somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পার্টটাইম কাজ - ফ্রন্টডেস্কে ক্যারিয়ার

১৪ ই মার্চ, ২০০৯ বিকাল ৫:৩৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বর্তমানে আমাদের দেশে হাজারো রকমের ক্যারিয়ার রয়েছে। এখন আমাদের স্থির করতে হবে কোন দিকে ক্যারিয়ার ডেভেলপ করবো; সেটাও নির্ভর করে আমাদের মানসিকতার ওপর। বর্তমান যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে যে পেশাটা জনপ্রিয় হয়ে উঠছে তা হচ্ছে ফ্রন্টডেস্কে ক্যারিয়ার। আধুনিক যুগে ফ্রন্টডেস্কের প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি, যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখানে একজন ছাত্রছাত্রী পড়াশোনার পাশাপাশি পার্টটাইম হিসেবেও কাজ করতে পারে। তারা ফরেন অর্গানাইজেশন মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি, হসপিটাল, টেলিকমিউনিকেশন এবং বিদেশী এমবাসি এসব প্রতিষ্ঠানে ফুলটাইমের পাশাপাশি বর্তমানে পার্টটাইম হিসেবে কাজ করার ভালো সুযোগ হয়েছে।
একজন ফ্রন্ট অফিসারের ওপর নির্ভর করে সেই প্রতিষ্ঠানের সুনাম। কেউ যদি কোনো ধরনের তথ্য জানতে চায় তাকে যেতে হবে ফ্রন্টডেস্কে, কারণ সেই প্রতিষ্ঠানের সব ধরনের তথ্য ফ্রন্টডেস্কে পাওয়া যায়। ফ্রন্টডেস্কের আচরণের ওপর প্রতিষ্ঠানের আসল চেহারাটা ফুটে ওঠে। তাই ফ্রন্টডেস্ককে বলা হয় ওই প্রতিষ্ঠানের আয়না, যে আয়নায় দেখতে পাওয়া যায় একটি প্রতিষ্ঠানের সৌন্দর্য বা রূপ।

ফ্রন্টডেস্কের কাজ
ফ্রন্টডেস্কে কি ধরনের কাজ হয় সেটাও নির্ভর করে থাকে এক একটা প্রতিষ্ঠানের চাহিদা অনুযায়ী। সে তার প্রতিষ্ঠানকে কিভাবে সমন্বয় করবে বা তার প্রতিষ্ঠানের ধরনটা কেমন হবে নিয়ম অনুযায়ী ফ্রন্ট অফিসের অধীনে ক্যাশিয়ার, রিসিপশনিস্ট, ইনফরমেশন ডেস্ক, রিজার্ভেশন, সুইচবোর্ড এবং বিজনেস সেন্টার এসব বিভাগ ফ্রন্ট অফিসের আওতাভুক্ত এবং এসব বিভাগের কাজ একে অন্যের সঙ্গে সম্পর্কিত। এখানে রিসিপশনিস্টদের মধ্যেও প্রকারভেদ রয়েছে যেমন শিফট ইনচার্জ, হেড রিসিপশনিস্ট, ডিউটি ম্যানেজার, এরপর ফ্রন্ট অফিস ম্যানেজার সেটাও হতে পারে এক একটা প্রতিষ্ঠানের নিয়ম অনুযায়ী। এতে ফ্রন্টডেস্কে পদান্তরিত সুযোগটাও বেশি থাকে, যদি তার পারফরমেন্স ভালো হয়।

প্রয়োজনীয় যোগ্যতা
বর্তমানে ফ্রন্টডেস্কে কাজ করতে হলে ন্যূনতম এইচএসসি পাস হতে হবে। এছাড়া যদি কোনো মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে কাজ করতে হয় তাহলে প্রথম শর্ত হবে ইংরেজিতে কথা বলার দক্ষতা। তাই ইংলিশ মিডিয়ামের ছাত্র হলে আরো ভালো। আর অন্যান্য ভাষা দু-একটা জানা থাকলে সেটা হবে প্লাস পয়েন্ট, তবে ন্যূনতম অভিবাদনটা জানা থাকলে ভালো হয়। এছাড়া কিছু কিছু ক্ষেত্রে হিসাব-নিকাশের দক্ষতার ওপরও প্রাধান্য দেয়া হয়; কারণ কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানে ক্যালিশয়ারিটাও ফ্রন্টডেস্কের অধীনে থাকে, যেখানে তাকে বিল স্যাটেল করতে হয়, ক্যাশ হ্যান্ডেলিং করতে হয়। যেমন বিভিন্ন ক্রেডিট কার্ড, ক্যাশ কার্ড, ট্রাভেল এডেন্সি ভাউচার, ট্রাভেলার চেক, ফরেন কারেন্সি ইত্যাদি বিষয়। এর পরের বিষয়টি হচ্ছে স্মার্টনেস। একজন স্মার্ট ব্যক্তিকে চেনার উপায় হচ্ছে তার কাজের দক্ষতা দিয়ে। যদি তার কাজের দক্ষতা না থাকে স্মার্টনেস কখনো ফুটে উঠে না। অনেক ক্ষেত্রে সুন্দর চেহারাকে প্রাধান্য দিলেও তার উপস্থাপনার ওপর ফুটে উঠে সুন্দর চেহারা। মুখ গোমরা করে ফ্রন্টডেস্কে কাজ করলে সুন্দর চেহারাটাও অসুন্দর দেখা যায়। তাই তার সুন্দর সাবলীল উপস্থাপনাই হতে পারে তার স্মার্টনেস।

বেতন কাঠামোর:
সাধারনত ফ্রন্টডেস্কে দুই হাজার থেকে শুরু করে বিশ হাজার টাকার ওপরেও বেতন হতে পারে। তাই ফ্রন্টডেস্কে কাজ করাকে কোনোভাবে ছোট করে দেখার সুযোগ থাকে না।

প্রশিক্ষণ
যে কোনো কাজে নিজেকে যোগ্য করতে দরকার প্রশিক্ষণের। প্রশিক্ষণ একজন মানুষের দক্ষতা অনেকখানি বাড়িয়ে দেয়। বাংলাদেশ সরকার চালু করেছে ন্যাশনাল হোটেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ট্রেনিং ইন্সটিটিউট। সেখানে ফ্রন্টডেস্কের জনপ্রিয়তার কথা চিন্তা করে ফ্রন্টডেস্কের ওপর আলাদা প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়াও বেসরকারিভাবে অনেক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে যেখানে ফ্রন্টডেস্কের ওপর প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। ফ্রন্টডেস্কের যে কাজগুলোর ওপর প্রশিক্ষণের ধারণা দেয়া হয় সেগুলো হলো: অভ্যর্থ প্রণালী, টেলিফোন ম্যানার চেক ইন, চেক আউট, বিলিং, ক্যাশিয়ারিং, রেকর্ড সংরক্ষণ এবং কম্পিউটার বিষয়ে প্রাথমিক ধারণা ও ইংরেজিতে কথা বলা, যা একজন ফ্রন্টডেস্ক অফিসারের জন্য অবশ্যই প্রয়োজন।



০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লবণ্যময়ী হাসি দিয়ে ভাইরাল হওয়া পিয়া জান্নাতুল কে নিয়ে কিছু কথা

লিখেছেন সম্রাট সাদ্দাম, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১:৫৪

ব্যারিস্টার সুমনের পেছনে দাঁড়িয়ে কয়েকদিন আগে মুচকি হাসি দিয়ে রাতারাতি ভাইরাল হয়েছিল শোবিজ অঙ্গনে আলোচিত মুখ পিয়া জান্নাতুল। যিনি একাধারে একজন আইনজীবি, অভিনেত্রী, মডেল ও একজন মা।



মুচকি হাসি ভাইরাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিল্টন সমাদ্দার

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ৩:০৬

অবশেষে মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেফতার করেছে ডিবি। এবং প্রেস ব্রিফিংয়ে ডিবি জানিয়েছে সে ছোটবেলা থেকেই বদমাইশ ছিল। নিজের বাপকে পিটিয়েছে, এবং যে ওষুধের দোকানে কাজ করতো, সেখানেই ওষুধ চুরি করে ধরা... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবন চলবেই ... কারো জন্য থেমে থাকবে না

লিখেছেন অপু তানভীর, ০২ রা মে, ২০২৪ সকাল ১০:০৪



নাইমদের বাসার ঠিক সামনেই ছিল দোকানটা । দোকানের মাথার উপরে একটা সাইনবোর্ডে লেখা থাকতও ওয়ান টু নাইন্টি নাইন সপ ! তবে মূলত সেটা ছিল একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। প্রায়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ ঠেকাতে পুলিশি নির্মমতা

লিখেছেন এমজেডএফ, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:১১



সমগ্র যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে বিক্ষোভের ঝড় বইছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ কর্মসূচী অব্যাহত রয়েছে। একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিক্ষোভ দমনের প্রচেষ্টা চালালেও তেমন সফল... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ ০১

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৫



নতুন নতুন শহরে এলে মনে হয় প্রতি টি ছেলেরি এক টা প্রেম করতে ইচ্ছে হয় । এর পেছনের কারন যা আমার মনে হয় তা হলো, বাড়িতে মা, বোনের আদরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×