অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় বাংগালীরা সমষ্টিগতভাবে এখন প্রচন্ড মরিয়া এবং আশাহীন। এমন মরিয়া যে তার তুলনা শুধুমাত্র স্বাধীনতা যুদ্ধের ঠিক পূর্বমুহূর্তের সাথে তুলনা করা যায়। এই উন্মত্ততার কারণ ব্যাখ্যা করতে না যাই। এই ডেসপারেট অবস্থা তাদেরকে বেপরোয়া করে তুলছে/তুলেছে। তাই তারা পানিতে ডুবন্তরত ব্যাক্তির মতো খড়কুটা যা পাচ্ছে তা আকড়ে ধরে ভেসে থাকার চেষ্টা করছে । এই খড়কুটা হয়ে একবার ড: কামাল গং , ভিপি নূর, এবং এখন হেফাজতি মামুন গং'দের আগমন। সব খড়কুটা একে একে ঢুবে যাচ্ছে, কেউ তাদেরকে ভাসিয়ে রাখতে পারছেনা ।
একটা জাতি যখন এমন সময় পার করে তখন যদি তাদেরকে সঠিক দিক নির্দেশনা দেওয়া যায় তাহলে তাদের দ্বারা বিপ্লব ঘটানো সম্ভব, যেমনটা করেছিলেন বংগবন্ধু। কিন্তু বর্তমানে যারা এই জাতিকে আশা দেখাচ্ছেন তারা এই বিপুল সম্ভাবনাময় শক্তির সঠিক ব্যবহার করতে পারছেন না বলেই বাংগালীরা একজনকে ছুড়ে ফেলে আরেকজনের কাছে যাচ্ছে। অপরিণামদর্শী এইসব নেতারা সকল সমস্যার সমাধান রাজপথে খুজতে যেয়ে একের পর এক ব্যার্থ আন্দোলন উপহার দেওয়ায় তারা প্রত্যাখ্যাত হচ্ছেন।
উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় , অল্পকয়েকদিন আগেই হেফাজত এবং সমমনা দল গুলোর ফ্রান্সবিরোধী আন্দোলনের ধারাবাহিতার কি হলো? এই আন্দোলন থেকে কি সুফল মিলেছে? আন্দোলনের ফলাফল কি? উত্তর হচ্ছে শূন্য । ঠিক এমনিভাবেই এদের চলমান এবং ভবিষ্যৎ সকল আন্দোলনের ফলাফল শূন্য হবে যদি না তারা তাদের আন্দোলনের পন্থা সম্পর্কে সচেতন হয়।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৯