somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গল্পঃ মায়ের স্পর্শ

২২ শে জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


(আমি কোন লেখা লিখতে গিয়ে কখনও আবেগের বশে চোখের পানি ফেলি নি কিন্তু এই লেখাটা যেমনই হোক না কেন,কেন জানি আমার চোখে জল চলে এসেছিল।বুকটা মুচড়ে উঠেছিল। কেন এমন হয়েছিল আমি জানি না।)
(১)
১২ই অক্টোবর ২০** সাল।আজ আমার জন্য অন্য রকম একটা দিন। আজকের দিনটা শুরুই হয়েছে বুকে চাপা কষ্ট ,চরম অনিশ্চয়তা আর শরীরের মধ্যে এক ধরনের ভয় মেশানো শিরশিরানি অনুভূতি নিয়ে।
এখন কত রাত কে জানে? সময় হিসাবে ভোর হয়ে আসবার কথা।কাকেরা এখনও জাগেনি।চারদিক শুনশান ।চাঁদ স্বমহিমায় আলো ছড়াচ্ছে।মাঝে মাঝে কোথাও একটা রাতজাগা পাখি করুন সুরে ডেকে চলেছে।হালকা প্রাণ জুড়ানো শীতল বাতাস প্রকৃতিতে। সেই স্নিগ্ধ বাতাস পুরানো আমলের বড় জানালা দিয়ে আমাদের এই চিলেকোঠার ঘরটায় হুড়মুড়িয়ে ঢুকছে।এরম সময় যে কারো সুখানুভব হতে বাধ্য কিন্তু আজকের বয়ে আসা বাতাস আর মনোময় প্রকৃতির মনোরম আবেশ কোন প্রকার সুখানুভূতি জাগাতে ব্যর্থ হলো এই ঘরে থাকা তিনটি প্রাণের মাঝে।
আনন্দ আশ্রম নামের তিনতলা বাড়িটার চিলেকোঠার ঘরের মানুষ তিনটির মন জুড়ে অজানা অস্থিরতা।সংগতকারণে বাইরের কোন আবেগ আমাদের তিনটি প্রাণকে স্পর্শ করছে না।
টানা শুয়ে থেকে অস্থির লাগছে সেকারণে মনের অজান্তে উঠে বসলাম।প্রায় সারা রাতই জেগে আছি।আমি জানি আমার পাশের মানুষগুলোরও একই অবস্থা।
আসলে আজ আমাদের জীবনের ভয়াবহ একটা দিন।এরপর আমাদের ভবিষ্যৎ কি আমরা কেউ জানি না।
আমি উঠে বসতেই মাও প্রায় সঙ্গে সঙ্গে উঠে বসলেন।তার পরপরই সীমা ও একই কাজ করলো।সীমা আমার একমাত্র ছোট বেন।আমরা একে অন্যের দিকে নিঃশব্দে তাকালাম।একে অন্যের চোখের ভাষা পড়তে চাইলাম। রাত নিশিথে সেখানে আবছা অন্ধকার ছাড়া আর কিছু নেই। আমার মা পরম স্নেহে আমাদের গায়ে মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে লাগলেন।তিনি কি যেন বলতে চাইলেন তবে তার মুখ দিয়ে অদ্ভুত যান্ত্রিক আওয়াজ ছাড়া আর কিছু বের হলো না।অন্ধকার হলেও তার দু'চোখে জলের ঝিলিক আমাদের চোখের আড়াল হলো না।আমরা কোন কথা বলছিলাম না। আমাদের সব কথা বুঝি শেষ হয়ে গেছে। আমরা তিনজন ঘন হয়ে বসে একে অন্যের উত্তাপ শুষে নিতে লাগলাম।তৃষিত ভালেবাসার উত্তাপ।শেষ সময় সমাগত।
আজই আমাদের শেষ দিন আর একটু পরে... না ফাঁসি হবে না তবে জীবন্মৃত করে রাখা হবে আমাদের ।সমাজের বিশিষ্ট লোকজন দ্বারা আমাদের শাস্তি ঘোষিত হয়ে গেছে। যদিও জানি না আমাদের অপরাধ কি ছিল।
আর কিছু সময় পরে আমার আব্বার প্রতিনিধি আসবেন।তখন আমরা চিরতরে বিচ্ছিন্ন হবো।তিনি এসে আমাদের দুই ভাই বোনকে নিয়ে যাবে।মা থাকবে তাঁর বাবার বাড়িতে।
আর আমরা থাকবো আমাদের বাবার বাড়িতে।
সম্ভবত আর কোনদিন আমরা আমাদের মায়ের সাথে থাকতে পারবো না। তাঁর আদর পাবো না।তাঁর সাথে খেলতে পারবো না। পারবো না মন খুলে গল্প করতে।তাঁর হাতে খেতে পারবো না।মুছতে পারবো না তাঁর আঁচলে হাত।তাঁর শাসনও জুটবে না আর আমাদের কপালে। আরও কত শত না আমাদের দিকে ধেয়ে আসবে এরপর কে জানে? বাকি আছে আর কিছু সময়।যত সময় যাচ্ছে আমরা তত বেশি গায়ে গা লাগিয়ে এজে অন্যের সংঙ্গে মিশে যাবার চেষ্টা করছি। না আমরা আলাদা থাকতে চাই না। আমরা আলাদা হতে চাই না।পেট ভরে খাবার না পাই। ভালো পোশাক না পাই তবু আমরা একসাথে থাকতে চাই। শোনবার দেখবার কেউ কি আছে? আছে কি? এ সমাজটা এমন কেন? সমাজের বেঁধে দেওয়া নিয়মে আমরা আমাদের মায়ের থেকে যোজন যোজন দুরে সরে যেতে বাধ্য । মন বিদ্রোহ করতে চায় কিন্তু সাহস কই?
আমরা তিনটি অসহায় প্রাণী ভাঙাচোরা মন নিয়ে ভোর হওয়া দেখছি।আচ্ছা এই সময়কে কি কোন ক্রমে বেধে রাখার উপায় আছে?
না নেই। নেই। কেন নেই জানি না।কিন্তু আমার যদি ক্ষমতা থাকতো আমি আমার আব্বার পাঠানো লোককে ফিরিয়ে দিতাম।আমার নানাবাড়ির লোকজনের মন ঘুরিয়ে দিতাম।


আপনারা দয়া করে আমাদের আলাদা করবেন না। আব্বা দয়া করুন, নিজের স্বার্থে ছোট ছোট বাচ্চাদের তাদের মায়ের কাছ ছাড়া আলাদা করতে নেই।
এক্ষেত্রে যেমন আমার কোন ক্ষমতা নেই আমার মায়ের ও কোন ক্ষমতা নেই। আমরা অক্ষম অসহায়।আমাদের আর্তি শেনবার সময় কারো নেই।তাই আমাদের আলাদা হয়ে যাওয়াই নিয়তি।

(২)
আমার মায়ের যখন বিয়ে হয় তখন তার চৌদ্দ বছর বয়স।স্কুল থেকে সবে ফিরে শুনতে পায় আজ রাতেই তার বিয়ের অনুষ্ঠান।এ যেন মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার মত অবস্থা ।
ছেলে ভালো বংশ আবার চাকরিও করে। মোবারকগঞ্জ চিনি কলে বেশ ভালো পোস্টে আছে ।তারা মেয়ের খুত সম্পর্কেও ওয়াকিবহাল। তবে এজন্য নানাজানকে মোটা অঙ্কের যৌতুক দিতে হবে।দাবি এটুকুই। সেও দিতে বাধা নেই। নানাজানের অঢেল সম্পত্তি। সেখান থেকে কিছু বেচে মেয়েকে ভালো পাত্রে পাত্রস্থ করলে লাভ বই ক্ষতি নেই।কে নেবে এই তোতলা মেয়েকে। বড় মামা না-কি আপত্তি করেছিল।তার উত্তরে নানাজান বলেছিলেন লিলির ভাগের অংশ থেকেই তার দেনা পাওনা মেটানো হবে।এ নিয়ে কাউকে না ভাবলেও চলবে।
আমার মা একটু তোতলা ছিলেন।এটাই তার শারীরিক খুঁত। এছাড়া দেখতে দারুণ ফুটফুটে হাসিখুশি পড়ালেখায় ও ভীষণ ভালো ছিল।জানবার আর পড়বার ইচ্ছে ছিল অদম্য । মা অবশ্য বিয়ে করতে চায় নি কিন্তু বিয়ে ঠেকানো তাঁর সাধ্য ছিল না।সবাই একদিকে সে অন্য দিকে আর তাই এই অসহায় আত্মসমর্পণ।
বিয়ের পর কয়েক বছর ভালো গেলেও আমি আর আমার বোন হবার পর থেকে আমার আব্বা ও দাদীর চাহিদা বেড়ে যায়। তারা আমার মাকে নানাভাবে অপদস্ত করে আরও টাকা পয়সার জন্য চাপ দেয়। কথায় কথায় তাঁর শারীরিক ক্রুটির জন্য নানা উপহাস করতে ছাড়তো না।প্রতিটা কাজে মায়ের খুৃত ধরা তাদের নিত্য নৈমিত্তিক ব্যপার হয়ে দাঁড়ালো। মা জানতেন তাঁর দূর্বলতা কি সে চুপ চাপ হজম করতো সব।তবুও সেসব যখন মাত্রা ছাড়ালো একদিন মা আমাদের নিয়ে এসে উঠলেন তার বাবার বাড়িতে। নানাজান স্বাগত জানালেও নানীজান ও তার পুত্র পুত্রবধূ ও কন্যারা তেমন একটা খুশি হলো না। নানা অবহেলায় আমাদের দিন কাটতে লাগলো কোনরকমে।
এর মধ্যে আমার নানাজান মারা গেলে পরিস্থিতি জটিল হয়ে গেল।মামারা হঠাৎ দৌড়ঝাপ শুরু করলো।তারা সরাসরি জানিয়ে দিলো পরের ছেলেমেয়ের দায়ভার তারা নিতে পারবে না।প্রয়োজনে আদালতে যাবে। এতদিন নিখোঁজ বাবা নিমরাজি হয়ে আমাদের দায়ভার নিতে সম্মত হল।তারই ফল স্বরুপ এই চির বিচ্ছেদ।
(৩)
দিন তো আর বসে থাকে না। কোন না কোন ভাবে সময় বয়ে যায়।এরপর অনেক অনেক দিন পর আমরা আমাদের মাকে একবেলার জন্য দেখতে যাই।এখন মাকে দেখলে কেমন যেন অচেনা মনে হয়। শুকিয়ে রোগা কাঠ হয়ে গেছে।দেহে হাড় আর চামড়া ছাড়া কিছু নেই। চিনতেই কষ্ট হয়। গলার স্বরে বুঝতে পারি ইনি আমাদের মা।
মা!
আমরা যেদিন যাই সেদিন মায়ের একবেলা ছুটি হয়। সেই বেলাটা অবশ্য মায়ের উপোস দিতে হয় কেননা তার ভাগের খাবারটা আমাদের না খাইয়ে তিনি শোনেন না। আমরা ভাত খাই আর কাঁদি।মাও আমাদের সাথে কাঁদেন।
আমরা দুই ভাই বোন মায়ের শীর্ণ শরীরে হাত বুলাই। আজকাল মা কেমন যেন নিস্তেজ হয়ে গেছেন।আমাদের কষ্ট হয় ভীষণ কষ্ট হয়।আমরা বুঝি মা নিজের বাড়িতে দাসীর জীবন কাটাচ্ছেন। মামারা মায়ের সাথে বাজে ব্যবহার করে।একটা মেয়ের বিয়ের পর বাবার বাড়ি আর নিজের বাড়ি থাকে না। দুদিনের জন্য সেখানে বেড়াতে আসা যায় কিন্তু একেবারে থেকে যাওয়া যায় না।
একবার মা অনুরোধ করে বলেছিল " বড় হলে তোরা আমাকে নিয়ে যাবি মানিক? আমার না,তোদের ছাড়া থাকতে একটুও ভালো লাগে না। এখানে থাকতে থাকতে দেখবি একদিন ঠিক মরে যাবো "
সেদিন ই আমরা শপথ নিয়েছিলাম আমাদের মাকে এই নরকপুরি থেকে বের করে নিয়ে যাবো।আমরা মন দিয়ে পড়াশোনা করতে লাগলাম। আব্বা ও সৎ মায়ের মন জুগিয়ে চলতে লাগলাম। তার ফাঁকে এটা ওটা কাজ করে কিছু টাকা জমাবার চেষ্টাও করলাম।টাকার বিকল্প কিছু নেই। মাকে আমাদের ভালো রাখতেই হবে।
তবে আমরা মায়ের সাধ পূরণ করতে পারি নি।আমি জানি এই কষ্ট আমাকে সারাজীবন বয়ে নিয়ে বেড়াতে হবে। আমার মায়ের সম্ভবত ক্যান্সার জাতীয় কোন অসুখ হয়েছিল। তেমন একটা চিকিৎসা হয় নি অবশ্য। আমরা জানতেই পারি নি । যা কিছু জেনেছিলাম নানাজানের বন্ধু হরিহর ডাক্তারের কাছে। তিনি ক্যান্সারের আশঙ্কাই করেছিলেন।মায়ের মৃত্যুর পর দেখা হলে আমাকে বলেছিলেন পারলে না তোমার মাকে একটু ভালো ডাক্তার দেখাতে।তোমার মামারা তো মানুষ না।সব পাষণ্ড ।কতবার যে তোমাদের দেখতে চাইতো কিন্তু কেউ খবর পাঠাতো না তোমাদের কাছে।অনেক কষ্ট সয়েছে বেচারা। অনেক ।মা চলে গেল আষাঢ়ের এক ঝুম বরষার দিনে।আমি আর আমার বোন ঝড় বৃষ্টি মাথায় করে মাকে বিদায় জানালাম। এবার কি মা একটু শান্তি পাবে? জানি না। আমরা কবরে মাটি দিতে দিতে চিৎকার করে বললাম
- হে আল্লাহ এবার মাকে একটু শান্তি দিও। বড্ড যন্ত্রণা সয়েছে একজীবনে।
সেদিন মায়ের শোকে আমাদের সাথে সাথে প্রকৃতিও অঝোর ধারায় কেঁদেছিল।


পরিশিষ্ট
________
এখন আমি কলেজে পড়ি। আমার বোনটার বিয়ে হয়ে গেছে দুর গাঁয়ে।সে মোটামুটি ভালোই আছে। কিন্তু আমার একাকী নিঃসঙ্গ জীবন মায়ের স্মৃতি নিয়ে বেঁচে আছি নিজের অক্ষমতাকে সঙ্গী করে। হ্যাঁ আমাকে নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে। মা তো তাই চাইতো।
এক সকালে চয়ন এলো আমার মেস বাড়িতে আমার সাথে দেখা করতে।ও সম্পর্কে আমার মামাতো ভাই।এই ভাইটির সাথে আমার ভারি ভাব। মামার বাড়ির লোকজন বলতে ওর সাথেই আমার যোগাযোগ আছে। ওর উপস্থিতিতে আমি অবাক হলে খুশিও হলাম।
একথা সেকথার পর চয়ন যাবার বেলায় আমার হাতে একটা কাপড়ে মোড়া থলে ধরিয়ে দিলো। আমি অবাক হয়ে জানতে চাইলাম কি আছে এতে?
চয়ন বলল
- বড় ফুপির ডায়েরি।
- মায়ের ডায়েরি? মা ডায়েরি লিখতেন?
-অবাক হবার কিছু নেই।ফুপি তো কাউকে কোন কথা শেয়ার করতো না।সব দুঃখ কষ্ট বুকে চেপে রাখতেন। মনের ভিতর যা কিছু জমানো ছিল মনে হয় সব এখানেই লিখে গেছে।
- তুই পড়েছিস?
চয়ন মাথা নাড়ালো
- না, তবে কয়েক পাতা উল্টে নিশ্চিত হয়ে তোকে দিতে এসেছি। এটা অন্য কারও হাতে পড়ুক, তা আমি চাই না।
আমি ডায়েরিটা বুকে জড়িয়ে নিলাম। মা! এ যে মায়ের স্পর্শ। না আমি এ ডায়েরি কোনদিন পড়বো না। কাউকেও পড়তে দেবো না।তবে ডায়েরিটা আমি হাতছাড়াও করবো না।এটাই আমার মায়ের শেষ স্পর্শ।
যেখানেই থাকো ভালো থেকো মা। খুব ভালো।আমিও ভালো থাকবো।
© রফিকুল ইসলাম ইসিয়াক
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৫
১৪টি মন্তব্য ১৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ইসলামপন্থী রাজনীতির বয়ান এবং জামাতের গাজওয়াতুল হিন্দ-এর প্রস্তুতি

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:২০


গোরা উপন্যাসে রবীন্দ্রনাথ নিজে ব্রাহ্ম হয়েও, ব্রাহ্ম সমাজের আদর্শের বিপরীতে "গোরা" নামে একটি চরিত্র তৈরি করেন। গোরা খুব কট্টরপন্থী হিন্দু যুবক। হিন্দু পরিচয়ে বড় হলেও, আসলে সে আইরিশ পিতা-মাতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

তুমি নেই, তাই শূন্য লাগে

লিখেছেন রানার ব্লগ, ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪৬

তোমার চলে যাওয়ার পর
ঘরে আর আলো জ্বালাই না,
অন্ধকারে নিজের মতো করে
সবকিছু চিনে নেই।

জানো, আজ সকালে চা বানাতে গিয়ে দেখলাম
চিনি শেষ,
ভাবলাম ঠিক আছে,
মিষ্টি না থাকলেও চা হয়।

রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎ
তোমার মতো... ...বাকিটুকু পড়ুন

৫ আগস্টের পর তো কিছুই বদলায়নি

লিখেছেন মুনতাসির, ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৯

অনেকেই বলেন, ৫ আগস্টের পর তো কিছুই বদলায়নি। এই কথাটার সূত্র ধরেই এগোনো যায়। ৫ আগস্টের পর আমাদের কোন কোন পরিবর্তন এসেছে, সেটাই আগে দেখা দরকার। হিসাব করে দেখলাম, বলার... ...বাকিটুকু পড়ুন

আদর্শের রাজনীতি না কোটি টাকার হাতছানি...

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:২৫



১. আমি অনেক আগে ব্লগে লিখেছিলাম, বাংলাদেশে ছোট দলগুলো নিষিদ্ধ করা উচিত। উন্নত দেশের মত ২/৩ টিতে থাকাই উত্তম। কারণ, ছোট দলের নেতাদের টকশো-তে গলাবাজি করা ছাড়া আর কোন... ...বাকিটুকু পড়ুন

শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরণে উড়ে গেল মাদ্রাসার দেয়াল, বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১৯



ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকায় একটি মাদ্রাসায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে নারী, শিশুসহ চারজন আহত হয়েছেন।

বিস্ফোরণে মাদ্রাসার একতলা ভবনের পশ্চিম পাশের দুটি কক্ষের দেয়াল উড়ে গেছে। ঘটনাস্থলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×