তুমি নাকি খুব কান্না করো
তাও আবার দুপুর বেলা?
কান্না থামাতে হবে না
এইটুকু শুনো
দুপুর খুব বাজে সময়
তুমি নাহয় কেঁদো বিকালবেলা
আকাশ যখন নীল থাকবে
গাছের ডালে চিল থাকবে
বিকেলে যদি কাঁদতে না চাও
সন্ধ্যা হোক তখন কেঁদো
পাখির ডানা ক্লান্ত হয়ে ঘরে ফিরলে
মেঘ গুলো সব পথ হারিয়ে ঝরে পরলে
যদিও এই সন্ধ্যা গুলো
কেন যেন ভাল লাগে না
নুডলস কিংবা মরিচ চা'টাও
পানসে লাগে, ঝাল লাগে না।
যেকোন কাজ ঘোর অন্যায়
শাস্ত্রে আছে সন্ধ্যাবেলা।
তুমি তবু ঘুরতে যেয়ো
বন্ধু নিয়ে সেই অবেলা?
রাতের বেলা কান্নাকাটির অনেক-খানি সময় পাবে
বালিশে নাক গুজে তখন
কেঁদে কেটেও আরাম হবে।
কিংবা ধরো কান্না পাওয়ার আগেই
তুমি ঘুমিয়ে গেলে
কেমন হবে?
সকাল বেলা উঠার পর
কিছু কি আর মনে থাকবে?
আবার কাঁদার ইচ্ছা হবে?
আগের রাতে যেখান থেকে শেষ করেছো
সেখান থেকে নতুন করে?
আচ্ছা তোমায় কে বলেছে
গায়ে মাখতে রোদবৃষ্টি?
বাসা থেকে দূরে আছো
খাচ্ছো না ঠিক
পাচ্ছো না মা
বাসছে না কেউ ভালো
এইতো কারণ?
তাই বলে সব দুঃখ নেবে নিজের করে?
কি লাভ তোমার? কে বলেছে?
যে বলেছে, সে বলেনি ভালো থাকতে?
সে বলেনি... জীবনটাকে দেখে রাখতে?
নাপা কিংবা নাপার মত ওষুধ গুলো কাছে রাখতে?
চোখের জলে মশারা সব ডিম পেড়ে যায়।
ডেঙ্গু হয় এডিস মশায়। না হাসলে আয়ু কমে যায়।
বলে না সে এসব কথা?
তবে নাহয় আমিই বললাম
এবার উঠো অনেক হলো
চোখ ধুয়ে নাও
আমি মোটেই সাঁতার জানি না
(বিদ্রঃ ভার্সিটির প্রথম বর্ষের মেয়েটাকে নিয়ে লিখা। মেয়েটা দুপুর হলেই কাঁদে। কেন কাঁদে আমি জানি না। আমাকে বলে না। তার কান্না নিয়ে আমি এইসব লিখেছি। পাঠানো হয় নি।)