নূরের বাতি নেভানো যায় না আসমানি ফরমান,
থাকবে বহাল অনন্তকাল প্রভূর এই আহবান।
ইস্ট লন্ডন মসজিদের শত বর্ষপূর্তিতে বিবিসিতে ডকুমেন্টারি : ইস্ট লন্ডন মসজিদের ১০০ বছর পূর্তিতে সম্প্রতি বিবিসি ওয়ান একটি বিশেষ ডকুমেন্টারি প্রচার করেছে। জিয়োফস্মেলের পরিচালনায় ৩০ মিনিটের এই ডকুমেন্টারিতে ১৯৪০ সালেরও ফুটেজ ব্যবহার করা হয়েছে এবং বেশ কিছু তথ্য ছবি সংগ্রহ করা হয়েছে লন্ডনের ইম্পেরিয়েল ওয়ার মিউজিয়াম থেকে। ডকুমেন্টারিতে দেখানো হয়েছে, ১৯১০ সালের বাস্তবতায় বহু মুসলমানের এবং বিশেষ করে ভিন্ন দেশ থেকে নানা প্রয়োজনে আগত সাধারণ এবং বিশিষ্ট মুসলমানদের নামাজের জন্য কোনো মসজিদ ছিল না। সেই পরিপ্রেক্ষিতে লন্ডনে একটি মসজিদ প্রতিষ্ঠার প্রয়াসে কিছু ধনী ও প্রভাবশালী মুসলিম একিভূত হন। ৯ নভেম্বর ১৯১০ সালে সেন্ট্রাল লন্ডনের রিচ হোটেলে প্রিন্স মুলতান মুহাম্মদ আগা খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গঠন করা হয় লন্ডন মস্ক ফান্ড। এতে নন মুসলিম বিশিষ্টজনরাও যুক্ত ছিলেন। অবশেষে ১৯৪০ সালে মাত্র ৬০০ মুসল্লি নিয়ে কমার্শিয়াল রোডে বাস্তবে রূপ নেয় ইস্ট লন্ডন মসজিদ। এর চেয়ারম্যান ছিলেন ইন্ডিয়ান অরিজিন আল্লামা কাজী। ওই সময় থেকে বাংলাদেশ তথা মৌলভীবাজার সদর থেকে আসা হাজি তসলিম আলী মসজিদের জন্য সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। তার ভূমিকার কারণেই মসজিদটি তসলিম আলীর মসজিদ হিসেবেও পরিচিতি পায়। লন্ডনে মুসলিম সেন্টারের বিশ্ব রেকর্ড : ১৯১০ সালে প্রতিষ্ঠিত ইউরোপের সর্ববৃহৎ মসজিদ ইস্ট লন্ডন মসজিদ। ইস্ট লন্ডন মসজিদের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় বৃটেনসহ ইউরোপের মুসলমানদের প্রাণকেন্দ্র লন্ডন মুসলিম সেন্টার। ২০০৪ সালে বৃটেনের মুসলিমদের জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চার কেন্দ্র মালটিকালচারাল সোসাইটির মাইলফলক হিসেবে লন্ডন মুসলিম সেন্টার উদ্বোধন করেন বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব কাবা শরিফের ইমাম শায়খ আবদুর রহমান আস সুদাইস।তিন ব্যাপী অনুষ্টানে মাওলানা দেলওয়ার হোসেন সাঈদী বিশেণষ অতিথি হিসেবে উপস্খিত ছিলেন। লন্ডন মুসলিম সেন্টার চালুর পর থেকে বহুজাতিক কমিউনিটির কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। মুসলিম-অমুসলিম সাদা-কালো সর্বশ্রেণীর মানুষের মিলনকেন্দ্র হিসেবে লন্ডন মুসলিম সেন্টার ইউরোপের গণমানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেছে। ইতোমধ্যে লন্ডন মুসলিম সেন্টার বৃটেনের আদর্শ মসজিদ ও সেন্টার হিসেবে ইসলাম চ্যানেল মোবাইল গণভোটে শ্রেষ্ঠ মসজিদ হিসেবে অ্যাওয়ার্ড লাভ করেছে। ইস্ট লন্ডন মসজিদ, লন্ডন মুসলিম সেন্টারের ইউরোপের শ্রেষ্ঠ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির প্রতীক হিসেবে মানবতার কল্যাণে বিভিন্ন প্রকল্প কর্মসূচি নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি ইস্ট লন্ডন মসজিদ তাদের আরেকটি যুগান্তকারী প্রজেক্টের কাজ শুরু করেছে। সেটা হচ্ছে মুসলিম মহিলাদের জন্য আমাদের মসজিদ, আমাদের ভবিষ্যৎ ধাপ দুই নামে সাততলা সেন্টার নির্মাণ। ইতোমধ্যে কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। নির্মাণাধীন এ সেন্টারের নাম দেয়া হয়েছে দ্য মরিয়ম সেন্টার। বিশ্বের সর্বজন শ্রদ্ধেয় ঈসা আ.-এর মা মরিয়ম আ.-এর নামে এ সেন্টার আগামী জুলাইতে চালু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিশ্ব রেকর্ড : রোববার ইস্ট লন্ডন মসজিদ, লন্ডন মুসলিম সেন্টারের নির্মাণাধীন দ্য মরিয়ম সেন্টারের জন্য চ্যানেল এসটিভিতে লাইভ তহবিল সংগ্রহ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে দর্শক শ্রোতা মুসলিম নারী-পুরুষ ব্যাপকভাবে অর্থ প্রদানে সাড়া দেয়। এতে অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করে মরিয়ম সেন্টারের জন্য এক রাতে ১৫ লাখ ২৪ হাজার পাউন্ড সংগ্রহ করে (২৭ তারাবির কালেকশন সহ)

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



