ঢাকা শহরের অন্যতম লোকাল বাস "৬ নম্বর"। গুলশান-১ হয়ে যেটা যায় সেটার শেষ গন্তব্য ফার্মগেট। সেখানে বেশ কিছুক্ষন অপেক্ষার পর আবার গুলিস্তানের দিকে যায়। তাই ফার্মগেট যাওয়ার পর সবাইকেই বাস থেকে নামতে হয়।
গতদিনের ঘটনা। এক ভদ্রলোক গুলশান ১ থেকে বাসে উঠে আমার পাশেই বসলেন। বসতে না বসতেই নাক ডেকে ঘুম। ভদ্রলোকের ঘুমের প্রতিভা দেখে আমি চমকিত! সুপারভাইজার সবার ভাড়া নিলেও লোকটা ঘুমিয়ে থাকায় সম্ভবত আর ঘুম ভাঙ্গালো না। ভদ্রলোকের ঘুম ভাঙলো একেবারে বিজয় স্বরনী পার হয়ে। তখন তিনি পকেট থেকে ১০ টাকার একটা নোট বের করে এদিক ওদিক তাকিয়ে সুপারভাইজার কে খোজা শুরু করলেন। নিতান্ত সৎ লোক, তিনি ভাড়া দেবেনই। দেশের সব লোক চোর বলে গালি দিয়ে নিজের চুরিকে আমরা যারা জায়েজ করতে চাই, তারা আসলে সঠিক কথা বলি না। দেশে অনেক সৎ লোক আছে। যাই হোক, তিনি কয়েকবার সুপারভাইজারকে ডাকলেন। সুপারভাইজার ভিড়ের ভেতর শুনতে পেলেন না। তিনি হাতে টাকা নিয়ে অস্থির হয়ে উঠলেন।
ফার্মগেট গাড়ি থামলে হেল্পার চিল্লানো শুরু করলো, "সবাই নামেন, সবাই নামেন। ভাড়া ফাকি দেবেন না। ভাড়া ফাকি দিলে বউ মারা যাবে! কেউ ভাড়া ফাকি দিবেন না!" যে ভদ্রলোক এতক্ষন ভাড়া দেয়ার জন্য অস্থির হয়ে ছিলেন, তিনি এই কথা শোনার পর ভাড়ার টাকা পকেটে ঢুকিয়ে ভুবন ভুলানো হাসি দিতে দিতে বাস থেকে নেমে চলে গেলেন!!
হায়রে বোকা হেল্পার!
অসহায় পুরুষ মানুষকে এভাবে লোভ দেখালে কি আর ভাড়া দেয়!!

