সমকামীদের বিয়ে বৈধ ঘোষণা করল যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট। এর মাধ্যমে পুরো যুক্তরাষ্ট্রেই এবার সমকামীদের মাঝে বিয়ে বৈধতা পেল।
যদিও বিষয়টি আমেরিকার নিজস্ব। তবুও মানব সভ্যতার জন্য কতটা সুখবর এটি! যতদূর জেনেছি এবং ছোটবেলায় সমাজ বইয়ে পড়েছি, 'প্রাচীন সভ্যতা সম্পর্কে'। সেময় মানুষ লজ্জা নিবারন করত গাছের পাতা বা বাকল দিয়ে। তখন মনে হত আমরা পৃথিবীবাসী সভ্য হয়েছি। কিন্তু সেই ছোটবেলার পর যতই বড় হয়েছি ততই আমাদের বর্তমান সভ্যতার পরিবর্তন দেখছি।
তার প্রতিফলন মনেহয় বর্তমান আমেরিকার 'সমকামীদের বিয়ে বৈধ ঘোষণা' করা। বিষয়টি আমার কাছে বড়ই লজ্জাজনক লাগছে। নৈতিকতার অবক্ষয় এতটাই নীচে চলে গেছে যে অনেকের কাছে এটি লজ্জাকর মনে নাও হতে পারে।
আদালতের রায় ঘোষণার পরপরই নাকি জর্জিয়া, মিশিগান, ওহাইও এবং টেক্সাসের সমকামী জুটিরা সানন্দে বিয়ের তোড়জোড় শুরু করে।
রায় শোনার পরপরই জর্ডান মোনাগহান নামের এক অংশগ্রহণকারী তৎক্ষণাৎ তার মাকে ফোন করে সুখবরটি জানান।
মোনাগহান ফোনে তার মাকে বলে, ‘মা! আমি এখন সুপ্রিম কোর্টে। তোমার ছেলে এখন অন্যের বউ হতে পারবে।’
বিচারপতি অ্যান্থনি কেনেডি তার রায়ে জানান, বিবাহ সবার জন্যই একটি সাংবিধানিক অধিকার, তাতে বেশিরভাগ মানুষই একমত হয়েছেন।
প্রেসিডেন্ট ওবামা এ রায়কে ‘আমেরিকার জন্য বিজয়’ বলে অভিহিত করেছেন। “ সব মার্কিন নাগরিককে সমান দৃষ্টিতে দেখা মানেই আমরা সবাই আরো বেশি স্বাধীন”, বলেন তিনি।
এদিকে অনেক খ্রিস্টান রক্ষণশীলই এই সিদ্ধান্তের নিন্দা করেছেন। রিপাবলিকান দলের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী আরকানসাস প্রদশের সাবেক গভর্নর মাইক হাকাবি বলেন, ‘আামাদের অবশ্যই বিচার বিভাগীয় এই স্বৈরশাসন প্রতিহত ও প্রত্যাখ্যান করা উচিত।’-Link of Source
তবে এটুকু আশা করতে পারি, 'আমাদের নৈতিকতার অবক্ষয় তুলনামূলকভাবে আমেরিকানদের চেয়ে ভাল আছে' । এরকম অবস্থা যেন আমাদের দেশে কখনো না হয়।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ২:০৫