ফেসবুকে পরিচয়,মোবাইলে কথা।
ছেলে বলে,তোমার প্রোফাইল পিকচারটা না জোশ!
মেয়ে বলে,তোমার হেয়ার কাটিং টা ঝাক্কাস।চল না কে এফ সি তে খাইতে যাই।
ছেলে বলে ফেলে ভাললাগার কথা।মেয়ে বলে ও.কে.(লজ্জা পাওয়ার টাইম নাই)!শুরু হল প্রেম(মনে মনে কয় টাইম পাস)!!দুজনের কথার টপিক ঘুরে হয় বলিউডের সমসাময়িক সিনেমা নয় তো লেডি গাগার নতুল আলব্যাম।দুজনের মনে
কি আছে তা কেবল তারাই জানে।বয়সটা একটু বেশি হলে যায় লিটনের ফ্ল্যাটে(১৪+ হলেই হয়)।
শরীরগুলোর পরিচয় হয়;মন থাকে অগোচরে!
মেয়ের বড় ভাই দুইটা ঝাড়ি মারলে/আরেকটা মেয়ের প্রফাইল ফটো ভাল লাগলেই পোলায় কয় বাই বাই!অথবা, ছেলে ২ রাত কথা না বলতে পারলে,মাসে ৩ বার কে এফ সি তে খাওয়াতে না পারলেই মেয়ে কয় বাই বাই!
আবার আরেকজনের প্রফাইল পিকচার নয় তো হেয়ার কাটিং।এই প্রেম থেমে থাকে না!!
এই প্রেমে,না থাকে পাওয়ার অনুভূতি না হারানোর ভয়!তাই নিজের সুবিধার জন্য প্রেমিকপ্রেমিকার ক্ষতি করতে একটুও বাঁধে না।
আজকে প্রথম আলোতে একটা লেখা পড়ে মনে হল আমার মনের কথাই খুব সুন্দর করে লেখক বলেছেন।অত সুন্দর বিশ্লেষণ তো করতে পারি না।তাই লিঙ্কটাই দিলাম। হায় প্রেম!
আর যাদের সময় কম,তাদের জন্য লেখার সংবাদ অংশঃ
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে কাতরাচ্ছে ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরী। তার অপরাধের নাম প্রেম! কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলা থেকে পোশাকশ্রমিকের চাকরি নিয়ে চট্টগ্রাম এসেছিল মেয়েটি। দেওয়ানহাটের একটি পোশাক কারখানায় কাজ করত, থাকত লালখান বাজারে বড় বোনের বাসায়। একই এলাকার স্বপন নামের এক ছেলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল তার। ৩ জানুয়ারি সন্ধ্যায় ওই কিশোরী দেওয়ানহাটে বান্ধবীর বাসায় যাবে বলে বেরিয়ে দেখা করে স্বপনের সঙ্গে। স্বপনের প্রস্তাবে রাজি হয়ে বেড়াতে যায় মতিঝরনা পাহাড়ে। প্রেমিকের প্রস্তাবে রাজি হয়ে ভরসন্ধ্যায় নির্জন পাহাড়ে যাওয়ার সময় কল্পনায়ও আসেনি কী ভয়াবহ পরিণতি অপেক্ষা করছিল তার জন্য। পাহাড়ে নির্জনতার সুযোগে স্বপন ও তার বন্ধুরা মিলে ধর্ষণ করে মেয়েটিকে। সুমন, কামাল, বাবু ও রুবেল নামে স্বপনের এই বন্ধুদের আগে থেকেই চিনত মেয়েটি। তারা যে হঠাৎ পূর্বপরিচয়ের সামান্য মনুষ্যত্বও ঝেড়ে ফেলবে, কী করে বুঝবে অল্প বয়সী মেয়েটি? ধর্ষণের পর সংজ্ঞাহীন মেয়েটিকে পাহাড় থেকে ঠেলে ফেলে দিয়েছিল স্বপন ও তার বন্ধুরা। মৃত্যু ছিল অবধারিত। কিন্তু সৌভাগ্য বা দুর্ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেছে মেয়েটি। পাহাড় থেকে গড়িয়ে ঢালের একটি বাসার টিনের চালের ওপর পড়েছিল। স্থানীয় বাসিন্দারা দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে জীবন রক্ষা করে তার।
ঘটনার অন্য একটি ভাষ্যও পাওয়া গেছে। বলা হচ্ছে, মেয়েটির বিয়ে ঠিক হয়েছিল গ্রামের বাড়িতে। সে খবর শুনে মতিঝরনার কাছে তার গতিরোধ করে স্বপন। তারপর পাহাড়ে নিয়ে গিয়ে প্রতিশোধ চরিতার্থ করেছে সে!

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



