বাংলা নববর্ষ ও বাংলা সংস্কৃতি
পৃথিবীতে কয়েকটি সন গননায় মানুষ তাদের জীবন অতিবাহিত করে। তাদের মধ্যে আরবী ইংরেজী ও বাংলা আমাদের দেশে অতি বেশি চলে। আরবী সনটি চাঁদের গুর্ণনয়ের মাধ্যমে আর তা মসলিম সমাজ দেশে অতি পরিচিত কারন তার অনুপাতে মুসলমানদের আনেক এবাদত ও ঈদ উদযাপন হয়। তেমনি ইংরেজী খৃষ্টানদের যদিও তা এখন সব দেশেই বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে। আর বাংলা তা বাংলা ভাষিদের মধ্যেই সিমিত তবে তার পূর্বে আরবীই প্রচলিত ছিল। কিন্তু জমিদার বা দেশের খাজনা আদায় করার লক্ষে জনগনের সুবিধার্থে এ সনের উতপত্তি করা হয়। আর তা হয় মোঘল সম্রাট আকবরের আমলে। ১৫৮৪ ঈসায়ীতে। মূলত এই সনের উৎপত্তি হিসাব সংরক্ষনের জন্য। আর এই সনটি গড়ে উঠে হিন্দু সংস্কৃতির আদলে। তাই এই সনের হিসাবেই তারা তাদের পূজা অর্চনা করে থাকে। আর পহেলা বৈশাখের মাধ্যমেই একটি নতুন বছর শুরু হয়। তাহলে এখন অতি জুরুরি হল এই কথাই জানা যে আমি বা আপনি এ দিনটিতে কি করনীয়। এ দিনটি এমন একটি দিন যা অতীত চলে যাওয়ার একটি হাহাকার আবার নতুনের আনন্দ। এই দুয়ে মিলিয়ে আমাকে ভাবতে হবে যে, আমি গত বছরে কতটুকু আমার ব্যর্থতা কতটুকু আমার ভুল হয়েছে কতটুকু আমি সফল হয়েছি তা খতিয়ে দেখার দিন আজ। আর তা দেখে সামনে যে একটি নতুন বছরে আমি পা দিচ্ছি তা কিভাবে আমি সাজাবো তার প্লান ঠিক করার দিন কিন্তু আজ। আমাকে সফলতার শীর্ষে অবশ্যই পৌছতে হবে এই প্রতিজ্ঞার দিন।
কিন্তু আজ আমি বা আপনি কি করছি?
দ্বিতীয়তঃ আমাকে একটি দিকে যেতে হবে। আমার প্রশ্ন আপনি আপনাকে প্রশ্ন করুন। আপনি কি মুসলিম? আপনি কি খৃষ্টান? আপনি কি হিন্দু বা কোন জাতি?এখন আপনি পান্তা নিয়ে ব্যস্ত কিন্তু সেদিন আপনি থার্টি ফাষ্ট নাইট নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। আপনি আজ পুরো বাঙ্গালী কিন্তু আগামী কাল আপনাকে জিঙ্গেস করলে আপনি বাংলা কত তারিখ তা বলতে পারেন না। আবার আপনার দেশের অফিস আদলতে কোন তারিখ? অথচ আপনার ভাই এই ভাষার জন্যই তো রক্ত দিয়ে দিয়েছি। আজ ৮ই ফাল্গুন নিভূতে কাদে আর আপনারা পালন করেন ২১শে ফেব্রয়ারী। কত অবিচার করলেন রক্তের প্রতি কত অবিচার ভাষার প্রতি নিজ। এখন বলবো আপনার আমার সেই জাতির যে সংস্কৃতি বা কৃষ্টি কালচার তাই পালন করা আপনার আমার কর্তব্য। যদি তা না করি তাহলে আমার বা আপনার পক্ষে সেই জাতি হিসেবে দাবি করা কতটুকু যুক্তি হবে তা একটু চিন্তা করে দেখুন। যদি আপনি বলেন আমি বাঙ্গালী জাতি এই গুলি আমার বাংলা সংস্কৃতি তা হলে এখানে আমার প্রশ্ন আপনি কেন আবার ইংরেজি নববর্ষে রাত বারটায় উৎসবে ফেটে পড়েন? সংস্কৃতির প্রতি। কিন্ত আজ যা পালন করেন দৃড়তার সাথে তা বলতে পারবো আপনার সংস্কৃতি নয় ধার করা অপসংস্কৃতিকে সংস্কৃতি বলে চালিয়ে যাচ্চেন। এটি কোন জাতির জন্য মঙ্গল বয়ে আনে নায়। যে জাতি নিজ সংস্কৃতি ভুল অন্য সংস্কৃতে নিজ সংস্কৃতি বলে চালায় তারা কোন দিন স্বাধীন জাতি নয়। পরাধীন।
তৃতিয়তঃ দেখুন একটু দৃষ্টি দিয়ে আজ আপনারা কত ড়াকড়োল করে অপসংস্কৃতিতে গা ভাসিয়ে দিয়েছেন। অপর দিকে আপনার ভাই আপনার বোন আত্মীয়া ধুকে ধুকে মরছে। এক মুঠ অন্য পাচ্ছে না এক মুঠু খাবার নেই আর আপনারা কত টাকা এই সংস্কৃতির নামে অপচয় করছেন। এটি কোন দিন সংস্কৃতি হতে পারেনা যে দেশে না খেয়ে থাকবে হাজারো মানুষ আর কিছু লোক নারী পুরুষ মিলে বিচিত্র একটি রেখা তৈরী করবে। তাই বলছি একটু ভাবি। বন্ধুরা আজ আমরা কি করছি কেন করছি কি আমার লাভ এতে। বোকার মত দেখা দেখি করলেতো হবে না?
চতুর্থতঃ বলবো ভাইয়া আপনি কোথায় যাচ্চেন?
মনে রাখুন আপনি আমি সবাই একদিন জীবনের সকল কাজের হিসাব দিতে হবে। কি উত্তর দিবেন আপনার এই জীবনের। কেন আপনাকে সৃষ্টি করেছেন আল্লাহ তায়ালা কেন? কেন এত নেয়ামত ভোগ করছেন? কত টাকা দিয়েছেন সেই স্রষ্টাকে? বা কি উপকার করেছেন তার? আপনি আমি আজ তার দেয়া জিনিস দিয়ে কত রং বেরং করছি। এ রং একদিন শেষ হবে। এ যৌবন একদিন শেষ হবে। কিন্তু সময় চলে গেলে আর আফসোস করে লাভ নেই ভাই। তাই সময় থাকতে আমরা সাবধান হই স্রষ্টাক চিনি জানি মানি যে আমাকে এত নেয়ামত দিয়েছেন। আর আমার আনন্দ বেদনায় কি ভাবে উৎযাপন করবো তা বলে দিয়েছেন তিনি আর আমরা সে অনুযাই যদি কাজ করি তাহলে তিনি রাজি হবেন আমাদেরকে দিবেন জান্নাত। তাই ভাই সংস্কৃতির নামে অপসংস্কৃতিতে নিজেকে ভাসিয়ে না দিই বুঝার চেষ্টা করি। আল্লাহ আমাকে জ্ঞান দিয়েছেন বুঝার জন্য। কেন বোকা হয়ে থাকবো। আল্লাহ আমাদেরকে বুঝার তৌফিক দান করুন। আল্লাহকে জানি আল্লাহর রাস্তায় বের হই।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




