুটে চলে গেলে অন্য কোন কক্ষপথের দিকে।
কি বা করার ছিলো আমার, আমি যে অন্যত্র দায়বদ্ধ
প্রিয়তমা
এখন শুধু শুভকামনা টুকু করতে পারি তোমার জন্য।
© রফিকুল ইসলাম ইসিয়াক
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৮:৫২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




