খুব মিস করি কলেজ লাইফটা। কলেজে খুব ভালো কিছু বন্ধু পেয়েছিলাম। বলতে গেলে ওদের জন্যই কলেজ লাইফটা খুব চমৎকার গিয়েছে। কলেজ ছেড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছি ২০০৯ সালে। কিন্তু সত্যি বলতে, ওদের অভাব আজও পূরণ হয়নি। আর আমি এমনি দুর্ভাগা যে কলেজের কোন বন্ধুর সাথে এক ডিপার্টমেন্টে ভর্তি হবার মত সৌভাগ্য হয়নি। সবাই আলাদা আলাদা বিশ্ববিদ্যালয়ে অথবা ডিপার্টমেন্টে ভর্তি হয়েছি। অবশ্য এটা ভাবতে ভালোই লাগে যে প্রায় সবাই খুব ভালো ভালো জায়গায় ভর্তি হয়েছি। কিন্তু এক সাথে বসা, দুষ্টুমি করা, টিচারের সামনে লক্ষ্মী ছেলে সেজে থাকা, জনৈকা ক্লাসমেটের সাথে অ্যাপ্রোচ করার পরিকল্পনা, প্র্যাকটিকাল ক্লাসে মজা করা(আর্টসের স্টুডেন্টদেরও কিছু প্র্যাকটিকাল থাকে),টিফিনের বিরতিতে আড্ডা দেয়া, সদ্য সেলফোন ইউজার হিসেবে সব বন্ধুদের ‘ভাবের’ মেসেজ পাঠানো,পরীক্ষার আগে সাজেশন বিনিময়, মাঝে মাঝে মন কষাকষি, পরীক্ষার পর দল বেঁধে প্রশ্নের গোষ্ঠী উদ্ধার করা, এগুলো এখনো ভুলতে পারি না। ফর্মমাস্টার নাসিমুন নাহার ম্যাডামকেও খুব মনে পড়ে, আমার দেখা সেরা শিক্ষক এবং চমৎকার একজন মানুষ।এখনো অনেকের সাথেই যোগাযোগ আছে। কিন্তু কলেজে পড়ার সময় নিজেদের কেমন যেন একটা পরিবারের মত মনে হত। সেই অনুভূতিটা এখন আর আসে না। কলেজে পরার সময় বিধি-নিষেধের ব্যাপার ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ে সে তুলনায় আমি অনেকটাই স্বাধীন। কিন্তু কলেজে চমৎকার কিছু মানুষের সাথে এতো চমৎকার কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছি যে সেই শৃঙ্খলটাই এখন অনেক মধুর মনে হয়। মাঝে মাঝে মনে হয় টাইম মেশিন বলে কিছু থাকলে চমৎকার হত। কলেজ লাইফে আবার ফিরে যেতাম। কলেজে যেদিন শেষ ক্লাস হল সেদিন মনটা ভীষণ ভারী হয়ে ছিল। আর যেদিন বিদায় সংবর্ধনা হল সেদিন তো মনে হচ্ছিল নিজ বাড়ি ছেড়ে অনিশ্চিত পথে পা বাড়াচ্ছি, নিজের আপন মানুষগুলোকে ছেড়ে এখন আলাদা পথ চলতে হবে। কলেজ ছাড়ার পর অনেকটা সময় গড়িয়েছে, অনেক কিছুর পরিবর্তন হয়েছে। পরিস্থিতির চাহিদায় আমাদের মধ্যে এসেছে অনেক পরিবর্তন। অনেকের সাথেই এখন যোগাযোগ নেই, অনেকেই আমার কলেজের সেই লক্ষ্মী বন্ধুটি নেই যার কষ্টে অনেক সময় বুক ফেঁটে যেত একসময়, আমি যাকে খুব মিস করি সে হয়তো আমাকে আগের মত ফিল করে না। কিন্তু তারপরেও বলব কলেজ লাইফ এখন পর্যন্ত আমার জীবনের সেরা সময়।কিছু অসাধারণ মানুষ যারা আমাকে বন্ধু মনে করেছেন তাদের জন্যই আমার মুহূর্তগুলো অনেক সুন্দর কেটেছে। হুমায়ূন আহমেদ তার প্রতিটি বইয়ের শুরুতে চমৎকার করে বইটি কাউকে উৎসর্গ করেন। লেখকের সাথে নিজেকে তুলনা করার ধৃষ্টতা আমার নেই। এটি আমার প্রথম ব্লগ। আমি এই ব্লগটি আমার কলেজের সকল বন্ধুকে উৎসর্গ করছি। তাদের জন্য অসংখ্য ভালবাসা।
আলোচিত ব্লগ
এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন
মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫….(৭)
ষষ্ঠ পর্বের লিঙ্কঃ মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫-….(৬)
০৬ জুন ২০২৫ তারিখে সূর্যোদয়ের পরে পরেই আমাদেরকে বাসে করে আরাফাতের ময়দানে নিয়ে আসা হলো। এই দিনটি বছরের পবিত্রতম দিন।... ...বাকিটুকু পড়ুন
টাঙ্গাইল শাড়িঃ অবশেষে মিললো ইউনস্কর স্বীকৃতি

চারিদিকে যে পরিমান দুঃসংবাদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এর মধ্যে নতুন এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হলো বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের তাতের শাড়ি এর জন্য, ইউনেস্কো এই প্রাচীন হ্যান্ডলুম বুননের শিল্পকে Intangible Cultural... ...বাকিটুকু পড়ুন
আধা রাজাকারি পোষ্ট ......

আমি স্বাধীন বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছি। আমার কাছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বা পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে আজকের বাংলাদেশের তুলনা—এসব নিয়ে কোনো আবেগ বা নস্টালজিয়া নেই। আমি জন্মগতভাবেই স্বাধীন দেশের নাগরিক, কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন
ইন্দিরা কেন ভারতীয় বাহিনীকে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন রাখেনি?

কারণ, কোল্ডওয়ারের সেই যুগে (১৯৭১সাল ), আমেরিকা ও চীন পাকিস্তানের পক্ষে ছিলো; ইন্দিরা বাংলাদেশে সৈন্য রেখে বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর সাথে বিতন্ডায় জড়াতে চাহেনি।
ব্লগে নতুন পাগলের উদ্ভব ঘটেছে;... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।