গদি মিডিয়ার সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে কলকাতার মুসলিম মেয়র ফিরহাদ হাকিম বাংলাদেশ বিষয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন তিনি বলেন “ দুই দেশের মধ্যে একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে যেটা হচ্ছে সেটা ঠিক হচ্ছে না। যদিও এটা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিষয়। কিন্তু এটা ভুললে চলবে না, ভারতের সহায়তা ছাড়া বাংলাদেশের স্বাধীনতা কোনোদিন আসতো না। সে সময় বাংলাদেশকে সমর্থন, শেখ মুজিবুর রহমানকে রেখে দেয়া বা বাংলাদেশকে প্রথম সরকারি স্বীকৃতি দেওয়া- সবটাই ভারত করেছিল। ভারতের মাটিতে তাদের কয়েক কোটি শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়েছিল। তাই ভারতকে এড়িয়ে বাংলাদেশ থাকতে পারবে না, বাংলাদেশের অস্তিত্ব টিকে থাকতে পারবে না।” গত সপ্তাহে এই মেয়র বি জে পি র এক নেত্রীকে মাল বলে সম্বধোন করে ।শেষ পর্যন্ত ব্যাপক সমালোচনার মুখে তাকে ক্ষমা চাইতে হয় ।
হাতি ঘোড়া গেল তল, মশা বলে কত জল। যেখানে নতুন বাংলাদেশ মোদী ,জয়শঙ্কর কেই পাত্তা দেয় না সেখানে কলকাতার মেয়র আসছে জ্ঞান দিতে। বেটা বলে ভারত কে এড়িয়ে চললে বাংলাদেশের অস্তিত্ব থাকবে না অথচ নিজের দলের খবর নাই। ২০২৬ সালের বিধানসভার নির্বাচনের পর তৃণমূল কংগ্রেস এর অস্তিত্ব থাকে কিনা সেটা নিয়ে ভাবেন আমদের নিয়ে ভাবতে যাবেন না । কলকাতার মেয়র রাজনীতিতে কাঁচা সেটা উনার কথায় স্পষ্ট বুঝা গেছে। বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়ার ভিসা বন্ধ এতে বাংলাদেশের যতটা ক্ষতি হচ্ছে তার চে বহু গুন বেশি ক্ষতি হচ্ছে কলকাতার ব্যাবসায়ী ও সাধারণ মানুষের । বাংলাদেশ থেকে কলকাতায় প্রতি বছর বারো বিলিয়ন ডলার ঢুকে এখন সেটা সম্পূর্ণ বন্ধ। এভাবে চলতে থাকলে কলকাতার মানুষ আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কলকাতার ব্যাবসায়ীরা বলছে বর্তমানে তাদের ব্যবসা কারণাকালীন সময়ের থেকেও খারাপ যাচ্ছে এভাবে চলতে থাকলে সাটার বন্ধ করে দেওয়া লাগবে। বিজেপি এক ঢিলে দুই পাখি মারতেছে এক দিকে বাংলাদেশ কে ডিস্টার্ব করে যাচ্ছে অন্য দিকে কলকাতার অথনীতি দুর্বল করে দিচ্ছে ফলে একটা সময় মানুষ তৃণমূল কংগ্রেস এর উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠবে । এই মেয়রের মাথায় যদি সামান্য বুদ্ধি থাকতো তে হলে বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য বিজেপিকে চাপ দিতো।সেটা না করে উলটা বাংলাদেশ কে গলাচ্ছে।
এই জানোয়ার গুলা সব সময় বলে ভারত সাহায্য না করলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। এই কথাটা কেন বলে বুঝি না বাংলাদেশ স্বাধীন হইছে ১৬ ই ডিসেম্বর ভারতের সেনাবাহিনী বাংলাদেশ সীমানায় ঢুকছে ৩ ডিসেম্বর ।এর আগের নয় মাস আমাদের মুক্তিবাহিনী একাই যুদ্ধ করছে।ভারত নিজের স্বার্থে সবার আগে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিছে। স্বীকৃতি না দিলে এখনো ভারতের দুই দিকে পাকিস্তান থাকতো।এরা বলে যুদ্ধের সময় কয়েক কোটি শরণার্থী কে আশ্রয় দিছি তখন দেশের জনসংখ্যাই ছিলো সাত কোটি কয়েক কোটি মানুষ ভারতে গেলে দেশে যুদ্ধ করছে কে ? তখন শেখ মুজিবকে রাখছে এখন শেখ হাসিনাকে রাখতেছে সেটা তাদের নিজের স্বার্থেই রাখে ।