আমাদের দেশে মানুষের মৃত্যুর হার ১০০ শতাংশ
মুখে যার সব সময় একটা নিষ্পাপ হাসি লেগে থাকে, তিনি ইরেশ যাকের। তাঁর হাসিটি নাকি অনেক মিষ্টি, এ জন্য প্রায়ই তাঁকে পিঁপড়ায় ধরে। আর মিষ্টি হবেই বা না কেন, তিনি যে করলা খান না। শত ব্যস্ততার ভিড়েও তিনি ঘুমাতে ভোলেন না। ঘুমাতে ঘুমাতেই তিনি এসেছেন রস+আলো আলোচনে। সঙ্গে ছিলেন জিনাত রিপা।
আপনাকে কেউ কখনো বলেছে যে আপনি খুব ‘সুইট’?
– ছোটবেলা থেকেই এটা শুনে শুনে বড় হয়েছি। তবে কেউ না বললেও বুঝি রে ভাই, প্রায়ই তো পিঁপড়া কামড়ায়!
শৈশব থেকে আজ অবধি কোন ব্যাপারটি নিয়ে আপনার আপত্তি কাজ করেছে?
– করলার স্বাদ।
সিরিয়াস একটা প্রশ্ন করি। বলুন তো, আমাদের দেশে মানুষের মৃত্যুর হার কত?
– ১০০ শতাংশ। যারা জন্মায়, সবাই তো দেখি একদিন না একদিন মারা যায়।
ধরুন, কোনো ছেলে পরীক্ষার হলে গিয়ে দেখল প্রশ্নপত্রে যে রচনা লিখতে বলা হয়েছে তার নাম ‘আলস্য’। অথচ ছেলেটি এ রচনা শেখেনি। তখন সে কী লিখবে?
– এই যে, আমার কিছু লিখতে ইচ্ছা করছে না। ইহাই আলস্য।
রামায়ণে রাবণ অমিত শক্তিধর একজন। হেন কাজ নেই, যা তিনি করতে পারতেন না। ১০ মাথা থাকার কল্যাণে তাঁর ক্ষমতা অসীম। এত কিছুর পরও তিনি কী পারতেন না?
– কুম্ভকর্ণের ঘুম ভাঙাতে পারতেন না, সীতার সঙ্গে প্রেমও হয়নি তাঁর। আর ১০ মাথার কারণে তিনি স্যান্ডো গেঞ্জিও পরতে পারতেন না।
দুটি সম্পূর্ণ ভিন্ন ব্যাপারের সঙ্গে কোনো অন্ত্যমিল দেখাতে পারবেন?
– নৌকা আর খাওয়ার স্যালাইন। আপাতদৃষ্টিতে একটির সঙ্গে অপরটির কোনো মিল নেই। অথচ দুটোই পানি ছাড়া অচল।
ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেওয়ার কল্যাণে বিখ্যাত হয়ে আছেন ব্রজেন দাস। চ্যানেল পাড়ি দিয়ে প্রথম তিনি কী কাজ করেছিলেন?
– অনুমান করি, সুইমিং ট্রাক বদলেছিলেন।
অপরাধ না করেও বছরের পর বছর জেলখানায় কাটায় কে?
– জেলখানার পাহারাদার আর জেলার সাহেব।
আপনি দীর্ঘদিন যুক্তরাষ্ট্রে কাটিয়েছেন। পড়াশোনা করেছেন সেখানে। ওখানকার সঙ্গে আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থার মূল পার্থক্য কোথায়?
– খুব ভালো না হলেও, ওখানে একটা শিক্ষাব্যবস্থা আছে।
আপনি একটি পণ্য কিনলেন বাজার থেকে, কী করে বুঝবেন সেটি বাংলাদেশেই তৈরি?
– যখন তার গায়ে কাঁচা হাতে লেখা থাকে ‘মেইড ইন জাপান’।
আপনি তো কিছুদিন সাংবাদিকতা করেছেন। এখন আর করছেন না কেন?
– বেতন দিত না রে ভাই!
কৌতুক আর যৌতুকের মধ্যে পার্থক্য কী?
– কৌতুক হাসির। যৌতুক ফাঁসির!
কে আপনার বেশি প্রিয়? বাবা আলী যাকের, নাকি মা সারা যাকের?
– নিঃসন্দেহে মা। আমার বেশির ভাগ নাটকের প্রডিউসার তিনি।
বর্ষাকাল শেষ হলো সবে। কিন্তু এখনও প্রায় প্রতিদিনই বৃষ্টি। এ ঋতুতে কে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিতে ভেজে?
– মাথার ওপর ছাতা আর পরিচালকের চোখ।
ইঁন্দুর সরানোর ব্যবস্থা
বুয়াঃ খালাম্মা, দুধের পাতিলে একটা ইঁন্দুর পড়ছে।
গৃহিণীঃ কী! তাড়াতাড়ি ইঁদুরটা সরা।
বুয়াঃ (হেসে) ইঁন্দুর সরানোর ব্যবস্থা কইরাই আফনেরে বলছি। পাতিলের ভিতরে একখান বিলাই রাইখা আসছি!
পরীক্ষার চাপ
ছেলের দু’দিন পর পরীক্ষা। অথচ পড়াশোনার নাম গন্ধ নেই। সারাদিন টইটই করে ঘুরে বেড়ায়। মা, ব্যাপারটা দেখে-
মাঃ হাবলু, তোর না দু’দিন পরে পরীক্ষা! পড়াশোনা করছিস্ না যে!
হাবলুঃ মা পরীক্ষার এত চাপ- পড়ার সময়ই পাচ্ছি না!!
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৫:৪৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



